Skip to main content

وَلَا يَأْتَلِ اُولُو الْفَضْلِ مِنْكُمْ وَالسَّعَةِ اَنْ يُّؤْتُوْٓا اُولِى الْقُرْبٰى وَالْمَسٰكِيْنَ وَالْمُهٰجِرِيْنَ فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ ۖوَلْيَعْفُوْا وَلْيَصْفَحُوْاۗ اَلَا تُحِبُّوْنَ اَنْ يَّغْفِرَ اللّٰهُ لَكُمْ ۗوَاللّٰهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ  ( النور: ٢٢ )

walā
وَلَا
And not
আর না (যেন)
yatali
يَأْتَلِ
let swear
শপথ গ্রহণ করে
ulū
أُو۟لُوا۟
those of virtue
অধিকারীরা
l-faḍli
ٱلْفَضْلِ
those of virtue
অনুগ্রহের
minkum
مِنكُمْ
among you
তোমাদের মধ্য থেকে
wal-saʿati
وَٱلسَّعَةِ
and the amplitude of means
ও প্রাচুর্যের (অধিকারীরা)
an
أَن
that
যে
yu'tū
يُؤْتُوٓا۟
they give
তারা দিবে (না)
ulī
أُو۟لِى
(to) the near of kin
অধিকারীদের
l-qur'bā
ٱلْقُرْبَىٰ
(to) the near of kin
নৈকট্যের (আত্মীয় স্বজনকে)
wal-masākīna
وَٱلْمَسَٰكِينَ
and the needy
ও অভাবগ্রস্তদেরকে
wal-muhājirīna
وَٱلْمُهَٰجِرِينَ
and the emigrants
ও মুহাজিরদেরকে
فِى
in
মধ্যে
sabīli
سَبِيلِ
(the) way
পথের
l-lahi
ٱللَّهِۖ
(of) Allah
আল্লাহ্‌র
walyaʿfū
وَلْيَعْفُوا۟
And let them pardon
এবং যেন তারা ক্ষমা করে দেয়
walyaṣfaḥū
وَلْيَصْفَحُوٓا۟ۗ
and let them overlook
এবং যেন দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা করে
alā
أَلَا
(Do) not
না কি
tuḥibbūna
تُحِبُّونَ
you like
তোমরা পছন্দ করো
an
أَن
that
যে
yaghfira
يَغْفِرَ
Allah should forgive
ক্ষমা করবেন
l-lahu
ٱللَّهُ
Allah should forgive
আল্লাহ্‌
lakum
لَكُمْۗ
you?
তোমাদেরকে
wal-lahu
وَٱللَّهُ
And Allah
আর আল্লাহ্‌
ghafūrun
غَفُورٌ
(is) Oft-Forgiving
বড় ক্ষমাশীল
raḥīmun
رَّحِيمٌ
Most Merciful
পরম দয়ালু

Wa laa yaatali ulul fadli minkum wassa'ati ai yu'tooo ulil qurbaa walmasaakeena walmuhaajireena fee sabeelillaahi walya'foo walyasfahoo; alaa tuhibboona ai yaghfiral laahu lakum; wal laahu Ghafoorur Raheem (an-Nūr ২৪:২২)

English Sahih:

And let not those of virtue among you and wealth swear not to give [aid] to their relatives and the needy and the emigrants for the cause of Allah, and let them pardon and overlook. Would you not like that Allah should forgive you? And Allah is Forgiving and Merciful. (An-Nur [24] : 22)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তোমাদের মধ্যে যারা মর্যাদা ও প্রাচুর্যের অধিকারী তারা যেন শপথ না করে যে, তারা আত্মীয়-স্বজন, মিসকীন এবং আল্লাহর পথে হিজরাতকারীদেরকে সাহায্য করবে না। তারা যেন তাদেরকে ক্ষমা করে ও তাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি উপেক্ষা করে। তোমরা কি পছন্দ কর না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিন? আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু। (আন-নূর [২৪] : ২২)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তোমাদের মধ্যে যারা ঐশ্বর্য ও প্রাচুর্যের অধিকারী তারা যেন শপথ গ্রহণ না করে যে, তারা আত্মীয়-স্বজন ও অভাবগ্রস্তকে এবং আল্লাহর রাস্তায় যারা গৃহত্যাগ করেছে, তাদের কিছুই দেবে না; তারা যেন ওদেরকে ক্ষমা করে এবং ওদের দোষ-ত্রুটি মার্জনা করে। তোমরা কি পছন্দ করো না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিন? [১] আর আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়াময়।

[১] মিসত্বাহ, যিনি আয়েশা (রাঃ) -র চরিত্রে অপবাদ রটনার ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন, তিনি একজন গরীব মুহাজির ছিলেন। আত্মীয়তার দিক দিয়ে আবু বাকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর খালাতো ভাই ছিলেন। এই জন্য তিনি তাঁর তত্তাবধায়ক ও ভরণপোষণের দায়িত্বশীল ছিলেন। যখন তিনিও (কন্যা) আয়েশা (রাঃ) -র বিরুদ্ধে চক্রান্তে শরীক হয়ে পড়েন, তখন আবু বাকর সিদ্দীক (রাঃ) অত্যন্ত মর্মাহত ও দুঃখিত হন; আর তা ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। সুতরাং পবিত্রতার আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর তিনি কসম করে বসলেন যে, আগামীতে তিনি মিসত্বাহকে কোন প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করবেন না। আবু বাকর সিদ্দীক (রাঃ)-এর এই শপথ যদিও মানব প্রকৃতির অনুকূলই ছিল, তবুও সিদ্দীকের মর্যাদা এর চাইতে উচ্চ চরিত্রের দাবীদার ছিল। সুতরাং তা আল্লাহর পছন্দ ছিল না। যার কারণে তিনি এই আয়াত অবতীর্ণ করলেন, যাতে অত্যন্ত স্নেহ-বাৎসল্যের সাথে তাঁর শীঘ্রতাপ্রবণ মানবীয় আচরণের উপর সতর্ক করলেন যে, তোমাদের ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে। আর তোমরা চাও যে, মহান আল্লাহ তোমাদের সে ভুল-ত্রুটিকে ক্ষমা করে দেন। তাহলে তোমরা অন্যের সাথে ক্ষমা-সুন্দর আচরণ কর না কেন? তোমরা কি চাও না যে, মহান আল্লাহ তোমাদের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করুন? কুরআনের এই বর্ণনা-ভঙ্গি এতই প্রভাবশালী ছিল যে, তা শোনার সাথে সাথে সহসা আবু বাকর (রাঃ)-এর মুখ হতে বের হল, 'কেন নয়? হে আমাদের প্রভু! আমরা নিশ্চয় চাই যে, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর।' এরপর তিনি কসমের কাফফারা দিয়ে পূর্বের ন্যায় মিসত্বাহকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে শুরু করেন। (ফাতহুল কাদীর, ইবনে কাসীর)