Skip to main content

يٰبُنَيَّ اَقِمِ الصَّلٰوةَ وَأْمُرْ بِالْمَعْرُوْفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَاصْبِرْ عَلٰى مَآ اَصَابَكَۗ اِنَّ ذٰلِكَ مِنْ عَزْمِ الْاُمُوْرِ  ( لقمان: ١٧ )

yābunayya
يَٰبُنَىَّ
O my son!
হে আমার পুত্র
aqimi
أَقِمِ
Establish
প্রতিষ্ঠা করো
l-ṣalata
ٱلصَّلَوٰةَ
the prayer
সালাত
wamur
وَأْمُرْ
and enjoin
ও নির্দেশ দাও
bil-maʿrūfi
بِٱلْمَعْرُوفِ
[with] the right
সৎকাজের প্রতি
wa-in'ha
وَٱنْهَ
and forbid
এবং নিষেধ করো
ʿani
عَنِ
from
থেকে
l-munkari
ٱلْمُنكَرِ
the wrong
অসৎকাজ
wa-iṣ'bir
وَٱصْبِرْ
and be patient
এবং ধৈর্য ধরো
ʿalā
عَلَىٰ
over
(ঐ বিষয়ের) উপর
مَآ
what
যা
aṣābaka
أَصَابَكَۖ
befalls you
তোমার উপর আপতিত হবে
inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
dhālika
ذَٰلِكَ
that
এটা
min
مِنْ
(is) of
অন্তর্ভুক্ত
ʿazmi
عَزْمِ
the matters requiring determination
দৃঢ় সংকল্পের (সাহসের)
l-umūri
ٱلْأُمُورِ
the matters requiring determination
কাজসমূহের

Yaa bunaiya aqimis-Salaata waamur bilma'roofi wanha 'anil munkari wasbir 'alaa maaa asaabaka inna zaalika min 'azmil umoor (Luq̈mān ৩১:১৭)

English Sahih:

O my son, establish prayer, enjoin what is right, forbid what is wrong, and be patient over what befalls you. Indeed, [all] that is of the matters [requiring] resolve. (Luqman [31] : 17)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

হে বৎস! তুমি নামায কায়িম কর, সৎ কাজের নির্দেশ দাও আর মন্দ কাজ হতে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে ধৈর্যধারণ কর। নিশ্চয় এটা দৃঢ় সংকল্পের কাজ। (লোকমান [৩১] : ১৭)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

হে বৎস ! যথারীতি নামায পড়, সৎকাজের নির্দেশ দাও, অসৎকাজে বাধা দান কর এবং আপদে-বিপদে ধৈর্য ধারণ কর। [১] নিশ্চয়ই এটিই দৃঢ় সংকল্পের কাজ। [২]

[১] নামায প্রতিষ্ঠা, ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে বাধা দান এবং মুসীবতে ধৈর্যধারণ করার কথা উল্লেখ এই জন্য করা হয়েছে যে, উক্ত তিনটিই গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ও ভাল কাজের মূল বা ভিত্তি।

[২] অর্থাৎ, পূর্বে আলোচিত কথাগুলি ঐ সকল কর্মের অন্তর্ভুক্ত, যে বিষয়ে আল্লাহ্ তাআলা তাকীদ করেছেন এবং বান্দার উপর তা ফরয করেছেন। অথবা এ হল শক্ত মনোবল ও সুদৃঢ় হিম্মত সৃষ্টি করার জন্য উদ্বুদ্ধকারী। কারণ শক্ত মনোবল ও সুদৃঢ় হিম্মত ছাড়া উল্লিখিত নির্দেশাবলীর উপর আমল অসম্ভব। কোন কোন মুফাসসিরের মতে ذلك (এটি) বলে ধৈর্যের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। ইতিপূর্বে ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধের অসিয়ত করা হয়েছে। যেহেতু সে পথে বিভিন্ন কষ্ট ও মানুষের কথার খোঁচা ইত্যাদি হওয়াটা স্বাভাবিক সেহেতু তার পরেই ধৈর্যধারণের কথা বলে পরিষ্কার বুঝানো হয়েছে যে, ধৈর্যধারণ করবে। কেননা, তা শক্ত মনোবল ও সুদৃঢ় হিম্মতের কাজ। আর তা শক্ত মনোবল ও সুদৃঢ় হিম্মত পোষণকারী সংকল্পবদ্ধ মানুষদের জন্য একটা বড় হাতিয়ার; যে হাতিয়ার ছাড়া তবলীগের কাজ করা সম্ভব নয়।