Skip to main content

وَمِنَ الَّيْلِ فَسَبِّحْهُ وَاَدْبَارَ السُّجُوْدِ   ( ق: ٤٠ )

And of
وَمِنَ
এবং কিছু অংশে
the night
ٱلَّيْلِ
রাতের
glorify Him
فَسَبِّحْهُ
অতঃপর তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করো
and after
وَأَدْبَٰرَ
এবং পরে
the prostration
ٱلسُّجُودِ
(নামাজের) সিজদাসমূহেরও

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আর তাঁর প্রশংসা ঘোষণা কর রাত্রির একাংশে আর নামাযের পরে।

English Sahih:

And [in part] of the night exalt Him and after prostration [i.e., prayer].

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাত্রির একাংশে[১] এবং নামাযের পরেও। [২]

[১] مِنْ এখানে শব্দটি 'তাবঈয' (আংশিক বুঝাতে ব্যবহার হয়েছে)। অর্থাৎ, রাতের কিছু অংশেও আল্লাহর 'তসবীহ' পাঠ কর কিংবা রাতের নামায (তাহাজ্জুদ) পড়। যেমন, অন্যত্র বলেন, {وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَكَ} "রাতে উঠে তাহাজ্জুদের নামায পড়, যা তোমার জন্য অতিরিক্ত নেকীর কারণ হবে।" (সূরা বনী ইস্রাঈল ১৭;৭৯) কেউ কেউ বলেছেন, মি'রাজের পূর্বে মুসলিমদের জন্য শুধু ফজর ও আসরের নামায এবং নবী করীম (সাঃ)-এর জন্য তাহাজ্জুদের নামাযও ফরয ছিল। অতঃপর মি'রাজের রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করে দেওয়া হলো। (ইবনে কাসীর)

[২] অর্থাৎ, আল্লাহর তসবীহ পাঠ কর। কেউ কেউ এ থেকে সেই তসবীহসমূহ বুঝিয়েছেন, যা নবী করীম (সাঃ) ফরয নামাযের পর পড়ার তাকীদ করেছেন। যেমন, ৩৩বার 'সুবহানাল্লাহ' ৩৩বার 'আলহামদু লিল্লা-হ'এবং ৩৪বার 'আল্লাহু আকবার' ইত্যাদি পড়া। (বুখারীঃ আযান অধ্যায়) কিন্তু এই তসবীহগুলোর কথা এই সূরা অবতীর্ণ হওয়ার বহুকাল পর বলা হয়েছে। কেউ বলেছেন, أَدْبَارُ السُّجُوْد থেকে মাগরিবের পর দু' রাকআত সুন্নতকে বুঝানো হয়েছে।