Skip to main content

نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ اَحْسَنَ الْقَصَصِ بِمَآ اَوْحَيْنَآ اِلَيْكَ هٰذَا الْقُرْاٰنَۖ وَاِنْ كُنْتَ مِنْ قَبْلِهٖ لَمِنَ الْغٰفِلِيْنَ  ( يوسف: ٣ )

naḥnu
نَحْنُ
We
আমরা
naquṣṣu
نَقُصُّ
relate
বর্ণনা করছি
ʿalayka
عَلَيْكَ
to you
তোমার কাছে
aḥsana
أَحْسَنَ
the best
অতি উত্তম
l-qaṣaṣi
ٱلْقَصَصِ
of the narrations
কাহিনীসমূহ
bimā
بِمَآ
in what
যার মাধ্যমে
awḥaynā
أَوْحَيْنَآ
We have revealed
আমরা ওহী করেছি
ilayka
إِلَيْكَ
to you
তোমার প্রতি
hādhā
هَٰذَا
(of) this
এই
l-qur'āna
ٱلْقُرْءَانَ
the Quran
কুর'আন
wa-in
وَإِن
although
যদিও নিশ্চয়ই
kunta
كُنتَ
you were
তুমি ছিলে
min
مِن
before it
থেকে
qablihi
قَبْلِهِۦ
before it
এর পূর্ব
lamina
لَمِنَ
surely among
অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত
l-ghāfilīna
ٱلْغَٰفِلِينَ
the unaware
অনবহিতদের

Nahnu naqussu 'alaika ahsanal qasasi bimaaa awhainaaa ilaika haazal quraana wa in kunta min qablihee laminal ghaafileen (Yūsuf ১২:৩)

English Sahih:

We relate to you, [O Muhammad], the best of stories in what We have revealed to you of this Quran although you were, before it, among the unaware. (Yusuf [12] : 3)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমি তোমার কাছে সর্বোত্তম কাহিনী বর্ণনা করছি, এ কুরআন তোমার কাছে ওয়াহী যোগে পাঠিয়ে, যদিও এর পূর্বে তুমি না-জানা লোকদের মধ্যেই শামিল ছিলে। (ইউসূফ [১২] : ৩)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আমি তোমার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ কাহিনী[১] বর্ণনা করছি, অহীর মাধ্যমে তোমার কাছে এই কুরআন প্রেরণ করে; যদিও এর পূর্বে তুমি ছিলে অনবহিতদের অন্তর্ভুক্ত। [২]

[১] قصص শব্দটি মাসদার (ক্রিয়া-বিশেষণ)। অর্থ হল কোন বস্তুর পেছনে লাগা। উদ্দেশ্য চমৎকার ঘটনা। কেচ্ছা, শুধু কোন কল্পিত কাহিনী বা মনোরঞ্জন উপন্যাসকে বলা হয় না; বরং অতীতে ঘটে গেছে এমন ঘটনার বর্ণনাকে (অর্থাৎ, তার পিছনে লাগাকে আরবীতে কিসসা) 'কেচ্ছা' বলা হয়। (ইউসুফ (আঃ)-এর) এ ঘটনা ঠিক অতীতে সংঘটিত ইতিহাসের বাস্তব বর্ণনা এবং এতে হিংসা ও শত্রুতার পরিণতি, আল্লাহর সাহায্যের আজব পদ্ধতি, মন্দ-প্রবণ মনের পাপাচরণের কুফল এবং মানুষের বিভিন্ন অবস্থার সুন্দর বর্ণনা এবং বড় গুরুতত্ত্বপূর্ণ শিক্ষামূলক দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যার জন্য কুরআন একে 'সর্বশ্রেষ্ঠ কাহিনী' বলে আখ্যায়িত করেছে।

[২] কুরআন কারীমের এই শব্দাবলী দ্বারাও পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে যে, নবী করীম (সাঃ) 'আ-লিমুল গায়েব' ছিলেন না, নচেৎ আল্লাহ তাআলা তাঁকে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে 'অনবহিত' আখ্যায়িত করতেন না। দ্বিতীয় কথা এও বুঝা গেল যে, তিনি আল্লাহর সত্য নবী। কারণ তাঁর প্রতি ওহী অবতীর্ণ করেই এই সত্য ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি কোন শিক্ষকের ছাত্র ছিলেন না যে, তাঁর নিকট থেকে শিক্ষা করে বর্ণনা করে দিয়েছেন। আর না অন্য কারোর সাথে তাঁর এমন সম্পর্ক ছিল যে, তার নিকট থেকে শ্রবণ করে এরূপ ঐতিহাসিক ঘটনা তার গুরুতত্ত্বপূর্ণ খুঁটিনাটি অংশ সহ বর্ণনা করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা নিঃসন্দেহে তা অহীর মাধ্যমে তাঁর প্রতি অবতীর্ণ করেছেন। যেমন এখানে সে কথা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।