Skip to main content

اِلَّا تَنْصُرُوْهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللّٰهُ اِذْ اَخْرَجَهُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا ثَانِيَ اثْنَيْنِ اِذْ هُمَا فِى الْغَارِ اِذْ يَقُوْلُ لِصَاحِبِهٖ لَا تَحْزَنْ اِنَّ اللّٰهَ مَعَنَاۚ فَاَنْزَلَ اللّٰهُ سَكِيْنَتَهٗ عَلَيْهِ وَاَيَّدَهٗ بِجُنُوْدٍ لَّمْ تَرَوْهَا وَجَعَلَ كَلِمَةَ الَّذِيْنَ كَفَرُوا السُّفْلٰىۗ وَكَلِمَةُ اللّٰهِ هِيَ الْعُلْيَاۗ وَاللّٰهُ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ   ( التوبة: ٤٠ )

illā
إِلَّا
If not
যদি না
tanṣurūhu
تَنصُرُوهُ
you help him
তোমরা তাকে সাহায্য করো
faqad
فَقَدْ
certainly
তবে নিশ্চয়ই
naṣarahu
نَصَرَهُ
Allah helped him
তাকে সাহায্য করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
Allah helped him
আল্লাহ
idh
إِذْ
when
যখন
akhrajahu
أَخْرَجَهُ
drove him out
তাকে বের করেছিলো
alladhīna
ٱلَّذِينَ
those who
যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
disbelieved
অবিশ্বাস করেছে
thāniya
ثَانِىَ
the second
(সে ছিলো) দ্বিতীয়
ith'nayni
ٱثْنَيْنِ
(of) the two
দুজনের
idh
إِذْ
when
যখন
humā
هُمَا
they both
তারা দু'জনে (ছিলো)
فِى
(were) in
মধ্যে
l-ghāri
ٱلْغَارِ
the cave
গুহার
idh
إِذْ
when
তখন
yaqūlu
يَقُولُ
he said
সে বলেছিলো
liṣāḥibihi
لِصَٰحِبِهِۦ
to his companion
তার সাথীর উদ্দেশ্যে
لَا
"(Do) not
"না
taḥzan
تَحْزَنْ
grieve
চিন্তিত হয়ো তুমি
inna
إِنَّ
indeed
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
Allah
আল্লাহ
maʿanā
مَعَنَاۖ
(is) with us"
সাথে (আছেন)আমাদের"
fa-anzala
فَأَنزَلَ
Then Allah sent down
তখন অবতীর্ণ করলেন
l-lahu
ٱللَّهُ
Then Allah sent down
আল্লাহ
sakīnatahu
سَكِينَتَهُۥ
His tranquility
তাঁর প্রশান্তি
ʿalayhi
عَلَيْهِ
upon him
তার উপর
wa-ayyadahu
وَأَيَّدَهُۥ
and supported him
ও তাকে শক্তিশালী করলেন
bijunūdin
بِجُنُودٍ
with forces
(এমন সব) সৈন্য দিয়ে
lam
لَّمْ
which you did not see
না
tarawhā
تَرَوْهَا
which you did not see
যাদেরকে তোমরা দেখতে পাও
wajaʿala
وَجَعَلَ
and made
ও করলেন
kalimata
كَلِمَةَ
(the) word
কথাকে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(of) those who
(তাদের) যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
disbelieved
অবিশ্বাস করেছিলো
l-suf'lā
ٱلسُّفْلَىٰۗ
the lowest
নিচু
wakalimatu
وَكَلِمَةُ
while (the) Word
ও (করলেন) কথা
l-lahi
ٱللَّهِ
(of) Allah
আল্লাহর
hiya
هِىَ
it (is)
তা
l-ʿul'yā
ٱلْعُلْيَاۗ
the highest
সমুন্নত
wal-lahu
وَٱللَّهُ
And Allah
ও আল্লাহ
ʿazīzun
عَزِيزٌ
(is) All-Mighty
মহাপরাক্রমশালী
ḥakīmun
حَكِيمٌ
All-Wise
মহাবিজ্ঞ

Illaa tansuroohu faqad nasarahul laahu iz akhrajahul lazeena kafaroo saaniyasnaini iz humaa filghaari iz yaqoolu lisaahibihee la tahzan innnal laaha ma'anaa fa anzalallaahu sakeenatahoo 'alaihi wa aiyadahoo bijunoodil lam tarawhaa wa ja'ala kalimatal lazeena kafarus suflaa; wa Kalimatul laahi hiyal 'ulyaa; wallaahu 'Azeezun Hakeem; (at-Tawbah ৯:৪০)

English Sahih:

