Skip to main content

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تُقَدِّمُوْا بَيْنَ يَدَيِ اللّٰهِ وَرَسُوْلِهٖ وَاتَّقُوا اللّٰهَ ۗاِنَّ اللّٰهَ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ   ( الحجرات: ١ )

O you who believe!
يَٰٓأَيُّهَا
হে
O you who believe!
ٱلَّذِينَ
যারা
O you who believe!
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছ
(Do) not
لَا
না
put (yourselves) forward
تُقَدِّمُوا۟
তোমরা অগ্রসর হয়ো (কোন বিষয়ে)
before Allah
بَيْنَ
আগে
before Allah
يَدَىِ
আগে
before Allah
ٱللَّهِ
আল্লাহর
and His Messenger
وَرَسُولِهِۦۖ
ও তাঁর রাসুলের
and fear Allah
وَٱتَّقُوا۟
এবং ভয় করো
and fear Allah
ٱللَّهَۚ
আল্লাহকে
Indeed
إِنَّ
নিশ্চয়ই
Allah
ٱللَّهَ
আল্লাহ
(is) All-Hearer
سَمِيعٌ
সবকিছু শুনেন
All-Knower
عَلِيمٌ
সবকিছু জানেন

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

ওহে মু’মিনগণ! তোমরা (কোন বিষয়েই) আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আগে বেড়ে যেয়ো না, আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

English Sahih:

O you who have believed, do not put [yourselves] before Allah and His Messenger but fear Allah. Indeed, Allah is Hearing and Knowing.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সামনে তোমরা কোন বিষয়ে অগ্রণী হয়ো না[১] এবং আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

[১] এর অর্থ হলো, দ্বীনের ব্যাপারে নিজে থেকে কোন ফায়সালা করো না (কোন সিদ্ধান্ত নিয়ো না, কোন ফতোয়া দিয়ো না)। এবং স্বীয় বিবেক-বুদ্ধিকে তার উপর প্রাধান্য দিয়ো না। বরং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর। নিজের পক্ষ থেকে দ্বীনের সাথে কোন কিছু সংযোজন বা বিদআত রচনা হল আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে অতিক্রম করার এমন দুঃসাহসিকতা, যা কোন ঈমানদারের জন্য শোভনীয় নয়। অনুরূপ কুরআন ও হাদীস নিয়ে যথাযথ গবেষণা ও চিন্তা-ভাবনা না করে কোন ফতোয়া দেওয়া যাবে না এবং ফতোয়া দেওয়ার পর যদি এ কথা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, তা শরীয়তের সুস্পষ্ট বিধির প্রতিকূল, তবে তার উপর অটল থাকাও এই আয়াতে বর্ণিত নির্দেশের পরিপন্থী। মু'মিনের কর্তব্যই হল, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশাবলীর সামনে আনুগত্যের মস্তক নত করে দেওয়া। নিজের কথা অথবা কোন ইমামের মতের উপর অনড় থাকা তার কর্তব্য নয়।