فَالْمُقَسِّمٰتِ اَمْرًاۙ ( الذاريات: ٤ )
Falmuqassimaati amraa (aḏ-Ḏāriyāt ৫১:৪)
English Sahih:
And the [angels] apportioning [each] matter, (Adh-Dhariyat [51] : 4)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আর যারা কর্ম বণ্টন করে, (আয-যারিয়াত [৫১] : ৪)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
শপথ কর্ম বণ্টনকারী ফিরিশতাদের, [১]
[১] مُقَسِّمَاتِ এ থেকে সেই ফিরিশতাদেরকে বুঝানো হয়েছে, যাঁরা কর্মসমূহ বণ্টন করে নেন। কেউ রহমতের, কেউ শাস্তির, কেউ পানির, কেউ কষ্টের (অনাবৃষ্টি ইত্যাদির), কেউ বাতাসের, কেউ মৃত্যু ও দুর্ঘটনার ফিরিশতা প্রভৃতি। কেউ কেউ উক্ত শব্দগুলো থেকে কেবল 'হাওয়া' উদ্দিষ্ট মনে করেছেন। আর এগুলোকে হাওয়ার বিশেষণ নির্ণয় করেছেন। কিন্তু আমরা ইমাম ইবনে কাসীর এবং ইমাম শাওকানীর তাফসীর অনুযায়ী ব্যাখ্যা করেছি। কসম খাওয়ার উদ্দেশ্য হল, যে জিনিসের জন্য কসম খাওয়া হয় তার সত্যতা বর্ণনা করা। কখনো আবার কেবল তাকীদ স্বরূপ কসম খাওয়া হয়। আবার কখনো যে জিনিসের জন্য কসম খাওয়া হয়, সেটাকে দলীল হিসাবে পেশ করা উদ্দেশ্য হয়। এখানে এই তৃতীয় কসম উদ্দেশ্য। পরে কসমের জওয়াব এটাই বর্ণনা করা হয়েছে যে, তোমাদের সাথে যে প্রতিশ্রুতি করা হচ্ছে, অবশ্যই তা সত্য এবং কিয়ামত সংঘটিত হবেই; যাতে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে। হাওয়া চলা, মেঘমালার পানি বহন করা, সামুদ্রিক জাহাজের বিচরণ এবং ফিরিশতামন্ডলীর বিভিন্ন কর্মাদি সম্পাদন করা ইত্যাদি কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার দলীল। কারণ, যে সত্তা এই সমস্ত কাজগুলো করেন যা বাহ্যতঃ অতি কঠিন এবং স্বাভাবিক উপায়-উপকরণের বিপরীত, সেই সত্তাই কিয়ামতের দিন সমস্ত মানুষকে পুনরায় জীবিত করতেও পারেন।