Skip to main content

وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ سَنُدْخِلُهُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِيْنَ فِيْهَآ اَبَدًاۗ لَهُمْ فِيْهَآ اَزْوَاجٌ مُّطَهَّرَةٌ ۙ وَّنُدْخِلُهُمْ ظِلًّا ظَلِيْلًا   ( النساء: ٥٧ )

wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
And those who
এবং যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
believe[d]
ঈমান এনেছে
waʿamilū
وَعَمِلُوا۟
and did
ও কাজ করেছে
l-ṣāliḥāti
ٱلصَّٰلِحَٰتِ
the good deeds
নেকীর
sanud'khiluhum
سَنُدْخِلُهُمْ
We will admit them
তাদের প্রবেশ করাব আমরা
jannātin
جَنَّٰتٍ
(in) Gardens
জান্নাতে
tajrī
تَجْرِى
flows
প্রবাহিত হয়
min
مِن
from
(থেকে)
taḥtihā
تَحْتِهَا
underneath it
তার পাদদেশে
l-anhāru
ٱلْأَنْهَٰرُ
the rivers
ঝর্ণাধারা
khālidīna
خَٰلِدِينَ
will abide
চিরস্থায়ী হবে তারা
fīhā
فِيهَآ
in it
তার মধ্যে
abadan
أَبَدًاۖ
forever
অনন্তকাল ধরে
lahum
لَّهُمْ
For them
তাদের জন্য
fīhā
فِيهَآ
in it
তাঁর মধ্যে (আছে)
azwājun
أَزْوَٰجٌ
(are) spouses
স্ত্রীরা
muṭahharatun
مُّطَهَّرَةٌۖ
pure
পূত পবিত্রা
wanud'khiluhum
وَنُدْخِلُهُمْ
and We will admit them
ও তাদের প্রবেশ করাব আমরা
ẓillan
ظِلًّا
(in the) shade
ছায়ায়
ẓalīlan
ظَلِيلًا
thick
ঘন

Wallazeena aamanoo wa 'amilus saalihaati sanud khiluum jannaatin tajree min tahtihal anhaaru khaalideena feehaaa abadaa, lahum feehaaa azwaajum mutahharatun wa nudkhiluhum zillan zaleelaa (an-Nisāʾ ৪:৫৭)

English Sahih:

But those who believe and do righteous deeds – We will admit them to gardens beneath which rivers flow, wherein they abide forever. For them therein are purified spouses, and We will admit them to deepening shade. (An-Nisa [4] : 57)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে নিশ্চয়ই আমি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করব যার নিম্নে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরবাসী হবে, তাতে তাদের জন্য থাকবে পবিত্র স্ত্রী এবং আমি তাদেরকে চির স্নিগ্ধ ঘন ছায়ায় দাখিল করব। (আন নিসা [৪] : ৫৭)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আর যারা বিশ্বাস করে ও ভাল কাজ করে[১] তাদেরকে বেহেশ্তে প্রবেশ করাব; যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, সেখানে তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী আছে এবং তাদেরকে চিরস্নিগ্ধ ঘন ছায়ায় স্থান দান করব। [২]

[১] কাফেরদের বিপরীত ঈমানদারদের জন্য জান্নাতে নিরবচ্ছিন্ন যে নিয়ামত হবে এই আয়াতে তার আলোচনা করা হচ্ছে। তবে ঈমানদার বলতে এমন ঈমানদার ব্যক্তিবর্গ যাদের থাকবে অধিকহারে সৎকর্মের সম্বল। - جَعَلَنَا اللهُ مِنْهُم - মহান আল্লাহ কুরআন মাজীদের প্রত্যেক স্থানে ঈমানের সাথে সাথে সৎকর্মের কথা উল্লেখ করে এ কথা পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, এরা (ঈমান ও সৎকর্ম) আপোসে একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। নেক আমল ছাড়া ঈমান হল ঐরূপ, যেরূপ সুবাসবিহীন ফুল এবং ফলবিহীন গাছ। সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এবং ইসলামের স্বর্ণযুগের মুসলিমরা এ কথা অনুধাবন করে নিয়েছিলেন। তাই তাঁদের জীবন ছিল ঈমানের ফল আমল দ্বারা পরিপূর্ণ। সে যুগে আমলবিহীন বা মন্দ আমলের সাথে ঈমানের কথা কল্পনাই করা যেত না। পক্ষান্তরে বর্তমানে কেবল মৌখিক জমা-খরচের নাম হয়েছে ঈমান। ঈমানের দাবীদারদের ঝুলি নেক আমল থেকে খালি।-هَدَانَا اللهُ تَعَالى- আবার অনেকে সততা, আমানতদারী, দয়া-দাক্ষিণ্য এবং অপরের দুঃখ মোচনের কাজ সহ আরো অনেক নৈতিকতার এমন কাজ করে, যা সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত; কিন্তু ঈমানের মূলধন থেকে সে বঞ্চিত থাকে। ফলে তার এই কর্মসমূহ দুনিয়াতে তার প্রসিদ্ধি এবং সুনামের মাধ্যম সাব্যস্ত হলেও আখেরাতে আল্লাহর নিকট তার কোন মূল্য থাকবে না। কারণ, নেক আমলকে আল্লাহর নিকট লাভদায়ক সাব্যস্তকারী ঈমানই তার মধ্যে নেই। বরং তার নেক আমলের ভিত্তি ছিল পার্থিব স্বার্থ অথবা জাতিগত অভ্যাস ও নৈতিকতা।

[২] চিরস্নিগ্ধ ঘন এবং পবিত্র ছায়া বলতে পরিপূর্ণ আরামকে বুঝানো হয়েছে। একটি হাদীসে এসেছে যে, "জান্নাতে একটি গাছ আছে; যার ছায়া এত সুদীর্ঘ যে, এক সওয়ার শত বছর চলার পরও তা অতিক্রম করতে পারবে না। এটা হল, 'শাজারাতুল খুলদ' (চিরস্থায়িত্বের গাছ)।"

(মুসনাদ আহমদ ২/৪৫৫ এর মূল অংশ বুখারীতে জান্নাতের বিবরণ অধ্যায় রয়েছে।)