۞ وَاَقْسَمُوْا بِاللّٰهِ جَهْدَ اَيْمَانِهِمْ لَىِٕنْ اَمَرْتَهُمْ لَيَخْرُجُنَّۗ قُلْ لَّا تُقْسِمُوْاۚ طَاعَةٌ مَّعْرُوْفَةٌ ۗاِنَّ اللّٰهَ خَبِيْرٌۢ بِمَا تَعْمَلُوْنَ ( النور: ٥٣ )
Wa aqsamoo billaahi jahda aimaanihim la'in amartahum la yakhrujunna qul laa tuqsimoo taa'atum ma'roofah innal laaha khabeerum bimaa ta'maloon (an-Nūr ২৪:৫৩)
English Sahih:
And they swear by Allah their strongest oaths that if you ordered them, they would go forth [in Allah's cause]. Say, "Do not swear. [Such] obedience is known. Indeed, Allah is [fully] Aware of that which you do." (An-Nur [24] : 53)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
(হে নবী!) তারা শক্ত করে কসম খেয়ে বলে যে, তুমি তাদেরকে আদেশ করলে তারা অবশ্য অবশ্যই বের হবে, বল ; তোমরা কসম খেয়ো না, স্বাভাবিক আনুগত্যই কাম্য, বস্তুতঃ তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবহিত। (আন-নূর [২৪] : ৫৩)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
ওরা দৃঢ়ভাবে আল্লাহর শপথ করে বলে যে,[১] তুমি ওদেরকে আদেশ করলে ওরা জিহাদের জন্য অবশ্যই বের হবে। তুমি বল, ‘শপথ করো না। তোমাদের আনুগত্য তো জানাই আছে।[২] তোমরা যা কর, আল্লাহ অবশ্যই সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত।’[৩]
[১] جَهدَ أَيمَانِهِم এর মধ্যে جَهدَ ঊহ্য ক্রিয়ার ক্রিয়ামূল, যা তাকীদের অর্থে ব্যবহূত হয়েছে। আসল বাক্য এইরূপঃ يَجهَدُونَ أَيمَانَهُم جَهدًا কিম্বা হাল (ক্রিয়া-বিশেষণ; অবস্থা) বর্ণনার জন্য جَهدَ শব্দটিতে যবর হয়েছে। অর্থাৎ, مُجتَهدِينَ فِي أَيمَانِهِم যার অর্থ হল তারা সমস্ত শক্তি দিয়ে (দৃঢ়ভাবে) শপথ করে বলে থাকে। (ফাতহুল কাদীর)
[২] আর তা হল এই যে, যেরূপ তোমরা মিথ্যা শপথ করছ, অনুরূপ তোমাদের আনুগত্যও মুনাফিক্বীর উপর নির্ভরশীল। কেউ কেউ এই অর্থ ব্যক্ত করে আর তা হল এই যে, যেরূপ তোমরা মিথ্যা শপথ করছ, অনুরূপ তোমাদের আনুগত্যও মুনাফিক্বীর উপর নির্ভরশীল। কেউ কেউ এই অর্থ ব্যক্ত করেছেন যে, তোমাদের আচরণ সৎকর্মে আনুগত্য হওয়া উচিত। আর সৎকর্মে আনুগত্যের জন্য শপথের প্রয়োজন নেই। যেমন মুসলিমরা বিনা শপথে আনুগত্য করে থাকে, তেমনি তোমরাও তাদের মত হয়ে যাও। (ইবনে কাসীর)
[৩] অর্থাৎ, তিনি তোমাদের সকলের অবস্থা সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত; কে অনুগত এবং কে অবাধ্য? অতএব শপথ করে আনুগত্য প্রকাশ করে এবং তোমাদের অন্তরে তার বিপরীত সংকল্প রেখে তোমরা আল্লাহকে ধোঁকা দিতে পারবে না। কারণ, তিনি গোপন থেকে গোপনতর সব কিছুর ব্যাপারে অবহিত। এমন কি তোমাদের অন্তরের গুপ্ত রহস্য সম্পর্কেও অবগত; যদিও তোমরা জিহ্বা দ্বারা তার বিপরীত প্রকাশ কর।