بَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لَّا يَبْغِيٰنِۚ ( الرحمن: ٢٠ )
Bainahumaa barzakhul laa yabghiyaan (ar-Raḥmān ৫৫:২০)
English Sahih:
Between them is a barrier so neither of them transgresses. (Ar-Rahman [55] : 20)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
(কিন্তু তা সত্ত্বেও) উভয়ের মাঝে আছে এক আড়াল যা তারা অতিক্রম করতে পারে না। (আর রহমান [৫৫] : ২০)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
(কিন্তু) ওদের মধ্যে রয়েছে এক অন্তরাল, যা ওরা অতিক্রম করতে পারে না। [১]
[১] مَرَجَ অর্থ, أَرْسَلَ প্রবাহিত করেন। এর বিস্তারিত আলোচনা সূরা ফুরক্বানের ২৫;৫৩ নং আয়াতে উল্লিখিত হয়েছে। যার সার কথা হল, দুই সমুদ্র থেকে কেউ কেউ তাদের পৃথক পৃথক অস্তিত্বকে বুঝিয়েছেন। যেমন, মিষ্টি পানির সমুদ্র আছে যার দ্বারা কৃষিক্ষেত সেচন করা হয় এবং মানুষ তার পানি নিজেদের অন্যান্য প্রয়োজনেও ব্যবহার করে। দ্বিতীয় প্রকার সমুদ্রের পানি হল লবণাক্ত। তারও ভিন্ন কিছু উপকারিতা আছে। এরা উভয়ে আপোসে একে অপরের সাথে মিলে না। কেউ কেউ এর অর্থ বর্ণনা করেছেন, লোনা পানির সমুদ্রেই মিঠা পানিরও ঢেউ চলে এবং উভয় পানির ঢেউ একে অপরের সাথে মিশ্রিত হয় না। বরং একে অপর থেকে পৃথকই থাকে। এর একটি ধরন হল এই যে, মহান আল্লাহ লোনা পানির সমুদ্রেই কয়েক স্থানে মিঠা পানির তরঙ্গও প্রবাহিত করে রেখেছেন এবং তা লোনা পানি হতে পৃথক থাকে। দ্বিতীয় ধরন এমনও হতে পারে যে, উপরে লোনা পানি আছে এবং তার তলদেশে আছে মিঠা পানির ঝর্ণা। যেমন বাস্তবেই কোন কোন স্থানে এ রকম আছে। তৃতীয় ধরন হল, যে জায়গায় নদীর মিঠা পানি সমুদ্রে গিয়ে পড়ে, সেখানে বহু লোকের চাক্ষুষ প্রমাণ যে, উভয় পানিই কয়েক মাইল দূর পর্যন্ত এমনভাবে পাশাপাশি প্রবাহিত হয় যে, একদিকে নদীর মিঠা পানি এবং অন্য দিকে বিশাল সুপ্রসারিত সমুদ্রের লোনা পানি। এদের মাঝে যদিও কোন আড়াল নেই, তবুও তারা আপোসে একে অপরের সাথে মিলে না। উভয়ের মধ্যে সেই আড়াল আছে, যা আল্লাহ রেখেছেন। উভয়ে তা অতিক্রম করে না।