Skip to main content

হা-মীম সেজদাহ শ্লোক ১২

فَقَضٰىهُنَّ سَبْعَ سَمٰوٰتٍ فِيْ يَوْمَيْنِ وَاَوْحٰى فِيْ كُلِّ سَمَاۤءٍ اَمْرَهَا ۗوَزَيَّنَّا السَّمَاۤءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيْحَۖ وَحِفْظًا ۗذٰلِكَ تَقْدِيْرُ الْعَزِيْزِ الْعَلِيْمِ  ( فصلت: ١٢ )

Then He completed them
فَقَضَىٰهُنَّ
অতঃপর তাদেরকে পরিণত করলেন
(as) seven
سَبْعَ
সাত
heavens
سَمَٰوَاتٍ
আকাশে
in
فِى
মধ্যে
two periods
يَوْمَيْنِ
দু'দিনের
and He revealed
وَأَوْحَىٰ
এবং ওহী করলেন
in
فِى
মধ্যে
each
كُلِّ
প্রত্যেক
heaven
سَمَآءٍ
আকাশের
its affair
أَمْرَهَاۚ
তাঁর বিধিবিধান
And We adorned
وَزَيَّنَّا
এবং আমরা সাজালাম
the heaven
ٱلسَّمَآءَ
আকাশকে
the nearest
ٱلدُّنْيَا
নীচের
with lamps
بِمَصَٰبِيحَ
প্রদীপমালা দ্বারা
and (to) guard
وَحِفْظًاۚ
এবং সংরক্ষণ (করলাম)
That
ذَٰلِكَ
এটা
(is the) Decree
تَقْدِيرُ
ব্যবস্থাপনা
(of) the All-Mighty
ٱلْعَزِيزِ
পরাক্রমশালীর
the All-Knower
ٱلْعَلِيمِ
(যিনি) সবকিছু জানেন

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে সাত আকাশে বিন্যস্ত করলেন দু’দিনে আর প্রত্যেক আকাশকে তার বিধি-ব্যবস্থা ওয়াহীর মাধ্যমে প্রদান করলেন। আমি আলোকমালার সাহায্যে দুনিয়ার আকাশের শোভাবর্ধন করলাম আর সুরক্ষার (ও ব্যবস্থা করলাম)। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর সুনির্ধারিত (ব্যবস্থাপনা)।

English Sahih:

And He completed them as seven heavens within two days and inspired [i.e., made known] in each heaven its command. And We adorned the nearest heaven with lamps [i.e., stars, for beauty] and as protection. That is the determination of the Exalted in Might, the Knowing.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্তাকাশে পরিণত করলেন এবং প্রত্যেক আকাশের নিকট তার কর্তব্য ব্যক্ত করলেন।[১] আর আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করলাম প্রদীপমালা দ্বারা এবং তাকে করলাম সুরক্ষিত।[২] এ সব পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।

[১] অর্থাৎ, স্বয়ং আকাশমন্ডলীকে অথবা সেখানে বসবাসকারী ফিরিশতামন্ডলীকে বিশেষ বিশেষ কাজের এবং যিকর-আযকারের দায়িত্বে লাগিয়ে দিলেন।

[২] অর্থাৎ, শয়তান থেকে সুরক্ষিত। যেমন, অন্যত্র এ কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। তারকারাজি সৃষ্টির তৃতীয় আর একটি উদ্দেশ্য অন্যত্র اهتِدَاءٌ (পথ পাওয়া বা দিক নির্ণয় করা)ও বলা হয়েছে। (সূরা নাহল ১৬;১৬)