Skip to main content

اَفِيْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ اَمِ ارْتَابُوْٓا اَمْ يَخَافُوْنَ اَنْ يَّحِيْفَ اللّٰهُ عَلَيْهِمْ وَرَسُوْلُهٗ ۗبَلْ اُولٰۤىِٕكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ ࣖ  ( النور: ٥٠ )

afī
أَفِى
Is (there) in
কি আছে
qulūbihim
قُلُوبِهِم
their hearts
তাদের অন্তরসমূহে
maraḍun
مَّرَضٌ
a disease
রোগ
ami
أَمِ
or
অথবা
ir'tābū
ٱرْتَابُوٓا۟
do they doubt
তারা সন্দেহ করে
am
أَمْ
or
অথবা
yakhāfūna
يَخَافُونَ
they fear
তারা ভয় করে
an
أَن
that
যে
yaḥīfa
يَحِيفَ
Allah will be unjust
অন্যায় করবেন
l-lahu
ٱللَّهُ
Allah will be unjust
আল্লাহ্‌
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
to them
তাদের উপর
warasūluhu
وَرَسُولُهُۥۚ
and His Messenger?
ও তাঁর রাসূল
bal
بَلْ
Nay
বরং
ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
those
ঐ সব লোক
humu
هُمُ
[they]
তারাই
l-ẓālimūna
ٱلظَّٰلِمُونَ
(are) the wrongdoers
সীমালঙ্ঘনকারী

Afee quloobihim ma radun amirtaabooo am yakhaafoona ani yaheefallaahu 'alaihim wa Rasooluh; bal ulaaa'ika humuz zaalimoon (an-Nūr ২৪:৫০)

English Sahih:

Is there disease in their hearts? Or have they doubted? Or do they fear that Allah will be unjust to them, or His Messenger? Rather, it is they who are the wrongdoers [i.e., the unjust]. (An-Nur [24] : 50)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তাদের অন্তরে কি রোগ আছে, না তারা সন্দেহ পোষণ করে? না তারা এই ভয়ের মধ্যে আছে যে আল্লাহ ও তাঁর রসূল তাদের প্রতি অন্যায় করবেন? তা নয়, আসলে তারা নিজেরাই অন্যায়কারী। (আন-নূর [২৪] : ৫০)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

ওদের অন্তরে কি ব্যাধি আছে, না ওরা সংশয় পোষণ করে? না ওরা ভয় করে যে, আল্লাহও তাঁর রসূল ওদের প্রতি অবিচার করবেন? [১] বরং ওরাই তো সীমালংঘনকারী।

[১] আর যখন ফায়সালা তাদের বিরুদ্ধে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তখন তাদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ও দূরে থাকার কারণ বর্ণনা করা হচ্ছে যে, হয় তাদের অন্তরে কুফরী ও মুনাফিক্বীর রোগ আছে, নতুবা নবীর নবুঅতে সন্দেহ আছে, নতুবা তাদের আশঙ্কা হয় যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূল তাদের প্রতি অবিচার করবেন! অথচ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে অবিচারের কোন সম্ভাবনাই নেই। বরং আসল কথা এই যে, তারা নিজেরাই অনাচারী। ইমাম শাওকানী (রঃ) বলেন, বিচার ও ফায়সালার জন্য যদি এমন বিচারক বা শাসকের দিকে আহবান করা হয়, যিনি ন্যায়পরায়ণ ও কুরআন-হাদীসের অভিজ্ঞ, তাহলে তাঁর নিকট মুকাদ্দামা পেশ করা আবশ্যক। অবশ্য যদি বিচারক কুরআন ও সুন্নাহর জ্ঞান ও প্রমাণাদি সম্পর্কে অনভিজ্ঞ হন, তাহলে তাঁর নিকট ফায়সালার জন্য যাওয়া জরুরী নয়।