Skip to main content

وَاِذْ صَرَفْنَآ اِلَيْكَ نَفَرًا مِّنَ الْجِنِّ يَسْتَمِعُوْنَ الْقُرْاٰنَۚ فَلَمَّا حَضَرُوْهُ قَالُوْٓا اَنْصِتُوْاۚ فَلَمَّا قُضِيَ وَلَّوْا اِلٰى قَوْمِهِمْ مُّنْذِرِيْنَ   ( الأحقاف: ٢٩ )

wa-idh
وَإِذْ
And when
এবং (স্মরণ কর)যখন
ṣarafnā
صَرَفْنَآ
We directed
আমরা আকৃষ্ট করে দিয়েছিলাম
ilayka
إِلَيْكَ
to you
তোমার দিকে
nafaran
نَفَرًا
a party
এক দলকে
mina
مِّنَ
of
মধ্য হতে
l-jini
ٱلْجِنِّ
the jinn
জিনদের
yastamiʿūna
يَسْتَمِعُونَ
listening
তারা শুনতে পায়
l-qur'āna
ٱلْقُرْءَانَ
(to) the Quran
কুরআন (তেলাওয়াত)
falammā
فَلَمَّا
And when
অতঃপর যখন
ḥaḍarūhu
حَضَرُوهُ
they attended it
তারা সেখানে উপস্থিত হলো
qālū
قَالُوٓا۟
they said
তারা বলল
anṣitū
أَنصِتُوا۟ۖ
"Listen quietly"
"তোমরা চুপ করে শোনো"
falammā
فَلَمَّا
And when
অতঃপর যখন
quḍiya
قُضِىَ
it was concluded
শেষ হল
wallaw
وَلَّوْا۟
they turned back
তারা ফিরে গেল
ilā
إِلَىٰ
to
দিকে
qawmihim
قَوْمِهِم
their people
তাদের জাতির
mundhirīna
مُّنذِرِينَ
(as) warners
সতর্ককারী হয়ে

Wa iz sarafinaaa ilaika nafaram minal jinni yastami'oonal Quraana falammaa hadaroohu qaalooo ansitoo falammaa qudiya wallaw ilaa qawmihim munzireen (al-ʾAḥq̈āf ৪৬:২৯)

English Sahih:

And [mention, O Muhammad], when We directed to you a few of the jinn, listening to the Quran. And when they attended it, they said, "Listen attentively." And when it was concluded, they went back to their people as warners. (Al-Ahqaf [46] : 29)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

স্মরণ কর, যখন জ্বিনদের একটি দলকে তোমার প্রতি ফিরিয়ে দিয়েছিলাম যারা কুরআন শুনছিল। তারা যখন সে স্থানে উপস্থিত হল, তখন তারা পরস্পরে বলল- চুপ করে শুন। পড়া যখন শেষ হল তখন তারা তাদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেল সতর্ককারীরূপে। (আল আহক্বাফ [৪৬] : ২৯)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করেছিলাম একদল জ্বিনকে, যারা কুরআন পাঠ শুনছিল, যখন তারা তার (নবীর) নিকট উপস্থিত হল, তারা একে অপরকে বলতে লাগল, ‘চুপ করে শ্রবণ কর।’[১] যখন কুরআন পাঠ সমাপ্ত হল,[২] তখন তারা তাদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে গেল সতর্ককারীরূপে।

[১] সহীহ মুসলিম শরীফের বর্ণনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এই ঘটনা মক্কার নিকটস্থ 'নাখলা' নামক উপত্যকায় সংঘটিত হয়েছিল। যেখানে রসূল (সাঃ) সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ)-দেরকে ফজরের নামায পড়াচ্ছিলেন। জ্বিনরা এই অনুসন্ধানে ছিল যে, আসমানে আমাদের উপর অত্যধিক কড়াকড়ি করে দেওয়া হয়েছে এবং এখন সেখানে আমাদের যাওয়া প্রায় অসম্ভব করে দেওয়া হয়েছে। কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে থাকবে যার কারণে এ রকম হয়েছে। তাই পূর্ব ও পশ্চিমের বিভিন্ন দিকে জ্বিনদের দল ঘটনার অনুসন্ধানে ছড়িয়ে পড়ল। তাদেরই একটি অনুসন্ধানী দল এই কুরআন শুনে বুঝে নেয় যে, নবী করীম (সাঃ)-এর প্রেরণের এই ঘটনাই হল আমাদের আসমান প্রবেশের প্রতিবন্ধকতার কারণ। জ্বিনদের এই দলটি নবী করীম (সাঃ)-এর উপর ঈমান আনে এবং ফিরে গিয়ে তাদের জাতিকেও এ কথা শোনায়। (মুসলিম, সালাত অধ্যায়) সহীহ বুখারীতেও কিছু কথার উল্লেখ আছে। (মানাক্বিবুল আনসার অধ্যায়) কিছু অন্যান্য বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, তিনি এই ঘটনার পর জ্বিনদের দাওয়াতে তাদের ওখানে যান এবং তাদেরকে আল্লাহর পায়গাম শুনান। জ্বিনরাও একাধিকবার নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়। (ফাতহুল বারী, তাফসীর ইবনে কাসীর)

[২] অর্থাৎ, নবী করীম (সাঃ)-এর পক্ষ হতে কুরআন পাঠ শেষ হয়ে গেল।