وَاَقْسَمُوْا بِاللّٰهِ جَهْدَ اَيْمَانِهِمْ لَىِٕنْ جَاۤءَهُمْ نَذِيْرٌ لَّيَكُوْنُنَّ اَهْدٰى مِنْ اِحْدَى الْاُمَمِۚ فَلَمَّا جَاۤءَهُمْ نَذِيْرٌ مَّا زَادَهُمْ اِلَّا نُفُوْرًاۙ ( فاطر: ٤٢ )
Wa aqsamoo billaahi jahda aymaanihim la'in jaaa'ahum nazeerul layakoonunna ahdaa min ihdal umami falam maa jaaa'ahum nazeerum maa zaadahum illaa nufooraa (Fāṭir ৩৫:৪২)
English Sahih:
And they swore by Allah their strongest oaths that if a warner came to them, they would be more guided than [any] one of the [previous] nations. But when a warner came to them, it did not increase them except in aversion (Fatir [35] : 42)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আর তারা (অর্থাৎ মক্কার মুশরিকরা) শক্তভাবে কসম খেয়ে বলত যে, তাদের কাছে সতর্ককারী আসলে তারা অন্য যে কোন সম্প্রদায়ের চেয়ে অবশ্য অবশ্যই সৎ পথের অধিক অনুসারী হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের কাছে যখন সতর্ককারী আসল, তা বাড়িয়েই তুলল তাদের ঘৃণা, (ফাতির [৩৫] : ৪২)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
এরা দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর শপথ করে বলত যে, এদের নিকট কোন সতর্ককারী এলে এরা অবশ্যই অন্য সকল সম্প্রদায় অপেক্ষা অধিকতর সৎপথের অনুসারী হবে;[১] কিন্তু এদের নিকট যখন সতর্ককারী এল,[২] তখন তা কেবল এদের বিমুখতাই বৃদ্ধি করল।
[১] এখানে আল্লাহ তাআলা বর্ণনা করছেন যে, নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-কে প্রেরণের পূর্বে এই আরববাসী মুশরিকরা শপথ করে বলত যে, যদি আমাদের নিকট কোন রসূল আসে, তবে আমরা তাঁকে সবাগত জানাব এবং তাঁর প্রতি ঈমান আনাতে এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করব। এই বিষয়টি অন্য স্থানেও বর্ণনা করা হয়েছে; যেমন সূরা আনআম ৬;১৫৬-১৫৭ আয়াত, স্বাফ্ফাত ৩৭;১৬৭-১৭০ আয়াত।
[২] অর্থাৎ, মুহাম্মাদ (সাঃ) যখন তাদের নিকট নবী হয়ে এলেন, যাঁর তারা আকাঙ্ক্ষী ছিল।