Skip to main content

اِنَّ الَّذِيْنَ يَرْمُوْنَ الْمُحْصَنٰتِ الْغٰفِلٰتِ الْمُؤْمِنٰتِ لُعِنُوْا فِى الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيْمٌ ۙ  ( النور: ٢٣ )

Indeed
إِنَّ
নিশ্চয়ই
those who
ٱلَّذِينَ
যারা
accuse
يَرْمُونَ
অপবাদ দেয়
the chaste women
ٱلْمُحْصَنَٰتِ
পবিত্র রমনীরা
the unaware women
ٱلْغَٰفِلَٰتِ
সাদাসিধা
(and) the believing women
ٱلْمُؤْمِنَٰتِ
মু'মিন নারীদেরকে
are cursed
لُعِنُوا۟
তারা অভিশপ্ত
in
فِى
মধ্যে
the world
ٱلدُّنْيَا
দুনিয়ার
and the Hereafter
وَٱلْءَاخِرَةِ
ও আখিরাতে
And for them
وَلَهُمْ
এবং জন্যে তাদের
(is) a punishment
عَذَابٌ
শাস্তি (রয়েছে)
great
عَظِيمٌ
কঠিন

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যারা সতী-সাধ্বী, সহজ-সরল ঈমানদার নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত আর তাদের জন্য আছে গুরুতর শাস্তি।

English Sahih:

Indeed, those who [falsely] accuse chaste, unaware and believing women are cursed in this world and the Hereafter; and they will have a great punishment.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

যারা সাধ্বী, নিরীহ ও বিশ্বাসী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা ইহলোক ও পরলোকে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য আছে মহাশাস্তি। [১]

[১] কিছু মুফাসসির মনে করেন যে, এই আয়াতে বিশেষ করে আয়েশা (রাঃ) ও নবী (সাঃ)-এর অন্যান্য পবিত্রা স্ত্রীদের উপর অপবাদ দেওয়ার শাস্তির কথা বলা হয়েছে। আর তা হল এই যে, তাদের তওবার সুযোগ নেই। পক্ষান্তরে অন্য কিছু মুফাসসিরগণ এটিকে সকল মু'মিন মহিলাদের জন্য ব্যাপক বলে ব্যক্ত করেছেন। আর তাতে অপবাদ আরোপের সেই শাস্তির কথাই বলা হয়েছে, যা পূর্বে বলা হয়েছে। যদি অপবাদ আরোপকারী মুসলিম হয়, তাহলে তার অভিশপ্ত হওয়ার অর্থ হবে, সে দুনিয়াতে শাস্তিযোগ্য ও মুসলিমদের ঘৃণার পাত্র এবং তাদের সমাজ হতে দূরে থাকার যোগ্য। আর যদি অমুসলিম হয়, তাহলে এর অর্থ স্পষ্ট যে, সে দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহর রহমত হতে বিতাড়িত ও বঞ্চিত।