Skip to main content

قَالَ اجْعَلْنِيْ عَلٰى خَزَاۤىِٕنِ الْاَرْضِۚ اِنِّيْ حَفِيْظٌ عَلِيْمٌ  ( يوسف: ٥٥ )

He said
قَالَ
সে বললো
"Appoint me
ٱجْعَلْنِى
"আমাকে নিযুক্ত করুন
over
عَلَىٰ
উপর
(the) treasuries
خَزَآئِنِ
ধনভান্ডারের (দায়িত্বের)
(of) the land
ٱلْأَرْضِۖ
দেশের
Indeed I
إِنِّى
নিশ্চয়ই আমি
(will be) a guardian
حَفِيظٌ
বিশ্বস্তরক্ষক
knowing"
عَلِيمٌ
সুবিজ্ঞ"

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

সে (ইউসুফ) বলল- ‘আমাকে দেশের ধন-ভান্ডারের দায়িত্ব দিন, আমি উত্তম রক্ষক ও যথেষ্ট জ্ঞানের অধিকারী।’

English Sahih:

[Joseph] said, "Appoint me over the storehouses of the land. Indeed, I will be a knowing guardian."

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

সে বলল, ‘আমাকে দেশের কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত করুন।[১] নিশ্চয়ই আমি সুসংরক্ষণকারী, সুবিজ্ঞ।’ [২]

[১] خَزَائِنُ শব্দটি خِزَانَةٌ শব্দের বহুবচন। خِزَانَةٌ এমন স্থানকে বলা হয় যেখানে জিনিসপত্র হিফাযতে রাখা হয়। خَزَائِنُ الْأرْضِ বলতে সেই সব গুদামকে বুঝানো হয়েছে, যেখানে রসদ-শস্য জমা করা হতো অর্থাৎ, শস্যাগার। তিনি এ (শস্যাগারের) ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিজ হাতে নেওয়ার ইচ্ছা এই জন্য প্রকাশ করলেন, যাতে (স্বপ্নের তা'বীর বা ব্যাখ্যা অনুসারে) আসন্ন দুর্ভিক্ষের জন্য উচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে শস্য সংরক্ষিত রাখা যেতে পারে। সাধারণ অবস্থায় যদিও পদ বা নেতৃত্ব প্রার্থনা করা বৈধ নয়, কিন্তু ইউসুফ (আঃ)-এর এই পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে জানা যায় যে, বিশেষ অবস্থায় যদি কোন লোক এটা মনে করে যে, জাতি ও রাষ্ট্রের উপর আগত সঙ্কটের উচিত ব্যবস্থার যথাযথ যোগ্যতা আমার মধ্যে বিদ্যমান, যা অন্যের মধ্যে নেই, তাহলে সে নিজের যোগ্যতা অনুসারে এই বিশেষ পদ প্রার্থনা করতে পারে। পক্ষান্তরে ইউসুফ (আঃ) মূলতঃ পদ প্রার্থনাই করেননি। বরং যখন মিসরের রাজা তাঁর সামনে এর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তখন তিনি এমন পদ গ্রহণের ইচ্ছা ব্যক্ত করলেন, যাতে অধিষ্ঠিত থেকে তিনি জাতি ও রাষ্ট্রের সেবা সুন্দর ও সহজভাবে করতে পারেন।


[২] حفيظ অর্থাৎ, আমি শস্যাগারের এমনভাবে সুরক্ষা করব যে, আমি কখনো তার অপব্যয় ঘটতে দিব না। عَلِيْمٌ অর্থাৎ, শস্য জমা করা, ব্যয় করা এবং রাখার ও বের করার উত্তম জ্ঞান রাখি।