Skip to main content

اِنَّ الَّذِيْنَ قَالُوْا رَبُّنَا اللّٰهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوْا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلٰۤىِٕكَةُ اَلَّا تَخَافُوْا وَلَا تَحْزَنُوْا وَاَبْشِرُوْا بِالْجَنَّةِ الَّتِيْ كُنْتُمْ تُوْعَدُوْنَ  ( فصلت: ٣٠ )

inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
alladhīna
ٱلَّذِينَ
those who
যারা
qālū
قَالُوا۟
say
বলে
rabbunā
رَبُّنَا
"Our Lord
"আমাদের রব
l-lahu
ٱللَّهُ
(is) Allah"
আল্লাহ-ই"
thumma
ثُمَّ
then
অতঃপর
is'taqāmū
ٱسْتَقَٰمُوا۟
stand firm -
তারা অবিচল থাকে
tatanazzalu
تَتَنَزَّلُ
will descend
অবতীর্ণ হয়
ʿalayhimu
عَلَيْهِمُ
on them
তাদের উপর
l-malāikatu
ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ
the Angels
ফেরেশতারা (আর বলে)
allā
أَلَّا
"Do not
"যে না
takhāfū
تَخَافُوا۟
fear
তোমরা ভয় করো
walā
وَلَا
and (do) not
আর না
taḥzanū
تَحْزَنُوا۟
grieve
তোমরা চিন্তা করো
wa-abshirū
وَأَبْشِرُوا۟
but receive the glad tidings
এবং তোমরা সুসংবাদ শুনে খুশি হও
bil-janati
بِٱلْجَنَّةِ
of Paradise
(সেই) জান্নাতের
allatī
ٱلَّتِى
which
যার
kuntum
كُنتُمْ
you were
তোমাদের
tūʿadūna
تُوعَدُونَ
promised
প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো

Innal lazeena qaaloo Rabbunal laahu summas taqaamoo tatanazzalu 'alaihimul malaaa 'ikatu allaa takhaafoo wa laa tahzanoo wa abshiroo bil Jannnatil latee kuntum too'adoon (Fuṣṣilat ৪১:৩০)

English Sahih:

Indeed, those who have said, "Our Lord is Allah" and then remained on a right course – the angels will descend upon them, [saying], "Do not fear and do not grieve but receive good tidings of Paradise, which you were promised. (Fussilat [41] : 30)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যারা বলে- আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, অতঃপর (সে কথার উপর) সুদৃঢ় থাকে, ফেরেশতারা তাদের নিকট অবতীর্ণ হয় আর বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না, আর জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ কর যার ওয়া‘দা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে। (হা-মীম সেজদাহ [৪১] : ৩০)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

নিশ্চয় যারা বলে, ‘আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ’[১] তারপর তাতে অবিচলিত থাকে,[২] তাদের নিকট ফিরিশতা অবতীর্ণ হয় (এবং বলে),[৩] ‘তোমরা ভয় পেয়ো না, চিন্তিত হয়ো না[৪] এবং তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার সুসংবাদ নাও।[৫]

[১] অর্থাৎ, এক আল্লাহ তাঁর কোন শরীক নেই। প্রতিপালকও তিনিই এবং উপাস্যও তিনিই। এ রকম নয় যে, তাঁর প্রতিপালকত্বকে কেবল স্বীকার করবে এবং উপাস্যত্বের ব্যাপারে অন্যকেও শরীক করবে।

[২] অর্থাৎ, কঠিন থেকে কঠিনতর অবস্থাতেও ঈমান ও তাওহীদের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে এবং তা থেকে আদৌ বিমুখ হয় না। কেউ কেউ এখানে এই 'ইস্তিক্বামাত'এর অর্থ করেছেন, ইখলাস। অর্থাৎ, বিশুদ্ধচিত্তে কেবল এক আল্লাহরই ইবাদত ও আনুগত্য করে। যেমন, হাদীসেও এসেছে যে, এক ব্যক্তি রসূল (সাঃ)-কে বলল, আমাকে এমন কথা বলে দিন যে, আপনার পর যেন আমার অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন না হয়। তখন রসূল (সাঃ) তাকে বললেন, (قُلْ آمَنْتُ بِاللهِ ثُمَّ اسْتَقِمْ) "তুমি বল, আমি আল্লাহর উপর ঈমান আনলাম। অতঃপর তারই উপর অবিচল থাক।" (মুসলিমঃ কিতাবুল ঈমান)

[৩] অর্থাৎ, মৃত্যুর সময় বলে। কেউ কেউ বলেছেন, ফিরিশতাগণ এই সুসংবাদ তিন সময়ে দেন; মৃত্যুর সময়, কবরে এবং কবর থেকে পুনরায় উঠানোর সময়।

[৪] আখেরাতে যে সকল অবস্থার সম্মুখীন হবে, তার ব্যাপারে কোন আশঙ্কা করো না এবং দুনিয়াতে ধন-মাল ও সন্তান-সন্ততি যে ছেড়ে এসেছ, সে ব্যাপারেও কোন দুঃখ করো না।

[৫] অর্থাৎ, দুনিয়াতে যার প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেওয়া হয়েছিল।