Skip to main content

قُلْ يٰٓاَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاۤءَكُمُ الْحَقُّ مِنْ رَّبِّكُمْ ۚفَمَنِ اهْتَدٰى فَاِنَّمَا يَهْتَدِيْ لِنَفْسِهٖ ۚوَمَنْ ضَلَّ فَاِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَا ۚوَمَآ اَنَا۠ عَلَيْكُمْ بِوَكِيْلٍۗ   ( يونس: ١٠٨ )

Say
قُلْ
বলো
"O mankind!
يَٰٓأَيُّهَا
"হে
"O mankind!
ٱلنَّاسُ
"মানুষ
Verily
قَدْ
নিশ্চয়ই
has come to you
جَآءَكُمُ
কাছে এসেছে তোমাদের
the truth
ٱلْحَقُّ
(প্রকৃত)সত্য
from
مِن
পক্ষ হতে
your Lord
رَّبِّكُمْۖ
রবের তোমাদের
So whoever
فَمَنِ
অতএব যে
(is) guided
ٱهْتَدَىٰ
সঠিক পথ পেলো
then only
فَإِنَّمَا
তবে প্রকৃতপক্ষে
(he is) guided
يَهْتَدِى
সে সঠিকপথ পায়
for his soul
لِنَفْسِهِۦۖ
জন্যে তার নিজের (মঙ্গলের)
and whoever
وَمَن
এবং যে
goes astray
ضَلَّ
পথভ্রষ্ট হলো
then only
فَإِنَّمَا
তবে প্রকৃতপক্ষে
he strays
يَضِلُّ
সে পথভ্রষ্ট হয়
against it
عَلَيْهَاۖ
জন্যে তার (ক্ষতির)
And I am not
وَمَآ
এবং নই
And I am not
أَنَا۠
আমি
over you
عَلَيْكُم
উপর তোমাদের
a guardian"
بِوَكِيلٍ
কোনো কর্মবিধায়ক"

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

বল, ‘‘হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের কাছে প্রকৃত সত্য এসে পৌঁছেছে। অতঃপর যে সঠিক পথ অবলম্বন করবে, সে নিজের কল্যাণের জন্যই সঠিক পথ ধরবে। আর যারা পথভ্রষ্ট হবে তারা পথভ্রষ্ট হবে নিজেদেরই ক্ষতি করার জন্য, আমি তোমাদের হয়ে কাজ উদ্ধার করে দেয়ার কেউ নেই।

English Sahih:

Say, "O mankind, the truth has come to you from your Lord, so whoever is guided is only guided for [the benefit of] his soul, and whoever goes astray only goes astray [in violation] against it. And I am not over you a manager."

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তুমি বল, ‘হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তোমাদের নিকট সত্য এসে গেছে।[১] সুতরাং যারা সৎপথ অবলম্বন করবে, তারা তো নিজেদের মঙ্গলের জন্য সৎপথ অবলম্বন করবে[২] এবং যারা পথভ্রষ্ট হবে, তারা তো নিজেদের ধ্বংসের জন্যই পথভ্রষ্ট হবে।[৩] আর আমি তোমাদের কর্মবিধায়ক নই।’[৪]

[১] হক বা সত্য হল কুরআন ও দ্বীন ইসলাম। যাতে আল্লাহর একতত্ত্ববাদ ও মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর রিসালাতের উপর ঈমান অন্তর্ভুক্ত।

[২] অর্থাৎ তার ফল সে নিজেই ভোগ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা পাবে।

[৩] তার ক্ষতি ও শাস্তি তার নিজের উপরেই বর্তাবে, কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। সুতরাং কেউ হিদায়াতের পথ অনুসরণ করলে তাতে আল্লাহর শক্তিতে কোন বৃদ্ধিলাভ হবে না এবং যদি কেউ কুফরী ও ভ্রষ্টতাকে বেছে নেয়, তবে তাতে আল্লাহর সার্বভৌমতত্ত্ব ও শক্তিতে কোন পার্থক্য পড়বে না। সুতরাং ঈমান ও হিদায়াতের জন্য অনুপ্রাণিত করা এবং কুফরী ও ভ্রষ্টতা থেকে বিরত থাকার জন্য তাকীদ ও ভীতি-প্রদর্শন করা, উভয়েরই উদ্দেশ্য হল, মানুষের মঙ্গল কামনা করা। আল্লাহর নিজস্ব কোন উদ্দেশ্য বা স্বার্থ নেই।

[৪] অর্থাৎ, আমাকে এই দায়িতত্ত্ব দেওয়া হয়নি যে, আমি তোমাদেরকে সর্বাবস্থাতে মুসলিম বানিয়ে ছাড়ব। বরং আমি তো শুধু সুসংবাদদাতা, সতর্ককারী, দ্বীনপ্রচারক ও তার আহবায়ক। আমার কাজ হল শুধু মু'মিনদেরকে সুসংবাদ দেওয়া, অবাধ্যদেরকে আল্লাহর আযাব ও তাঁর পাকড়াও থেকে ভীতি-প্রদর্শন করা এবং আল্লাহর বাণীর দাওয়াত ও তবলীগ করা। এই দাওয়াত মেনে কেউ ঈমান আনলে ভাল। আর কেউ না মানলে, আমার দায়িতত্ত্ব এ নয় যে, আমি তাকে জোর করে তা মানাবো।