Skip to main content

اَلزَّانِيَةُ وَالزَّانِيْ فَاجْلِدُوْا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ ۖوَّلَا تَأْخُذْكُمْ بِهِمَا رَأْفَةٌ فِيْ دِيْنِ اللّٰهِ اِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِۚ وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَاۤىِٕفَةٌ مِّنَ الْمُؤْمِنِيْنَ  ( النور: ٢ )

al-zāniyatu
ٱلزَّانِيَةُ
The fornicatress
ব্যভিচারিণী
wal-zānī
وَٱلزَّانِى
and the fornicator
ও ব্যভিচারী
fa-ij'lidū
فَٱجْلِدُوا۟
[then] flog
অতঃপর তোমরা দোররা মারবে
kulla
كُلَّ
each
প্রত্যেক
wāḥidin
وَٰحِدٍ
one
একজনকে
min'humā
مِّنْهُمَا
of them
তাদের দুজনার মধ্য হ'তে
mi-ata
مِا۟ئَةَ
(with) hundred
একশত
jaldatin
جَلْدَةٍۖ
lash(es)
দোররা
walā
وَلَا
And (let) not
আর না (যেন)
takhudh'kum
تَأْخُذْكُم
withhold you
তোমাদেরকে প্রভাবিত করে
bihimā
بِهِمَا
pity for them
তাদের দু'জনের প্রতি
rafatun
رَأْفَةٌ
pity for them
দয়া অনুকম্পা
فِى
concerning
ব্যাপারে
dīni
دِينِ
(the) religion of Allah
দ্বীনের
l-lahi
ٱللَّهِ
(the) religion of Allah
আল্লাহর
in
إِن
if
যদি
kuntum
كُنتُمْ
you
তোমরা থাকো
tu'minūna
تُؤْمِنُونَ
believe
তোমরা ঈমান আনো
bil-lahi
بِٱللَّهِ
in Allah
আল্লাহর প্রতি
wal-yawmi
وَٱلْيَوْمِ
and the Day
ও দিনের
l-ākhiri
ٱلْءَاخِرِۖ
the Last
শেষ (প্রতি)
walyashhad
وَلْيَشْهَدْ
And let witness
আর যেন প্রত্যক্ষ করে
ʿadhābahumā
عَذَابَهُمَا
their punishment
তাদের দু'জনের শাস্তি
ṭāifatun
طَآئِفَةٌ
a group
একদল
mina
مِّنَ
of
মধ্য হ'তে
l-mu'minīna
ٱلْمُؤْمِنِينَ
the believers
মু'মিনদের

Azzaaniyatu wazzaanee fajlidoo kulla waahidim minhumaa mi'ata jaldatinw wa laa taakhuzkum bihimaa raafatun fee deenil laahi in kuntum tu'minoona billaahi wal Yawmil Aakhiri wal yashhad 'azaabahumaa taaa'ifatum minal mu'mineen (an-Nūr ২৪:২)

English Sahih:

The [unmarried] woman or [unmarried] man found guilty of sexual intercourse – lash each one of them with a hundred lashes, and do not be taken by pity for them in the religion [i.e., law] of Allah, if you should believe in Allah and the Last Day. And let a group of the believers witness their punishment. (An-Nur [24] : 2)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী তাদের প্রত্যেককে একশত করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর আইন কার্যকর করার ব্যাপারে তাদের প্রতি দয়ামায়া তোমাদেরকে যেন প্রভাবিত না করে, যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাত দিনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে থাক। একদল মু’মিন যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। (আন-নূর [২৪] : ২)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী -- ওদের প্রত্যেককে একশো কশাঘাত কর।[১] আল্লাহর বিধান কার্যকরীকরণে ওদের প্রতি দয়া যেন তোমাদেরকে অভিভূত না করে; যদি তোমরা আল্লাহতে এবং পরকালে বিশ্বাসী হও।[২] আর বিশ্বাসীদের একটি দল যেন ওদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। [৩]

