Skip to main content

اَمَّنْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَاَنْزَلَ لَكُمْ مِّنَ السَّمَاۤءِ مَاۤءً فَاَنْۢبَتْنَا بِهٖ حَدَاۤىِٕقَ ذَاتَ بَهْجَةٍۚ مَا كَانَ لَكُمْ اَنْ تُنْۢبِتُوْا شَجَرَهَاۗ ءَاِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ۗبَلْ هُمْ قَوْمٌ يَّعْدِلُوْنَ ۗ   ( النمل: ٦٠ )

amman
أَمَّنْ
Or Who
অথবা কে (এমন আছেন)
khalaqa
خَلَقَ
has created
যিনি সৃষ্টি করেছেন
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
the heavens
আকাশমন্ডলী
wal-arḍa
وَٱلْأَرْضَ
and the earth
ও পৃথিবীকে
wa-anzala
وَأَنزَلَ
and sent down
ও বর্ষণ করেছেন
lakum
لَكُم
for you
তোমাদের জন্যে
mina
مِّنَ
from
হ'তে
l-samāi
ٱلسَّمَآءِ
the sky
আকাশ
māan
مَآءً
water?
পানি
fa-anbatnā
فَأَنۢبَتْنَا
And We caused to grow
অতঃপর আমরাই উৎপন্ন করেছি
bihi
بِهِۦ
thereby
তা দ্বারা
ḥadāiqa
حَدَآئِقَ
gardens
বাগানসমূহ
dhāta
ذَاتَ
of beauty (and delight)
মন্ডিত
bahjatin
بَهْجَةٍ
of beauty (and delight)
শোভা
مَّا
not
না
kāna
كَانَ
it is
(সম্ভব) ছিলো
lakum
لَكُمْ
for you
তোমাদের জন্যে
an
أَن
that
যে
tunbitū
تُنۢبِتُوا۟
you cause to grow
তোমরা উৎপন্ন করবে
shajarahā
شَجَرَهَآۗ
their trees
তার গাছ-পালা
a-ilāhun
أَءِلَٰهٌ
Is there any god
তবে কি (আছে) কোনো ইলাহ
maʿa
مَّعَ
with
সাথে
l-lahi
ٱللَّهِۚ
Allah?
আল্লাহর (এ কাজে)
bal
بَلْ
Nay
বরং
hum
هُمْ
they
তারা
qawmun
قَوْمٌ
(are) a people
(এমন) সম্প্রদায়
yaʿdilūna
يَعْدِلُونَ
who ascribe equals
যারা সত্যবিচ্যুত হচ্ছে

Amman khalaqas samaawaati wal arda wa anzala lakum minas samaaa'i maaa'an fa ambatnaa bihee hadaaa'iqa zaata bahjjah; maa kanna lakum an tumbitoo shajarahaa; 'a-ilaahum ma'al laah; bal hum qawmuny ya'diloon (an-Naml ২৭:৬০)

English Sahih:

[More precisely], is He [not best] who created the heavens and the earth and sent down for you rain from the sky, causing to grow thereby gardens of joyful beauty which you could not [otherwise] have grown the trees thereof? Is there a deity with Allah? [No], but they are a people who ascribe equals [to Him]. (An-Naml [27] : 60)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

নাকি তিনিই (শ্রেষ্ঠ) যিনি সৃষ্টি করেছেন আসমানসমূহ ও পৃথিবী এবং তোমাদের জন্য আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা আমি মনোরম উদ্যানরাজি উদগত করি, তার বৃক্ষাদি উদগত করার ক্ষমতা তোমাদের নেই। আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহ আছে কি? বরং তারা হচ্ছে এক ন্যায়-বিচ্যুত সম্প্রদায়। (নমল [২৭] : ৬০)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

অথবা তিনি, যিনি সৃষ্টি করেছেন আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং আকাশ হতে তোমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ করেন; অতঃপর তা দিয়ে মনোরম উদ্যান সৃষ্টি করেন। ওর বৃক্ষাদি উদগত করার ক্ষমতা তোমাদের নেই।[১] আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? [২] তবুও ওরা এমন এক সম্প্রদায় যারা সত্য বিচ্যুত হয়। [৩]

[১] এখানে পূর্বের বাক্যের ব্যাখ্যা ও তার প্রমাণ দেওয়া হচ্ছে যে, সেই আল্লাহই সৃষ্টি, রুযী তথা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদিতে একক; তাঁর কোন শরীক নেই। বলছেন যে, আকাশকে এত উঁচু ও সুন্দর করে সৃষ্টিকারী ও চলমান গ্রহ-নক্ষত্র সৃষ্টিকারী অনুরূপ পৃথিবী ও তার মাঝে পাহাড়, নদ-নদী, সমুদ্র, গাছ-পালা, ফল-ফসল, নানা প্রকারের পশু-পক্ষী সৃষ্টিকারী, আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ করে সুন্দর বাগান উৎপাদনকারী কে? তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে, কেবলমাত্র পৃথিবী হতে গাছ সৃষ্টি করতে পারে? এ সবের উত্তরে মুশরিকরাও বলত এবং স্বীকার করত যে, এ সব কিছুর কর্তা একমাত্র আল্লাহ। যেমন, এ কথা কুরআনের অন্য জায়গায়ও রয়েছে। (সূরা আনকাবূত ২৯;৬৩ নং আয়াত)

[২] এ সকল বাস্তবতার পরেও আল্লাহর সাথে এমন কোন্ সত্তা আছে, যে ইবাদতের যোগ্য? বা কেউ উক্ত জিনিসগুলির মধ্যে কোন একটিকে সৃষ্টি করেছে? অর্থাৎ, কেউ এমন নেই যে, সে কিছু সৃষ্টি করেছে বা ইবাদতের যোগ্য। এই সব আয়াতে أَمَّن এর অর্থ হল যে, সেই সত্তা যিনি ঐ সকল জিনিসের সৃষ্টিকর্তা, তিনি কি ওর মত, যে এর মধ্যে কোন জিনিস সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখে না? (ইবনে কাসীর)

[৩] يَعدِلُون এর অন্য এক অনুবাদ হল যে, তারা আল্লাহর সমকক্ষ ও সমতুল্য স্থির করে?