Skip to main content

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْٓا اَوْفُوْا بِالْعُقُوْدِۗ اُحِلَّتْ لَكُمْ بَهِيْمَةُ الْاَنْعَامِ اِلَّا مَا يُتْلٰى عَلَيْكُمْ غَيْرَ مُحِلِّى الصَّيْدِ وَاَنْتُمْ حُرُمٌۗ اِنَّ اللّٰهَ يَحْكُمُ مَا يُرِيْدُ  ( المائدة: ١ )

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
O you
হে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
who
যারা
āmanū
ءَامَنُوٓا۟
believe!
ঈমান এনেছো
awfū
أَوْفُوا۟
Fulfil
তোমরা পূর্ণ করো
bil-ʿuqūdi
بِٱلْعُقُودِۚ
the contracts
অঙ্গীকারসমূহকে
uḥillat
أُحِلَّتْ
Are made lawful
বৈধ করা হয়েছে
lakum
لَكُم
for you
তোমাদের জন্যে
bahīmatu
بَهِيمَةُ
the quadruped
চতুষ্পদ
l-anʿāmi
ٱلْأَنْعَٰمِ
(of) the grazing livestock
গবাদিপশু
illā
إِلَّا
except
এ ছাড়া
مَا
what
যা
yut'lā
يُتْلَىٰ
is recited
বর্ণিত হচ্ছে
ʿalaykum
عَلَيْكُمْ
on you
তোমাদের নিকট
ghayra
غَيْرَ
not
নয়
muḥillī
مُحِلِّى
being permitted
হালালকারী
l-ṣaydi
ٱلصَّيْدِ
(to) hunt
শিকার
wa-antum
وَأَنتُمْ
while you
এমতাবস্হায় যে তোমরা (থাকো)
ḥurumun
حُرُمٌۗ
(are in) Ihram
ইহরাম অবস্থায়
inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
Allah
আল্লাহ
yaḥkumu
يَحْكُمُ
decrees
আদেশ করেন
مَا
what
যা
yurīdu
يُرِيدُ
He wills
তিনি চান

Yaaa aiyuhal lazeena aamanoo awfoo bil'uqood; uhillat lakum baheematul an'aami illaa maa yutlaa 'alaikum ghaira muhillis saidi wa antum hurum; innal laaha yahkumu maa yureed (al-Māʾidah ৫:১)

English Sahih:

O you who have believed, fulfill [all] contracts. Lawful for you are the animals of grazing livestock except for that which is recited to you [in this Quran] – hunting not being permitted while you are in the state of ihram. Indeed, Allah ordains what He intends. (Al-Ma'idah [5] : 1)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

ওহে মু’মিনগণ! তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ কর। তোমাদের জন্য গৃহপালিত চতুস্পদ জন্তু হালাল করা হল- সেগুলো ছাড়া যেগুলোর বিবরণ তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে, আর ইহরাম অবস্থায় শিকার করা অবৈধ। আল্লাহ যা চান হুকুম দেন। (আল মায়িদাহ [৫] : ১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা অঙ্গীকার (ও চুক্তিসমূহ) পূর্ণ কর।[১] যে সব জন্তুর কথা তোমাদের উপর পাঠ করা হচ্ছে[২] তা ছাড়া (ক্ষুরবিশিষ্ট) চতুষ্পদ জন্তু তোমাদের জন্য বৈধ করা হল,[৩] তবে ইহরাম অবস্থায় শিকারকে বৈধ মনে করবে না। নিশ্চয় আল্লাহ নিজ ইচ্ছামত আদেশ প্রদান করে থাকেন।

[১] 'عقود' এটা 'عقد' এর বহুবচন। যার আভিধানিক অর্থ গিরা লাগানো। এ শব্দ কোন বস্তু (দড়ি, সূতা, চুল ইত্যাদি)-তে গিরা বাঁধার অর্থেও ব্যবহার হয়; যেমন অঙ্গীকার ও চুক্তি করার অর্থেও ব্যবহার হয়। এখানে এর অর্থ, আল্লাহ প্রদত্ত বিধি-বিধান যা মানুষের উপর আরোপ করা হয়েছে। অনুরূপ লোকেরা ব্যবহারিক জীবনে নিজেদের মধ্যে যে অঙ্গীকার ও চুক্তি করে, তাকেও বুঝানো হয়েছে। উভয়ই পালন ও পূর্ণ করা আবশ্যিক।

[২] بهيمة চতুষ্পদ জন্তুকে বলা হয়। بهم ـ إبهام ধাতু থেকে এর উৎপত্তি। কেউ কেউ বলেন, এদের বাকশক্তি, জ্ঞান ও বোধশক্তিতে যেহেতু إبهام (রুদ্ধতা) আছে, তার জন্য এদেরকে بهيمة বলা হয়েছে। أَنْعاَمٌ উট, গরু, ছাগল ও ভেঁড়া বা দুম্বাকে বলা হয়। কেননা এদের গতি ও চালচলনে نعومة (নম্রতা) থাকে। بهيمة الأنعام (চতুষ্পদ জন্তু) নর ও মাদী মিলে আট প্রকার; যা সূরা আনআম ৬;১৪৩ নং আয়াতে বিস্তারিত আকারে বর্ণিত হয়েছে। এ ছাড়া যে সব পশুকে অহ্শী, জংলী, বন্য বা বুনো বলা হয়; যেমন হরিণ, নীল গাই ইত্যাদি, যেগুলো সাধারণতঃ শিকার করা হয়, সেগুলোও বৈধ। কিন্তু ইহরাম অবস্থায় এগুলো ও অন্যান্য পাখী শিকার করা নিষেধ। সুন্নাহতে বর্ণিত নীতি অনুসারে যে পশু শিকারী দাঁতবিশিষ্ট এবং যে পাখী শিকারী নখবিশিষ্ট নয় তা হালাল। যেমন সূরা বাক্বারার ২;১৭৩ নং আয়াতের টীকায় এর বিস্তারিত বিবরণ উল্লিখিত হয়েছে। শিকারী দাঁতবিশিষ্ট পশু বলতে সেই পশু উদ্দিষ্ট, যে তার শিকারী বা ছেদক দাঁত দ্বারা শিকার ধরে ও ফেড়ে খায়; যেমন বাঘ (সিংহ, চিতা, নেকড়ে), কুকুর প্রভৃতি। আর শিকারী নখবিশিষ্ট পাখী বলতে সেই পাখী উদ্দিষ্ট, যে তার ধারালো নখর দ্বারা শিকার ধরে; যেমন শকুনি, বাজ, ঈগল, চিল, কাক ইত্যাদি।

[৩] এর বিস্তারিত বিবরণ ৫;৩ নং আয়াতে আসছে।