[১] ব্যভিচারের প্রারম্ভিক শাস্তি; যা ইসলামে অস্থায়ীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছিল তা সূরা নিসার ৪;১৫ নং আয়াতে আলোচিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে যে, যতক্ষণ এ ব্যাপারে কোন স্থায়ী শাস্তি নির্ধারিত করা না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই সমস্ত ব্যভিচারিণী মহিলাদেরকে ঘরে আবদ্ধ রাখা হোক। কিন্তু যখন সূরা নূরের এই আয়াত অবতীর্ণ হল, তখন নবী (সাঃ) বললেন যে, 'আল্লাহ যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই মত ব্যভিচারী পুরুষ ও নারীর স্থায়ী শাস্তি নির্ধারিত করে দিয়েছেন, তা তোমরা আমার কাছ হতে শিখে নাও। আর তা হল, অবিবাহিত পুরুষ ও নারীর জন্য একশত বেত্রাঘাত ও বিবাহিত নারী-পুরুষের জন্য একশত বেত ও পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা।' (সহীহ মুসলিম, দন্ডবিধি অধ্যায়) অতঃপর বাস্তবে তিনি বিবাহিত (ব্যভিচারী)-দের শাস্তি দিয়েছেন পাথর মেরে, আর একশত বেত্রাঘাত (যা ছোট শাস্তি) বড় শাস্তির সাথে একত্রীভূত করে বিলুপ্ত করেছেন। অতএব এখন বিবাহিত নারী-পুরুষের ব্যভিচারের একমাত্র শাস্তি পাথর মেরে শেষ করে ফেলা। নবী (সাঃ)-এর যুগের পর খোলাফায়ে রাশেদীন তথা সাহাবাদের যুগেও উক্ত শাস্তিই দেওয়া হত। পরবর্তীকালের ফকীহগণ ও উলামাবৃন্দ এ ব্যাপারে একমত ছিলেন এবং এখনো একমত আছেন। শুধুমাত্র খাওয়ারিজ সম্প্রদায় পাথর ছুঁড়ে মারার এই শাস্তিকে অস্বীকার করে। ভারত উপমহাদেশেও আজকাল এমন কিছু মানুষ আছে, যারা উক্ত শাস্তির কথা মানতে অস্বীকার করে থাকে। এই অস্বীকার করার মূল কারণ হাদীস অস্বীকার করা। কারণ পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলার শাস্তি সহীহ ও শক্তিশালী হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এবং সেই সমস্ত হাদীসের বর্ণনাকারীর সংখ্যাও এত বেশি যে, উলামাবৃন্দ সেগুলোকে 'মুতাওয়াতির' (বর্ণনা-পরম্পরা-বহুল) হাদীস বলে গণ্য করেছেন। বলা বাহুল্য, হাদীসের প্রামাণিকতা ও তা শরীয়তের একটি উৎস হওয়ার কথা যাঁরা স্বীকার করেন, তাঁরা উক্ত শাস্তির বিধানকে অস্বীকার করতে পারেন না।

[২] এর অর্থ এই যে, দয়ার উদ্রেক হওয়ার কারণে শাস্তির বিধান কার্যকর করতে বিরত থেকো না। তবে প্রাকৃতিকভাবে দয়ার উদ্রেক হওয়া ঈমানের প্রতিকুল নয়। দয়া মানুষের প্রকৃতিগত স্বভাব।

[৩] যাতে মানুষের শিক্ষা গ্রহণ যা শাস্তিদানের আসল উদ্দেশ্য তা ব্যাপকতা লাভ করে। (শাস্তি দেখে অন্যরা উপদেশ নিতে পারে এবং এমন কাজে পা বাড়াতে ভয় পায়।) ভাগ্যচক্রে আজকাল জন-সমক্ষে শাস্তি দেওয়াকে মানবাধিকার বিরোধী বলে প্রচার করা হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ মূর্খতা, আল্লাহর আদেশের প্রতি বিদ্রোহ এবং তাদের ধারণা মতে তারা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর থেকে বেশি মানুষের হিতাকাঙ্ক্ষী ও মঙ্গলকামী হতে চাওয়া। অথচ প্রকৃত প্রস্তাবে আল্লাহ অপেক্ষা অধিক করুণাময় ও দয়াবান আর কেউ নেই।