If you do not aid him [i.e., the Prophet (^)] – Allah has already aided him when those who disbelieved had driven him out [of Makkah] as one of two, when they were in the cave and he [i.e., Muhammad (^)] said to his companion, "Do not grieve; indeed Allah is with us." And Allah sent down His tranquility upon him and supported him with soldiers [i.e., angels] you did not see and made the word of those who disbelieved the lowest, while the word of Allah – that is the highest. And Allah is Exalted in Might and Wise. (At-Tawbah [9] : 40)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যদি তোমরা তাকে [অর্থাৎ রসূল (সা.)-কে] সাহায্য না কর (তাতে কোনই পরোয়া নেই) কারণ আল্লাহ তো তাকে সেই সময় সাহায্য করেছেন যখন কাফিররা তাকে বের করে দিয়েছিল, সে ছিল দু’জনের দ্বিতীয়জন যখন তারা দু’জন গুহার মধ্যে ছিল, যখন সে তার সঙ্গীকে বলছিল, ‘চিন্তা করো না, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন’। তখন আল্লাহ তার প্রতি তাঁর প্রশান্তি বর্ষণ করলেন আর তাকে এমন সেনাবাহিনী দিয়ে শক্তিশালী করলেন তোমরা যা দেখতে পাওনি, আর তিনি কাফিরদের মুখের বুলিকে গভীর নীচে ফেলে দিলেন। আর আল্লাহর বাণীই রয়েছে সর্বোচ্চ। আল্লাহ হলেন প্রবল পরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞানী। (আত তাওবাহ [৯] : ৪০)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

যদি তোমরা তাকে (রাসূলুল্লাহকে) সাহায্য না কর, তাহলে আল্লাহই (তাকে সাহায্য করবেন যেমন তিনি) তাকে সাহায্য করেছিলেন সেই সময়ে, যখন অবিশ্বাসীরা তাকে (মক্কা হতে) বহিষ্কার করে দিয়েছিল, যখন সে ছিল দুজনের মধ্যে একজন; যখন উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল। সে তখন স্বীয় সঙ্গী (আবু বাকর)কে বলেছিল, ‘তুমি বিষণ্ণ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।’[১] অতঃপর আল্লাহ তার প্রতি স্বীয় সান্ত্বনা অবতীর্ণ করলেন এবং এমন সেনাদল দ্বারা তাকে শক্তিশালী করলেন, যাদেরকে তোমরা দেখতে পাওনি[২] এবং তিনি অবিশ্বাসীদের বাক্য নীচু করে দিলেন, আর আল্লাহর বাণীই সমুচ্চ রইল।[৩] আর আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

[১] জিহাদ থেকে যারা পিছিয়ে থাকতে অথবা গা বাঁচাতে চায়, তাদেরকে বলা হচ্ছে যে, যদি তোমরা সাহায্য না কর, তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাদের সাহায্যের মুখাপেক্ষী নন। আল্লাহ তাআলা নিজ নবীর মদদ সেই সময়ও করেছিলেন যখন তিনি সওর গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। আর তাঁর সঙ্গী (আবু বকর (রাঃ))-কে বলেছিলেন, "চিন্তা করো না আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন।" এর বিস্তারিত বর্ণনা হাদীস গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে। হিজরতের ঘটনায় আবু বাকর (রাঃ) বলেন, যখন আমরা গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলাম, তখন আমি নবী (সাঃ)-কে বলেছিলাম, 'ঐ মুশরিকরা (যারা আমাদের পিছন ধরেছে তারা) যদি নিজেদের পায়ের নিচে তাকায়, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে দেখে নেবে।' নবী (সাঃ) বললেন, "হে আবু বাকর! তোমার সেই দুই ব্যক্তি সম্বন্ধে কি ধারণা, যাদের তৃতীয়জন হলেন আল্লাহ?" অর্থাৎ, যাদের সাথে আল্লাহর সাহায্য ও মদদ রয়েছে। (বুখারীঃ সূরা তাওবার ব্যাখ্যা)

[২] এখানে সেই দুই প্রকার সাহায্যের কথা বর্ণনা করা হয়েছে, যার দ্বারা আল্লাহ তাঁর রসূল (সাঃ)-কে সাহায্য করেছিলেন। প্রথমতঃ হল প্রশান্তি বা সান্ত্বনা এবং দ্বিতীয়তঃ হল ফিরিশতাদের সহযোগিতা।

[৩] অবিশ্বাসী কাফেরদের বাক্য বলতে শিরক, আর আল্লাহর বাণী বলতে তাওহীদ উদ্দেশ্য। যেমন, এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, একদা রসূল (সাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হল "একজন বীরত্বের শক্তি প্রকাশ করার জন্য যুদ্ধ করে, একজন স্বগোত্রের অন্ধ পক্ষপাতিত্ব করে যুদ্ধ করে, আর অন্য একজন লোক দেখানোর জন্য যুদ্ধ করে, এদের মধ্যে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ কার হয়? তিনি বললেন, "যে আল্লাহর কালেমা (বাণী)-কে সুউচ্চ করার জন্য যুদ্ধ করে, তার যুদ্ধ আল্লাহর রাস্তায় হয়।"

(বুখারীঃ ইলম অধ্যায়, মুসলিমঃ ইমারা অধ্যায়)