Skip to main content

اَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَۙ  ( الشرح: ١ )

Have not
أَلَمْ
করি দিই নি?
We expanded
نَشْرَحْ
আমরা উন্মুক্ত
for you
لَكَ
তোমার জন্যে
your breast?
صَدْرَكَ
তোমার বক্ষকে

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

(হে নবী! ওয়াহীর মাধ্যমে প্রকৃত জ্ঞান ও মানসিক শক্তি দিয়ে) আমি কি তোমার বক্ষদেশকে প্রসারিত করে দেইনি?

English Sahih:

Did We not expand for you, [O Muhammad], your breast?

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আমি কি তোমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দিইনি? [১]

[১] পূর্বের সূরায় (মহানবী (সাঃ)-এর প্রতি) তিনটি নিয়ামত বা অনুগ্রহের কথা আলোচনা হয়েছে। এ সূরাতেও মহান আল্লাহ আরো তিনটি অনুগ্রহের কথা উল্লেখ করছেন। তার মধ্যে তাঁর 'বক্ষ প্রশস্ত' করে দেওয়া হল প্রথম অনুগ্রহ। এর অর্থ হল, বক্ষ আলোকিত এবং উদার হওয়া; যাতে সত্য স্পষ্ট হয়ে যায় এবং তার জন্য হৃদয় সংকুলান হয়। একই অর্থে কুরআন কারীমের এই আয়াতওঃ {فَمَن يُرِدِ اللهُ أَن يَهْدِيَهُ يَشْرَحْ صَدْرَهُ لِلإِسْلاَمِ} অর্থাৎ, "আল্লাহ যাকে পথ-প্রদর্শন করতে চান, তার বক্ষকে ইসলামের জন্য প্রশস্ত করে দেন।" (সূরা আনআম ৬;১২৫ আয়াত) অর্থাৎ, সে ইসলামকে সত্য দ্বীন বলে জেনে নেয় এবং তা গ্রহণ করে নেয়। এই 'বক্ষ প্রশস্ত'-এর অর্থে সেই 'বক্ষ বিদীর্ণ' (সিনাচাক)ও এসে যায়; যা বিশুদ্ধ হাদীসানুযায়ী নবী (সাঃ)-এর দু'-দু' বার ঘটেছিলঃ একবার বাল্যকালে যখন তাঁর বয়স ৪ বছর। একদা জিবরীল (আঃ) এলেন এবং নবী (সাঃ)-এর বক্ষ বিদীর্ণ করলেন। আর তাঁর হৃদয়ের ভিতর থেকে শয়তানী রক্তপিন্ডকে বের করে দিয়েছিলেন যা প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে বিদ্যমান থাকে এবং হৃদয় ধৌত করে পুনরায় তা ভরে দিয়ে বক্ষ বন্ধ করে দিলেন। (সহীহ মুসলিম ঈমান অধ্যায়, ইসরা পরিচ্ছেদ) আর একবার তা মি'রাজের সময় ঘটেছিল; জিবরীল (আঃ) তাঁর মুবারক বুকটাকে চিরে তাঁর অন্তরটাকে বের করে যমযমের পানি দিয়ে ধুয়ে পুনরায় স্বস্থানে রেখে দিলেন এবং তা ঈমান ও হিকমত দিয়ে পরিপূর্ণ করে দিলেন। (সহীহাইন মি'রাজ পরিচ্ছেদ এবং নামায অধ্যায়)