قَالُوْا سُبْحٰنَكَ مَا كَانَ يَنْۢبَغِيْ لَنَآ اَنْ نَّتَّخِذَ مِنْ دُوْنِكَ مِنْ اَوْلِيَاۤءَ وَلٰكِنْ مَّتَّعْتَهُمْ وَاٰبَاۤءَهُمْ حَتّٰى نَسُوا الذِّكْرَۚ وَكَانُوْا قَوْمًاۢ بُوْرًا ( الفرقان: ١٨ )
Qaaloo Subhaanaka maa kaana yambaghee lanaaa an nattakhiza min doonika min awliyaaa'a wa laakim matta'tahum wa aabaaa'ahum hattaa nasuz zikra wa kaanoo qawmam booraa (al-Furq̈ān ২৫:১৮)
English Sahih:
They will say, "Exalted are You! It was not for us to take besides You any allies [i.e., protectors]. But You provided comforts for them and their fathers until they forgot the message and became a people ruined." (Al-Furqan [25] : 18)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তারা বলবে ; ‘পবিত্র ও মহান তুমি। আমাদের জন্য শোভনীয় ছিল না যে তোমাকে বাদ দিয়ে অন্যান্য ইলাহ গ্রহণ করব, বরং তুমি ওদেরকে আর ওদের পিতৃপুরুষদেরকে দিয়েছিলে পার্থিব ভোগ সম্ভার, পরিণামে তারা ভুলে গিয়েছিল (তোমার প্রেরিত) বাণী, যার ফলে তারা পরিণত হল এক ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিতে। (আল-ফুরকান [২৫] : ১৮)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
ওরা বলবে, ‘পবিত্র ও মহান তুমি! তোমার পরিবর্তে আমরা অন্যকে অভিভাবক রূপে গ্রহণ করতে পারি না।[১] তুমিই তো এদেরকে এবং এদের পিতৃপুরুষদেরকে ভোগসম্ভার দিয়েছিলে; পরিণামে ওরা উপদেশ বিস্মৃত হয়েছিল এবং এক ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিতে পরিণত হয়েছিল।’ [২]
[১] অর্থাৎ, যখন আমরা নিজেরাই তুমি ছাড়া আর কাউকেও অভিভাবক কর্মবিধায়ক মনে করি না, তাহলে আমরা তাদেরকে কিরূপে বলতে পারে যে, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে আমাদেরকে অভিভাবক ও কর্মবিধায়ক মনে কর?
[২] এটি হল শিরকের একটি কারণ। অর্থাৎ, পৃথিবীর ধন-সম্পদ ও বিলাস-সামগ্রীর আধিক্য তোমার স্মরণ হতে তাদেরকে দূরে রেখেছিল এবং ধ্বংস তাদের ভাগ্যে পরিণত হয়েছিল।