Skip to main content

يَّهْدِيْٓ اِلَى الرُّشْدِ فَاٰمَنَّا بِهٖۗ وَلَنْ نُّشْرِكَ بِرَبِّنَآ اَحَدًاۖ  ( الجن: ٢ )

yahdī
يَهْدِىٓ
It guides
পথ দেখায়
ilā
إِلَى
to
দিকে
l-rush'di
ٱلرُّشْدِ
the right way
সত্যের
faāmannā
فَـَٔامَنَّا
so we believe
অতঃপর আমরা ঈমান এনেছি
bihi
بِهِۦۖ
in it
তার উপর
walan
وَلَن
and never
এবং কক্ষণ না
nush'rika
نُّشْرِكَ
we will associate
আমরা শরীক করবো
birabbinā
بِرَبِّنَآ
with our Lord
আমাদের রবের সাথে
aḥadan
أَحَدًا
anyone
কাউকে

Yahdeee ilar rushdi fa aamannaa bihee wa lan nushrika bi rabbinaaa ahadaa (al-Jinn ৭২:২)

English Sahih:

It guides to the right course, and we have believed in it. And we will never associate with our Lord anyone. (Al-Jinn [72] : 2)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যা সত্য-সঠিক পথ প্রদর্শন করে, যার কারণে আমরা তাতে ঈমান এনেছি, আমরা কক্ষনো কাউকে আমাদের প্রতিপালকের অংশীদার গণ্য করব না। (আল জিন [৭২] : ২)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

যা সঠিক পথ-নির্দেশ করে;[১] ফলে আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি।[২] আর আমরা কখনো আমাদের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থাপন করব না। [৩]

[১] এটা কুরআনের দ্বিতীয় গুণ। তা সঠিক পথ অর্থাৎ, সত্য ও সরল পথ স্পষ্ট করে। অথবা আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞান দান করে।

[২] অর্থাৎ, আমরা তা শুনে সত্য বলে মেনে নিয়েছি যে, বাস্তবিকই তা আল্লাহর কালাম। এটা কোন মানুষের কালাম নয়। এতে কাফেরদের প্রতি ধমক ও তিরস্কার রয়েছে যে, জ্বিনরা তো একবার শুনেই এই কুরআনের প্রতি ঈমান আনল। স্বল্প কিছু সংখ্যক আয়াত শুনেই তাদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটল এবং তারা বুঝে নিল যে, এটা কোন মানুষের রচিত কথা নয়। কিন্তু মানুষের, বিশেষ করে তাদের সর্দারদের এই কুরআন দ্বারা কোন লাভ হয়নি। অথচ তারা নবী (সাঃ)-এর মুখে একাধিকবার কুরআন শুনেছে। এ ছাড়া তিনি নিজেও তাদেরই একজন ছিলেন এবং তাদেরই ভাষাতে তিনি তাদেরকে কুরআন পাঠ করে শুনাতেন।

[৩] না তাঁর সৃষ্টির কাউকে, আর না অন্য কোন উপাস্যকে। কারণ, তিনি তাঁর প্রতিপালকত্বে একক।