Skip to main content

قُلْ اِنَّ الَّذِيْنَ يَفْتَرُوْنَ عَلَى اللّٰهِ الْكَذِبَ لَا يُفْلِحُوْنَۗ   ( يونس: ٦٩ )

qul
قُلْ
Say
বলো
inna
إِنَّ
"Indeed
"নিশ্চয়ই
alladhīna
ٱلَّذِينَ
those who
যারা
yaftarūna
يَفْتَرُونَ
invent
রচনা করে
ʿalā
عَلَى
against
উপর
l-lahi
ٱللَّهِ
Allah
আল্লাহর
l-kadhiba
ٱلْكَذِبَ
the lie
মিথ্যা
لَا
they will not succeed"
না"
yuf'liḥūna
يُفْلِحُونَ
they will not succeed"
তারা সফলকাম হয়"

Qul innal lazeena yaftaroona 'alal laahil kaziba laa yuflihoon (al-Yūnus ১০:৬৯)

English Sahih:

Say, "Indeed, those who invent falsehood about Allah will not succeed." (Yunus [10] : 69)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

বল ‘‘যারা আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যে রচনা করে, তারা কক্ষনো কল্যাণ পাবে না। (ইউনুস [১০] : ৬৯)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তুমি বলে দাও, ‘যারা আল্লাহর উপর মিথ্যা রচনা করে[১] তারা সফলকাম হবে না।’ [২]

[১] افتراء এর অর্থ হল মিথ্যারোপ করা। এর পরেও বাড়তি كذب 'মিথ্যা' শব্দটি তাকীদের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

[২] এখানে সফলকাম বা কৃতকার্য বলতে পরকালের কৃতকার্যতাকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর ক্রোধ ও তাঁর শাস্তি থেকে নিষ্কৃতিলাভ। যেহেতু শুধু পার্থিব ক্ষণস্থায়ী সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য লাভ কৃতকার্যতা নয়। যেমন অনেকে কাফেরদের ক্ষণস্থায়ী সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দেখে ভুল ধারণা এবং সন্দেহ ও সংশয়ের শিকার হয়। এই জন্যই পরবর্তী আয়াতে বলেছেন যে, "দুনিয়ায় কিছু সুখ-সম্ভোগ; তারপর আমারই দিকে তাদেরকে ফিরে আসতে হবে।" অর্থাৎ, পৃথিবীর আরাম-আয়েশ আখেরাতের তুলনায় একেবারে নগণ্য, যার কোন গণনাই হয় না। তার পর তাদেরকে কঠিন শাস্তি আস্বাদন করতে হবে। অতএব ভালভাবে জেনে রাখা দরকার যে, কাফের, মুশরিক এবং আল্লাহর অবাধ্যজনদের পার্থিব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও অর্থনৈতিক উন্নতি এই কথার প্রমাণ নয় যে, এই জাতি সফলকাম ও কৃতকার্য এবং আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট। তাদের এই জাগতিক উন্নতি তাদের নিরলস প্রচেষ্টার ফল, যা বাহ্যিক উপায়-উপকরণ অনুযায়ী প্রত্যেক সেই জাতি অর্জন করতে পারে, যে উপায়-উপকরণ সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে তা অর্জনের জন্য তাদের মত চেষ্টা-চরিত্র করবে; তাতে সে জাতি মু'মিন হোক বা কাফের। তাছাড়া এই ক্ষণস্থায়ী সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য আল্লাহর পক্ষ থেকে অবকাশ ও ঢিল দেওয়ার ফলও হতে পারে। যার আলোচনা এর পূর্বে বিভিন্ন স্থানে করা হয়েছে।