وَلَقَدْ خَلَقْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعَ طَرَاۤىِٕقَۖ وَمَا كُنَّا عَنِ الْخَلْقِ غٰفِلِيْنَ ( المؤمنون: ١٧ )
Wa laqad khalaqnaa fawqakum sab'a taraaa'iqa wa maa kunnaa 'anil khalqi ghaafileen (al-Muʾminūn ২৩:১৭)
English Sahih:
And We have created above you seven layered heavens, and never have We been of [Our] creation unaware. (Al-Mu'minun [23] : 17)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আমি তোমাদের উপরে সপ্ত স্তর সৃষ্টি করেছি, আমি (আমার) সৃষ্টির ব্যাপারে অমনোযোগী নই। (আল মু'মিনূন [২৩] : ১৭)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
নিশ্চয় আমি তোমাদের ঊর্ধ্বে সৃষ্টি করেছি সপ্ত স্তর[১] এবং আমি সৃষ্টি বিষয়ে অসতর্ক নই। [২]
[১] طَرائِق শব্দটি طَرِيقَة এর বহুবচন। যার ভাবার্থঃ আকাশ। আরবের লোকেরা উপরের জিনিসকে طَرِيقَة বলে থাকে। আর আকাশ যেহেতু উপরে সেই জন্য তাকেও طَرائِق বলা হয়েছে। অথবা طَرِيقَة এর অর্থ পথ। যেহেতু আকাশ ফিরিশতাদের যাতায়াতের পথ বা গ্রহ-নক্ষত্রের গমনাগমনের পথ (ছায়াপথ)। সেই জন্য তাকে طَرائِق বলে অভিহিত করা হয়েছে।
[২] خَلق (সৃষ্টি) থেকে উদ্দেশ্য مَخلُوق (সৃষ্ট)। অর্থাৎ, আসমান সৃষ্টি করার পর পৃথিবীর সৃষ্টি বিষয়ে উদাসীন হয়ে যাইনি। বরং আমি আসমানকে যমীনের উপর ভেঙ্গে পড়া হতে সুরক্ষিত রেখেছি; যাতে সৃষ্টিজগৎ ধ্বংস হয়ে না যায়। অথবা অর্থ এই যে, আমি সৃষ্টি জগতের কল্যাণ ও প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে উদাসীন নই; বরং আমি তার ব্যবস্থা করে থাকি। (ফাতহুল কাদীর) আবার কেউ বলেন যে, এর অর্থ হল পৃথিবী হতে যা কিছু উদগত হয় বা যা কিছু তাতে প্রবেশ করে এবং এমনিভাবে আকাশ হতে যা কিছু অবতীর্ণ হয় এবং যা কিছু উপরে চড়ে সব কিছুর জ্ঞান আল্লাহর রয়েছে। প্রতিটি জিনিস তিনি প্রত্যক্ষ করছেন এবং নিজ জ্ঞান দ্বারা সর্বত্র তোমাদের সাথে রয়েছেন। (ইবনে কাসীর)