Skip to main content

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْٓا اِنَّ مِنْ اَزْوَاجِكُمْ وَاَوْلَادِكُمْ عَدُوًّا لَّكُمْ فَاحْذَرُوْهُمْۚ وَاِنْ تَعْفُوْا وَتَصْفَحُوْا وَتَغْفِرُوْا فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ   ( التغابن: ١٤ )

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
O!
ওহে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(you) who!
যারা
āmanū
ءَامَنُوٓا۟
believe!
ঈমান এনেছো
inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়
min
مِنْ
from
মধ্যে
azwājikum
أَزْوَٰجِكُمْ
your spouses
তোমাদের স্ত্রীদের
wa-awlādikum
وَأَوْلَٰدِكُمْ
and your children
ও তোমাদের সন্তান সন্ততিদের (কেউ কেউ)
ʿaduwwan
عَدُوًّا
(are) enemies
শত্রু
lakum
لَّكُمْ
to you
তোমাদের জন্যে
fa-iḥ'dharūhum
فَٱحْذَرُوهُمْۚ
so beware of them
অতএব তাদের থেকে সতর্ক হও
wa-in
وَإِن
But if
এবং যদি
taʿfū
تَعْفُوا۟
you pardon
তোমরা মার্জনা কর
wataṣfaḥū
وَتَصْفَحُوا۟
and overlook
ও তোমরা উপেক্ষা কর
wataghfirū
وَتَغْفِرُوا۟
and forgive
এবং তোমরা মাফ কর
fa-inna
فَإِنَّ
then indeed
তবে নিশ্চয়
l-laha
ٱللَّهَ
Allah
আল্লাহ্‌
ghafūrun
غَفُورٌ
(is) Oft-Forgiving
ক্ষমাশীল
raḥīmun
رَّحِيمٌ
Most Merciful
মেহেরবান

Yaaa ayyuhal lazeena aamanooo inna min azwaaji kum wa awlaadikum 'aduwwal lakum fahzaroohum; wa in ta'foo wa tasfahoo wa taghfiroo fa innal laaha ghafoorur Raheem (at-Taghābun ৬৪:১৪)

English Sahih:

O you who have believed, indeed, among your spouses and your children are enemies to you, so beware of them. But if you pardon and overlook and forgive – then indeed, Allah is Forgiving and Merciful. (At-Taghabun [64] : 14)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

হে মু’মিনগণ! তোমাদের স্ত্রী আর সন্তানদের মধ্যে কতক তোমাদের শত্রু। কাজেই তোমরা তাদের হতে সতর্ক হও। তোমরা যদি তাদের প্রতি ক্ষমাসুলভ আচরণ কর, তাদের দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা কর, আর তাদেরকে ক্ষমা কর, তাহলে (তোমাদের সে কাজ হবে আল্লাহর নিকট পছন্দীয় কারণ) আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু। (আত-তাগাবুন [৬৪] : ১৪)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের শত্রু,[১] অতএব তাদের সম্পর্কে তোমরা সতর্ক থেকো।[২] আর তোমরা যদি তাদেরকে মার্জনা কর, তাদের দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা কর এবং তাদেরকে ক্ষমা কর, তাহলে (জেনে রেখো যে,) নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [৩]

[১] অর্থাৎ, যারা তোমাদের নেক কাজ ও আনুগত্যের পথে বাধা সৃষ্টি করে, জেনে নিও তারা তোমার কল্যাণকামী ও হিতাকাঙ্ক্ষী নয়, বরং শত্রু।

[২] অর্থাৎ, তুমি তাদের পিছনে পড়ো না, বরং তাদেরকে তোমার পিছনে লাগাও, যাতে তারাও আল্লাহর আনুগত্যের পথ অবলম্বন করে নেয়। তুমি তাদের পিছনে পড়ে নিজের পরিণাম মন্দ করো না।

[৩] এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয় যে, মক্কায় ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে কেউ কেউ মক্কা ছেড়ে মদীনা আসার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। কারণ, তখন হিজরত করার নির্দেশ বড়ই তাকীদের সাথে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিরা হিজরতের পথে বাধা সৃষ্টি করে তাঁদেরকে হিজরত করতে দিল না। পরে যখন তাঁরা রসূল (সাঃ)-এর নিকট এসে পড়লেন, তখন দেখলেন যে, তাঁদের পূর্বে আসা লোকেরা ধর্মের ব্যাপারে অনেক কিছুই শিখে নিয়েছেন। তখন তাঁরা তাঁদের সেই স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের প্রতি রাগাম্বিত হলেন, যারা তাঁদেরকে হিজরত করতে বাধা দিয়েছিল। সুতরাং তাঁরা তাদেরকে সাজা দেওয়ার ইচ্ছা করলেন। মহান আল্লাহ এই আয়াতে তাঁদেরকে মার্জনা এবং উপেক্ষা করার কথা শিক্ষা দিলেন। (সুনানে তিরমিযী সূরা তাগাবুনের তাফসীর পরিচ্ছেদ)