يٰمَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ اِنِ اسْتَطَعْتُمْ اَنْ تَنْفُذُوْا مِنْ اَقْطَارِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ فَانْفُذُوْاۗ لَا تَنْفُذُوْنَ اِلَّا بِسُلْطٰنٍۚ ( الرحمن: ٣٣ )
Yaa ma'sharal jinni wal insi inis tata'tum an tanfuzoo min aqtaaris samaawaati wal ardi fanfuzoo; laa tanfuzoona illaa bisultaan (ar-Raḥmān ৫৫:৩৩)
English Sahih:
O company of jinn and mankind, if you are able to pass beyond the regions of the heavens and the earth, then pass. You will not pass except by authority [from Allah]. (Ar-Rahman [55] : 33)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
হে জ্বিন ও মানুষ জাতি! তোমরা যদি আকাশ ও পৃথিবীর সীমানা অতিক্রম করতে পার তাহলে অতিক্রম কর, কিন্তু (আল্লাহর) প্রমাণপত্র ছাড়া তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না। (আর রহমান [৫৫] : ৩৩)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
হে জ্বিন ও মানুষ সম্প্রদায়! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সীমা তোমরা যদি অতিক্রম করতে পার, তাহলে অতিক্রম কর,[১] কিন্তু কোন শক্তি ব্যতিরেকে তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না। [২]
[১] এই হুমকিও একটি অনুগ্রহ। কেননা, এর ফলে অবাধ্যজন অবাধ্যতা থেকে ফিরে আসে এবং সৎ লোকেরা আরো সৎকর্ম করে।
[২] অর্থাৎ, আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ভাগ্য ও ফায়সালা থেকে পালিয়ে কোথাও যেতে পারলে চলে যাও। কিন্তু এ সাধ্য ও শক্তি কার আছে? আর পালিয়ে যাবেই বা কোথায়? কোন্ জায়গা এমন আছে, যা আল্লাহর আয়ত্তের বাইরে? এটাও হুমকি যা পূর্বের হুমকির ন্যায় নিয়ামতও বটে। কেউ কেউ বলেছেন, এটা হাশরের ময়দানে বলা হবে। যেখানে ফিরিশতারা চতুর্দিক থেকে মানুষকে ঘিরে থাকবেন। উভয় অর্থই নিজ নিজ স্থানে সঠিক।