Skip to main content

لَا يَسْمَعُوْنَ فِيْهَا لَغْوًا اِلَّا سَلٰمًاۗ وَلَهُمْ رِزْقُهُمْ فِيْهَا بُكْرَةً وَّعَشِيًّا   ( مريم: ٦٢ )

لَّا
Not
না
yasmaʿūna
يَسْمَعُونَ
they will hear
তারা শুনবে
fīhā
فِيهَا
therein
তার মধ্যে
laghwan
لَغْوًا
vain talk
নিরর্থক কথা
illā
إِلَّا
but
এ ছাড়া
salāman
سَلَٰمًاۖ
peace
শান্তি
walahum
وَلَهُمْ
And for them
এবং তাদের জন্য থাকবে
riz'quhum
رِزْقُهُمْ
(is) their provision
তাদের জীবিকা
fīhā
فِيهَا
therein
তার মধ্যে
buk'ratan
بُكْرَةً
morning
সকালে
waʿashiyyan
وَعَشِيًّا
and evening
ও সন্ধ্যায়

Laa yasma'oona feehaa laghwan illaa salaamaa; wa lahum rizquhum feehaa bukratanw wa 'ashiyyaa (Maryam ১৯:৬২)

English Sahih:

They will not hear therein any ill speech – only [greetings of] peace – and they will have their provision therein, morning and afternoon. (Maryam [19] : 62)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

সেখানে তারা শান্তির সম্ভাষণ ছাড়া কোন অপবাক্য শুনবে না। আর সকাল-সন্ধ্যা সেখানে তাদের জন্য থাকবে জীবন ধারণের উপকরণ। (মারইয়াম [১৯] : ৬২)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

সেখানে তারা ‘শান্তি’ ছাড়া কোন অসার বাক্য শুনবে না[১] এবং সেথায় সকাল-সন্ধ্যায় তাদের জন্য থাকবে জীবনোপকরণ। [২]

[১] অর্থাৎ, ফিরিশতারাও চর্তুদিক হতে সালাম করবে এবং জান্নাতীরাও একে অপরকে বেশি বেশি সালাম করবে।

[২] ইমাম আহমাদ (রঃ) এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, জান্নাতে দিন-রাত হবে না। জান্নাত সর্বদা আলোয় আলোকিত থাকবে। হাদীসের মধ্যে আছে, জান্নাতে প্রবেশকারী প্রথম দলটির মুখমন্ডল হবে পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায়। না মুখে থুথু আসবে আর না নাকে পানি, না মল-মূত্র ত্যাগের প্রয়োজন হবে। (মহিলাদের মাসিক আসবে না।) তাদের বাসনপত্র ও চিরুনী হবে সোনার। তাদের সুরভিত ধোঁয়া হবে সুগন্ধ কাঠের। তাদের শরীরের ঘাম হবে মৃগনাভির ন্যায় সুগন্ধময়। প্রত্যেক জান্নাতীকে দু'জন স্ত্রী দেওয়া হবে; যাদের রূপ-সৌন্দর্য্যের কারণে বাহির হতে পায়ের হাড়ের ভিতরের মগজ দেখা যাবে। আপোসে কোন প্রকার মনোমালিন্য থাকবে না। তাদের অন্তর হবে একটি মানুষের অন্তরের মত। সকাল-সন্ধ্যা তারা আল্লাহর তসবীহ পাঠ করবে। (বুখারী, মুসলিম)