ত্বীন আয়াত ৭

কাজেই (হে মানুষ!) এরপর কিসে তোমাকে কৰ্মফল দিন সম্পর্কে অবিশ্বাসী করে [১]?

[১] এতে কেয়ামতে অবিশ্বাসীদেরকে হুশিয়ার করা হয়েছে যে, আল্লাহ্র কুদরতের উপরোক্ত দৃশ্য ও পরিবর্তন দেখার পরও তোমাদের জন্যে আখেরাত ও কেয়ামতকে মিথ্যা মনে করার কি অবকাশ থাকতে পারে? তোমাদেরকে আল্লাহ্ তা‘আলা সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন, তিনি ইচ্ছা করলে হীনতম ও নিম্নতম পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন, তারপরও কেন তোমরা তা অস্বীকার করবে? এর আরেকটি অনুবাদ এও হতে পারে, এসব প্রমাণের পর (হে রাসূল) শাস্তি ও পুরষ্কারের ব্যাপারে কে আপনাকে মিথ্যা বলতে পারে? [কুরতুবী] এই কথাটিকেই কুরআনের অন্যান্য স্থানে এভাবে বলা হয়েছে, “আমি কি অনুগতদেরকে অপরাধীদের মতো করে দেবো? তোমাদের কি হয়ে গেছে? তোমরা কেমন ফয়সালা করছো? [সূরা আল-কলম; ৩৫-৩৬] আরো এসেছে, “দুষ্কৃতকারীরা কি একথা মনে করেছে, আমি তাদেরকে এমন লোকদের মতো করে দেবো যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে? উভয়ের জীবন ও মৃত্যু এক রকম হবে? খুবই খারাপ সিদ্ধান্ত যা এরা করছে।” [সূরা আল-জাসিয়াহ; ২১]

সুতরাং এরপরও কিসে তোমাকে কর্মফল সম্পর্কে অবিশ্বাসী করে তোলে?

অতঃপর কেন তুমি অবিশ্বাস করছ কেয়ামতকে?

তবে কী যা এরপরে তোমাকে বিচারসন্বন্ধে মিথ্যারোপ করতে দেয়?

সুতরাং (হে মানুষ!) এরপর আর কী জিনিস আছে, যা তোমাকে কর্মফল দিবস প্রত্যাখ্যানে উদ্বুদ্ধ করছে?

সুতরাং এরপর কিসে তোমাকে কর্মফল সম্বন্ধে অবিশ্বাসী করে?

Please check ayah 95:8 for complete tafsir.

সুতরাং এর পরে কিসে তোমাকে বিচার সম্বন্ধে অবিশ্বাসী করবে? (অর্থাৎ কীভাবে তুমি বিচারের দিন কেয়ামতকে অবিশ্বাস করবে?)

৭. হে মানুষ! তুমি তাঁর এতো সব ক্ষতার নিদর্শনাবলী প্রত্যক্ষ করার পরও কোন্ বস্তু তোমাকে প্রতিদান দিবস সম্পর্কে অবিশ্বাসী করে?!

Please check ayah 95:8 for complete tafsir.