Skip to main content

يٰٓاَيُّهَا النَّاسُ اِنَّا خَلَقْنٰكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ وَّاُنْثٰى وَجَعَلْنٰكُمْ شُعُوْبًا وَّقَبَاۤىِٕلَ لِتَعَارَفُوْا ۚ اِنَّ اَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللّٰهِ اَتْقٰىكُمْ ۗاِنَّ اللّٰهَ عَلِيْمٌ خَبِيْرٌ   ( الحجرات: ١٣ )

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
O mankind!
হে
l-nāsu
ٱلنَّاسُ
O mankind!
মানুষ
innā
إِنَّا
Indeed, We
নিশ্চয়ই
khalaqnākum
خَلَقْنَٰكُم
created you
আমরা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি
min
مِّن
from
হতে
dhakarin
ذَكَرٍ
a male
এক পুরুষ
wa-unthā
وَأُنثَىٰ
and a female
ও এক মহিলা
wajaʿalnākum
وَجَعَلْنَٰكُمْ
and We made you
এবং আমরা তোমাদেরকে  বিভক্ত করেছি
shuʿūban
شُعُوبًا
nations
বিভিন্ন সম্প্রদায়
waqabāila
وَقَبَآئِلَ
and tribes
ও (বিভিন্ন) গোত্রে
litaʿārafū
لِتَعَارَفُوٓا۟ۚ
that you may know one another
যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পার
inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
akramakum
أَكْرَمَكُمْ
(the) most noble of you
তোমাদের মধ্যে বেশি মর্যাদাসম্পন্ন
ʿinda
عِندَ
near
নিকট
l-lahi
ٱللَّهِ
Allah
আল্লাহর
atqākum
أَتْقَىٰكُمْۚ
(is the) most righteous of you
তোমাদের মধ্যে যে সর্বাধিক মুত্তাকি
inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
Allah
আল্লাহ
ʿalīmun
عَلِيمٌ
(is) All-Knower
সবকিছু জানেন
khabīrun
خَبِيرٌ
All-Aware
খুব অবহিত

Yaaa ayyuhan naasu innaa khalaqnaakum min zakarinw wa unsaa wa ja'alnaakum shu'oobanw wa qabaaa'ila lita'aarafoo inna akramakum 'indal laahi atqaakum innal laaha 'Aleemun khabeer (al-Ḥujurāt ৪৯:১৩)

English Sahih:

O mankind, indeed We have created you from male and female and made you peoples and tribes that you may know one another. Indeed, the most noble of you in the sight of Allah is the most righteous of you. Indeed, Allah is Knowing and Aware. (Al-Hujurat [49] : 13)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

হে মানুষ! তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত করেছি যাতে তোমরা পরস্পরকে চিনতে পার। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নিকট সেই লোকই অধিক সম্মানীয় যে লোক অধিক মুত্তাক্বী। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সব খবর রাখেন। (আল হুজরাত [৪৯] : ১৩)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে,[১] পরে তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পার।[২] তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই আল্লাহর নিকট অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে অধিক আল্লাহ-ভীরু।[৩] আল্লাহ সবকিছু জানেন, সব কিছুর খবর রাখেন।

[১] অর্থাৎ, আদম ও হাওয়া عليهما السلام থেকে। অর্থাৎ, তোমাদের সকলের মূল একই। তোমরা সকলে একই পিতা-মাতার সন্তান। অতএব কারো কেবল কুলমান ও বংশের ভিত্তিতে অহংকার করার কোন অধিকার নেই। কারণ, সকলের বংশ আদম (আঃ)-এর সাথে গিয়ে মিলে যায়।

[২] شُعُوْبٌ হল شَعْبٌ-এর বহুবচন। জাতি বা বিরাট গোত্র। (আরবী ভাষায় অপেক্ষাকৃত ছোট বংশ ও গোত্র অর্থে পর্যায়ক্রমে কয়েকটি পরিভাষা ব্যবহার হয়। যেমন,) شعب এর পরে আসে قبيلة তারপর عمارة তারপর بطن তারপর فصيلة তারপর عشيرة (ফাতহুল ক্বাদীর) উদ্দেশ্য হল, বিভিন্ন জাতি, বংশ ও গোত্রের এই বণ্টন কেবল পরস্পর পরিচিতির জন্য। যাতে তোমরা আপোসের জ্ঞাতি-বন্ধন বজায় রাখতে পার। এর অর্থ এই নয় যে, একে অপরের উপর নিজের আভিজাত্য ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন কর। যেমন দুর্ভাগ্যবশতঃ (আজকাল) বংশ ও আভিজাত্যকেই শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তি বানিয়ে নেওয়া হয়। অথচ ইসলাম এসে এটাকে মিটিয়ে দিয়েছে এবং এটাকে জাহেলী যুগের কর্ম তথা মূর্খতা বলে আখ্যায়িত করেছে।

[৩] অর্থাৎ, আল্লাহর নিকট মর্যাদা ও উৎকৃষ্টতার মাপকাঠি এমন বংশ, গোত্র ও আভিজাত্য নয়, যা গ্রহণ করা কোন মানুষের এখতিয়ারেই নেই, বরং মাপকাঠি হল আল্লাহভীরুতা; যা অবলম্বন করা মানুষের ইচ্ছা ও এখতিয়ারভুক্ত। এই আয়াতই হল সেই উলামাদের দলীল যাঁরা বিবাহে বরকনের বংশীয় সমতাকে জরুরী মনে করেন না এবং কেবল দ্বীনদারির ভিত্তিতে বিবাহ সম্পন্ন হওয়াকে পছন্দ করেন। (ইবনে কাসীর)