Skip to main content

ত্বোয়া-হা শ্লোক ১৩১

وَلَا تَمُدَّنَّ عَيْنَيْكَ اِلٰى مَا مَتَّعْنَا بِهٖٓ اَزْوَاجًا مِّنْهُمْ زَهْرَةَ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا ەۙ لِنَفْتِنَهُمْ فِيْهِ ۗوَرِزْقُ رَبِّكَ خَيْرٌ وَّاَبْقٰى  ( طه: ١٣١ )

And (do) not
وَلَا
এবং না
extend
تَمُدَّنَّ
প্রসারিত তুমি করো
your eyes
عَيْنَيْكَ
তোমার দুচোখ
towards
إِلَىٰ
প্রতি
what
مَا
যা
We have given for enjoyment
مَتَّعْنَا
আমরা উপকরণ দিয়েছি
[with it]
بِهِۦٓ
সে সম্পর্কে
pairs
أَزْوَٰجًا
বিভিন্ন শ্রেণীকে
of them
مِّنْهُمْ
তাদের মধ্যকার
(the) splendor
زَهْرَةَ
সৌন্দর্য হিসেবে
(of) the life
ٱلْحَيَوٰةِ
জীবনের
(of) the world
ٱلدُّنْيَا
পার্থিব
that We may test them
لِنَفْتِنَهُمْ
যেন তাদের পরীক্ষা করি আমরা
in it
فِيهِۚ
তার মধ্যে
And (the) provision
وَرِزْقُ
আর জীবিকাই
(of) your Lord
رَبِّكَ
তোমার রবের
(is) better
خَيْرٌ
উত্তম
and more lasting
وَأَبْقَىٰ
ও স্থায়ী

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তুমি কক্ষনো চোখ খুলে তাকিও না ঐ সব বস্তুর প্রতি যা আমি তাদের বিভিন্ন দলকে পার্থিব জীবনে উপভোগের জন্য সৌন্দর্য স্বরূপ দিয়েছি, এসব দিয়ে তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য। তোমার প্রতিপালকের দেয়া রিযকই হল সবচেয়ে উত্তম ও সবচেয়ে বেশী স্থায়ী।

English Sahih:

And do not extend your eyes toward that by which We have given enjoyment to [some] categories of them, [its being but] the splendor of worldly life by which We test them. And the provision of your Lord is better and more enduring.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আমি তাদের বিভিন্ন শ্রেণীকে পরীক্ষা করার জন্য পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য-স্বরূপ ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি, তার প্রতি তুমি কখনোও তোমার চক্ষুদ্বয় প্রসারিত করো না।[১] তোমার প্রতিপালকের জীবিকাই উৎকৃষ্টতর ও স্থায়ী। [২]

[১] এটি সেই একই বিষয়ীভূত কথা, যা এর আগে সূরা আলে ইমরান ৩;১৯৬-১৯৭ আয়াতে, সূরা হিজর ১৫;৮৮ আয়াতে, সূরা কাহ্ফ ১৮;৭ আয়াতে আলোচিত হয়েছে।

[২] এর অর্থ আখেরাতের প্রতিদান ও পুরস্কার যা দুনিয়ার ধন-সম্পদ ও অন্যান্য উপভোগ্য জিনিস অপেক্ষা উত্তম ও স্থায়ী। 'ঈলা'র হাদীসে বর্ণিত আছে যে, উমার (রাঃ) নবী (সাঃ)-এর নিকট এসে দেখলেন, তিনি বিনা বিছানায় একটি চাটাইয়ের উপর শুয়ে আছেন। আর তাঁর ঘরের আসবাব-পত্রের অবস্থা এই যে, শুধু দুটি চামড়ার জিনিস ছাড়া আর কিছুই নেই। উমার (রাঃ)-এর চক্ষু দিয়ে পানি এসে পড়ল। নবী (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, "উমার কি ব্যাপার? কাঁদছ কেন?" উত্তর দিলেন, 'হে আল্লাহর রসূল! রোম ও পারস্যের রাজারা কি সুখ-শান্তিতে জীবন অতিবাহিত করছে, আর আপনি সৃষ্টির সেরা হওয়া সত্ত্বেও আপনার জীবনের এই অবস্থা!' তিনি বললেন, "উমার! তুমি কি এখনও সন্দেহে আছ? ওরা তো তারা, যাদের সুখ-শান্তি পৃথিবীতেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে।" অর্থাৎ, পরকালে ওদের জন্য কিছুই থাকবে না। (বুখারীঃ সূরা তাহরীমের তাফসীর, মুসলিমঃ ঈলা)