Skip to main content

وَالَّذِيْنَ صَبَرُوا ابْتِغَاۤءَ وَجْهِ رَبِّهِمْ وَاَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَاَنْفَقُوْا مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ سِرًّا وَّعَلَانِيَةً وَّيَدْرَءُوْنَ بِالْحَسَنَةِ السَّيِّئَةَ اُولٰۤىِٕكَ لَهُمْ عُقْبَى الدَّارِۙ   ( الرعد: ٢٢ )

wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
And those who
এবং যারা
ṣabarū
صَبَرُوا۟
(are) patient
ধৈর্য ধরে
ib'tighāa
ٱبْتِغَآءَ
seeking
লাভের জন্যে
wajhi
وَجْهِ
(the) Face
সন্তুষ্টি
rabbihim
رَبِّهِمْ
(of) their Lord
তাদের রবের
wa-aqāmū
وَأَقَامُوا۟
and establish
এবং তারা প্রতিষ্ঠা করে
l-ṣalata
ٱلصَّلَوٰةَ
the prayer
সালাত
wa-anfaqū
وَأَنفَقُوا۟
and spend
ও তারা ব্যয় করে
mimmā
مِمَّا
from what
(তা) থেকে যা
razaqnāhum
رَزَقْنَٰهُمْ
We have provided them
আমরা তাদের জীবিকা দিয়েছি
sirran
سِرًّا
secretly
গোপনে
waʿalāniyatan
وَعَلَانِيَةً
and publicly
ও প্রকাশ্যে
wayadraūna
وَيَدْرَءُونَ
and they repel
এবং তারা প্রতিরোধ করে
bil-ḥasanati
بِٱلْحَسَنَةِ
with the good
ভালো দিয়ে
l-sayi-ata
ٱلسَّيِّئَةَ
the evil -
মন্দকে
ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
those
ঐসব লোক
lahum
لَهُمْ
for them
তাদের জন্যে (রয়েছে)
ʿuq'bā
عُقْبَى
(is) the final attainment
পরকালের
l-dāri
ٱلدَّارِ
(of) the Home -
ঘর

Wallazeena sabarub tighaaa'a Wajhi Rabbihim wa aqaamus Salaata wa anfaqoo mimmaa razaqnaahum sirranw wa 'alaaniyatanw wa yadra'oona bilhasanatis saiyi'ata ulaaa'ika lahum 'uqbad daar (ar-Raʿd ১৩:২২)

English Sahih:

And those who are patient, seeking the face [i.e., acceptance] of their Lord, and establish prayer and spend from what We have provided for them secretly and publicly and prevent evil with good – those will have the good consequence of [this] home – (Ar-Ra'd [13] : 22)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা তাদের প্রতিপালকের চেহারা (সন্তুষ্টি) কামনায় ধৈর্য ধারণ করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে, আর আমি তাদেরকে যে জীবিকা দিয়েছি তাত্থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে। তারা অন্যায়কে ন্যায় দ্বারা প্রতিরোধ করে। পরকালের ঘর প্রাপ্তি এদের জন্যই নির্দিষ্ট। (রা'দ [১৩] : ২২)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আর যারা তাদের প্রতিপালকের মুখমন্ডল (দর্শন বা সন্তুষ্টি) লাভের জন্য ধৈর্য ধারণ করে,[১] নামায সুপ্রতিষ্ঠিত করে,[২] আমি তাদেরকে যে জীবনোপকরণ দিয়েছি তা হতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে[৩] এবং যারা ভাল দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করে[৪] তাদের জন্য শুভ পরিণাম (পরকালের গৃহ); [৫]

[১] আল্লাহর অবাধ্যতা এবং পাপ থেকে বেঁচে থাকে। এটা এক প্রকার ধৈর্য। দুঃখ-কষ্টে ধৈর্য ধারণ করে। এটা ধৈর্যের দ্বিতীয় প্রকার। জ্ঞানীরা উভয় প্রকার ধৈর্য অবলম্বন করে।

[২] তার সময়-সীমা বহাল রেখে, বিনয়-নম্রতার সাথে এবং ধীর-স্থির চিত্তে, বিশুদ্ধ-চিত্তে, রসূল (সাঃ)-এর পদ্ধতি অনুযায়ী; নিজের মন মত পদ্ধতিতে নয়।

[৩] যখন যেখানে ব্যয় করার প্রয়োজন হয়, আত্মীয়-অনাত্মীয়ের মাঝে প্রকাশ্যে ও গোপনে ব্যয় করে থাকে।

[৪] অর্থাৎ তাদের সাথে কেউ অসঙ্গত ব্যবহার করলে তারা তার জবাব উত্তম পদ্ধতিতে দিয়ে থাকে, অথবা ক্ষমা করে দিয়ে ধৈর্য ধারণ করে নেয়। যেমন মহান আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন; ﴿ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ﴾ অর্থাৎ, মন্দের জবাব উত্তম পদ্ধতিতে দাও, (যদি তোমরা এমনটি কর) তাহলে যে ব্যক্তি তোমার শত্রু, সে এমন হয়ে যাবে যেন সে তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধু। (সূরা হা-মীম সাজদাহ ৪১;৩৪)

[৫] অর্থাৎ যে এই উন্নত চরিত্রের অধিকারী হবে এবং উল্লিখিত গুণাবলীতে গুণান্বিত হবে, তার জন্য রয়েছে শুভ পরিণামের গৃহ (বেহেশত)।