Skip to main content

نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ اَحْسَنَ الْقَصَصِ بِمَآ اَوْحَيْنَآ اِلَيْكَ هٰذَا الْقُرْاٰنَۖ وَاِنْ كُنْتَ مِنْ قَبْلِهٖ لَمِنَ الْغٰفِلِيْنَ  ( يوسف: ٣ )

We
نَحْنُ
আমরা
relate
نَقُصُّ
বর্ণনা করছি
to you
عَلَيْكَ
তোমার কাছে
the best
أَحْسَنَ
অতি উত্তম
of the narrations
ٱلْقَصَصِ
কাহিনীসমূহ
in what
بِمَآ
মাধ্যমে যা
We have revealed
أَوْحَيْنَآ
আমরা ওহী করেছি
to you
إِلَيْكَ
তোমার প্রতি
(of) this
هَٰذَا
এই
the Quran
ٱلْقُرْءَانَ
কুর'আন
although
وَإِن
যদিও নিশ্চয়ই
you were
كُنتَ
তুমি ছিলে
before it
مِن
থেকে
before it
قَبْلِهِۦ
পূর্ব এর
surely among
لَمِنَ
অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত
the unaware
ٱلْغَٰفِلِينَ
অনবহিতদের

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমি তোমার কাছে সর্বোত্তম কাহিনী বর্ণনা করছি, এ কুরআন তোমার কাছে ওয়াহী যোগে পাঠিয়ে, যদিও এর পূর্বে তুমি না-জানা লোকদের মধ্যেই শামিল ছিলে।

English Sahih:

We relate to you, [O Muhammad], the best of stories in what We have revealed to you of this Quran although you were, before it, among the unaware.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আমি তোমার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ কাহিনী[১] বর্ণনা করছি, অহীর মাধ্যমে তোমার কাছে এই কুরআন প্রেরণ করে; যদিও এর পূর্বে তুমি ছিলে অনবহিতদের অন্তর্ভুক্ত। [২]

[১] قصص শব্দটি মাসদার (ক্রিয়া-বিশেষণ)। অর্থ হল কোন বস্তুর পেছনে লাগা। উদ্দেশ্য চমৎকার ঘটনা। কেচ্ছা, শুধু কোন কল্পিত কাহিনী বা মনোরঞ্জন উপন্যাসকে বলা হয় না; বরং অতীতে ঘটে গেছে এমন ঘটনার বর্ণনাকে (অর্থাৎ, তার পিছনে লাগাকে আরবীতে কিসসা) 'কেচ্ছা' বলা হয়। (ইউসুফ (আঃ)-এর) এ ঘটনা ঠিক অতীতে সংঘটিত ইতিহাসের বাস্তব বর্ণনা এবং এতে হিংসা ও শত্রুতার পরিণতি, আল্লাহর সাহায্যের আজব পদ্ধতি, মন্দ-প্রবণ মনের পাপাচরণের কুফল এবং মানুষের বিভিন্ন অবস্থার সুন্দর বর্ণনা এবং বড় গুরুতত্ত্বপূর্ণ শিক্ষামূলক দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যার জন্য কুরআন একে 'সর্বশ্রেষ্ঠ কাহিনী' বলে আখ্যায়িত করেছে।

[২] কুরআন কারীমের এই শব্দাবলী দ্বারাও পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে যে, নবী করীম (সাঃ) 'আ-লিমুল গায়েব' ছিলেন না, নচেৎ আল্লাহ তাআলা তাঁকে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে 'অনবহিত' আখ্যায়িত করতেন না। দ্বিতীয় কথা এও বুঝা গেল যে, তিনি আল্লাহর সত্য নবী। কারণ তাঁর প্রতি ওহী অবতীর্ণ করেই এই সত্য ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি কোন শিক্ষকের ছাত্র ছিলেন না যে, তাঁর নিকট থেকে শিক্ষা করে বর্ণনা করে দিয়েছেন। আর না অন্য কারোর সাথে তাঁর এমন সম্পর্ক ছিল যে, তার নিকট থেকে শ্রবণ করে এরূপ ঐতিহাসিক ঘটনা তার গুরুতত্ত্বপূর্ণ খুঁটিনাটি অংশ সহ বর্ণনা করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা নিঃসন্দেহে তা অহীর মাধ্যমে তাঁর প্রতি অবতীর্ণ করেছেন। যেমন এখানে সে কথা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।