Skip to main content

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اسْتَجِيْبُوْا لِلّٰهِ وَلِلرَّسُوْلِ اِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيْكُمْۚ وَاعْلَمُوْٓا اَنَّ اللّٰهَ يَحُوْلُ بَيْنَ الْمَرْءِ وَقَلْبِهٖ وَاَنَّهٗٓ اِلَيْهِ تُحْشَرُوْنَ  ( الأنفال: ٢٤ )

O you!
يَٰٓأَيُّهَا
হে
who!
ٱلَّذِينَ
যারা
believe!
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছো
Respond
ٱسْتَجِيبُوا۟
তোমরা সাড়া দাও
to Allah
لِلَّهِ
উদ্দেশ্যে আল্লাহর
and His Messenger
وَلِلرَّسُولِ
ও উদ্দেশ্যে রাসূলের (ডাকে)
when
إِذَا
যখন
he calls you
دَعَاكُمْ
তিনি ডাকেন তোমাদেরকে
to what
لِمَا
(তাই) তার জন্যে যা
gives you life
يُحْيِيكُمْۖ
উদ্দীপ্ত করবে তোমাদেরকে
And know
وَٱعْلَمُوٓا۟
এবং তোমরা জেনে রাখো
that
أَنَّ
যে
Allah
ٱللَّهَ
আল্লাহ
comes
يَحُولُ
অন্তরায় হয়ে থাকেন
(in) between
بَيْنَ
মাঝে
a man
ٱلْمَرْءِ
ব্যক্তি
and his heart
وَقَلْبِهِۦ
ও অন্তরের তার
and that
وَأَنَّهُۥٓ
এবং (এও) যে
to Him
إِلَيْهِ
দিকে তাঁরই
you will be gathered
تُحْشَرُونَ
তোমাদের একত্র করা হবে

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

ওহে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের ডাকে সাড়া দাও যখন তোমাদেরকে ডাকা হয় (এমন বিষয়ের দিকে) যা তোমাদের মাঝে জীবন সঞ্চার করে, আর জেনে রেখ যে আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে যান আর তোমাদেরকে তাঁর কাছেই একত্রিত করা হবে।

English Sahih:

O you who have believed, respond to Allah and to the Messenger when he calls you to that which gives you life. And know that Allah intervenes between a man and his heart and that to Him you will be gathered.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

হে বিশ্বাসীগণ! রসূল যখন তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে আহবান করে, যা তোমাদেরকে প্রাণবন্ত করে,[১] তখন আল্লাহ ও রসূলের আহবানে সাড়া দাও এবং জেনে রাখ যে, আল্লাহ মানুষ ও তার হৃদয়ের মাঝে অন্তরায় হন[২] এবং তাঁরই নিকট তোমাদেরকে একত্রিত করা হবে।

[১] لِمَا يُحْيِيكُم এর অর্থঃ এমন বস্তুর দিকে যা তোমাদেরকে জীবন দান করে। কেউ কেউ বলেন, এ থেকে জিহাদ বুঝানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিজয়ীর জীবন। আবার কেউ কুরআনের আদেশ-নিষেধ, শরীয়তের বিধান অর্থ নিয়েছেন, এর মধ্যে জিহাদও রয়েছে। সারকথা হল যে, কেবল আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কথা মানো, তার উপর আমল কর। এতেই রয়েছে তোমাদের জীবন।

[২] অর্থ মৃত্যুদান করে, যার স্বাদ সকলকেই গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ, তোমাদের মৃত্যু আসার পূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কথা মেনে নিয়ে তার উপর আমল কর। কেউ কেউ বলেন, মহান আল্লাহ মানুষের হৃদয়ের এত নিকটে যে, তারই উপমা এখানে দেওয়া হয়েছে। যার অর্থ তিনি মানুষের মনের গোপন কথাও জানেন, তাঁর কাছে কোন জিনিসই লুক্কায়িত নয়। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) এর অর্থ বলেছেন যে, তিনি যখন চান মানুষ ও তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। এমনকি মানুষ তাঁর ইচ্ছা ব্যতিরেকে কিছুই পেতে পারে না। আবার কেউ কেউ একে বদরের যুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত বলেছেন; মুসলিমগণ শত্রুদের সংখ্যাধিক্যে ভীত ছিলেন, মহান আল্লাহ তাঁদের অন্তরে অন্তরায় হয়ে ভয়কে অভয়ে বদলে দেন। ইমাম শাওকানী বলেন, আয়াতের উক্ত সকল অর্থই হতে পারে। (ফাতহুল কাদীর) ইমাম ইবনে জারীরের বর্ণিত অর্থের সমর্থন ঐ সকল হাদীস দ্বারা হয়, যাতে দ্বীনের উপর অবিচল থাকার দু'আ করতে তাকীদ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ একটি হাদীসে নবী (সাঃ) বলেছেন, "আদম সন্তানের অন্তরসমূহ একটি অন্তরের ন্যায় রহমানের (আল্লাহর) দুই আঙ্গুলের মাঝে রয়েছে। তিনি যেভাবে চান তা ঘুরিয়ে থাকেন। তারপর তিনি এই দু'আ পাঠ করেন। হে অন্তর ফিরানোর মালিক! আমাদের অন্তরকে তোমার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দাও।" (মুসলিমঃ তকদীর অধ্যায়) অন্য বর্ণনায় আছে, "হে হৃদয় পরিবর্তনকারী! তুমি আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনে অবিচল রাখ।" (তিরমিযী, তাকদীর পরিচ্ছেদ)