Skip to main content

قَالَ الَّذِيْ عِنْدَهٗ عِلْمٌ مِّنَ الْكِتٰبِ اَنَا۠ اٰتِيْكَ بِهٖ قَبْلَ اَنْ يَّرْتَدَّ اِلَيْكَ طَرْفُكَۗ فَلَمَّا رَاٰهُ مُسْتَقِرًّا عِنْدَهٗ قَالَ هٰذَا مِنْ فَضْلِ رَبِّيْۗ لِيَبْلُوَنِيْٓ ءَاَشْكُرُ اَمْ اَكْفُرُۗ وَمَنْ شَكَرَ فَاِنَّمَا يَشْكُرُ لِنَفْسِهٖۚ وَمَنْ كَفَرَ فَاِنَّ رَبِّيْ غَنِيٌّ كَرِيْمٌ   ( النمل: ٤٠ )

qāla
قَالَ
Said
(এরপর)বললো একজন
alladhī
ٱلَّذِى
one who
সে (এমন যে)
ʿindahu
عِندَهُۥ
with him
নিকট তার (ছিলো)
ʿil'mun
عِلْمٌ
(was) knowledge
জ্ঞান
mina
مِّنَ
of
থেকে
l-kitābi
ٱلْكِتَٰبِ
the Scripture
কিতাবের
anā
أَنَا۠
"I
"আমি
ātīka
ءَاتِيكَ
will bring it to you
আপনার কাছে আসবো
bihi
بِهِۦ
will bring it to you
নিয়ে তা
qabla
قَبْلَ
before
(এর) পূর্বেই
an
أَن
[that]
যে
yartadda
يَرْتَدَّ
returns
ফিরবে
ilayka
إِلَيْكَ
to you
আপনার দিকে
ṭarfuka
طَرْفُكَۚ
your glance"
আপনার চোখের পলক"
falammā
فَلَمَّا
Then when
অতঃপর যখন
raāhu
رَءَاهُ
he saw it
তা সে দেখলো
mus'taqirran
مُسْتَقِرًّا
placed
স্হির অবস্হায়
ʿindahu
عِندَهُۥ
before him
নিকট তার
qāla
قَالَ
he said
সে বললো
hādhā
هَٰذَا
"This
"এটা
min
مِن
(is) from
কারণে
faḍli
فَضْلِ
(the) Favor
অনুগ্রহের
rabbī
رَبِّى
(of) my Lord
আমার রবের
liyabluwanī
لِيَبْلُوَنِىٓ
to test me
যাতে তিনি আমাকে পরীক্ষা করেন
a-ashkuru
ءَأَشْكُرُ
whether I am grateful
কি আমি কৃতজ্ঞ হই
am
أَمْ
or
না
akfuru
أَكْفُرُۖ
I am ungrateful
আমি অকৃতজ্ঞ হই
waman
وَمَن
And whoever
আর যে
shakara
شَكَرَ
(is) grateful
কৃতজ্ঞ হয়
fa-innamā
فَإِنَّمَا
then only
তবে শুধুমাত্র
yashkuru
يَشْكُرُ
he is grateful
সে কৃতজ্ঞ হয়
linafsihi
لِنَفْسِهِۦۖ
for his own soul
জন্যে তার নিজের
waman
وَمَن
And whoever
আর যে
kafara
كَفَرَ
(is) ungrateful
অকৃতজ্ঞ হয়
fa-inna
فَإِنَّ
then indeed
তবে নিশ্চয়ই
rabbī
رَبِّى
my Lord
আমার রব
ghaniyyun
غَنِىٌّ
(is) Self-sufficient
অভাবমুক্ত
karīmun
كَرِيمٌ
Noble"
সম্মানিত"

Qaalal lazee indahoo 'ilmum minal Kitaabi ana aateeka bihee qabla ai yartadda ilaika tarfuk; falammaa ra aahu mustaqirran 'indahoo qaala haazaa min fadli Rabbee li yabluwaneee 'a-ashkuru am akfuru wa man shakara fa innamaa yashkuru linafsihee wa man kafara fa inna Rabbee Ghaniyyun Kareem (an-Naml ২৭:৪০)

English Sahih:

Said one who had knowledge from the Scripture, "I will bring it to you before your glance returns to you." And when [Solomon] saw it placed before him, he said, "This is from the favor of my Lord to test me whether I will be grateful or ungrateful. And whoever is grateful – his gratitude is only for [the benefit of] himself. And whoever is ungrateful – then indeed, my Lord is Free of need and Generous." (An-Naml [27] : 40)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যার কাছে কিতাবের (তাওরাতের) জ্ঞান ছিল সে বলল- ‘আপনার দৃষ্টি আপনার দিকে ফিরে আসার পূর্বেই আমি তা আপনার কাছে এনে দেব।’ সুলাইমান যখন তা তার সামনে রক্ষিত দেখতে পেল তখন সে বলল- ‘এটা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ, আমাকে পরীক্ষা করার জন্য- আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি, না অকৃতজ্ঞ হই। যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে নিজের কল্যাণেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। আর যে অকৃতজ্ঞ হয় (সে জেনে রাখুক), নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক অভাবমুক্ত, মর্যাদায় সর্বশ্রেষ্ঠ।’ (নমল [২৭] : ৪০)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

গ্রন্থের জ্ঞান যার ছিল, সে বলল, ‘আপনি চোখের পলক ফেলার পূর্বেই আমি তা এনে দেব।’[১] সুতরাং সুলাইমান যখন তা সম্মুখে উপস্থিত দেখল, তখন সে বলল, ‘এ আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ; যাতে তিনি আমাকে পরীক্ষা করতে পারেন, আমি কৃতজ্ঞ, না অকৃতজ্ঞ। যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, সে তা নিজের কল্যাণের জন্য করে এবং যে অকৃতজ্ঞ, সে জেনে রাখুক যে, নিশ্চয় আমার প্রতিপালক অভাবমুক্ত, মহানুভব।’

[১] যে এ কথা বলল, সে কে ছিল? কিতাব কি ছিল? আর জ্ঞানই বা কি ছিল? যার জোরে সে এ দাবী করেছিল? এ ব্যাপারে তফসীরকারদের মাঝে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। এই তিনের বাস্তব একমাত্র আল্লাহই জানেন। এখানে কুরআনের শব্দ থেকে যা বুঝা যায় তা হল, সে ছিল মানুষ। তার নিকট ছিল আল্লাহর কোন কিতাবের জ্ঞান। আল্লাহ তাকে কারামত বা মু'জিযাস্বরূপ এ শক্তি দান করলেন এবং চোখের পলকে সিংহাসন এনে উপস্থিত করল। কারামত বা মু'জিযা নামই এমন কাজের যা বাহ্যিক কারণ ও নৈসর্গিক কাজের সম্পূর্ণ বিপরীত। আর তা একমাত্র আল্লাহর কুদরত ও ইচ্ছায় প্রকাশ পেয়ে থাকে। এই জন্য ঐ ব্যক্তির শক্তিতে বিস্ময় প্রকাশের কিছু নেই এবং তার ঐ কিতাবী জ্ঞান কি ছিল তা নিয়ে গবেষণারও কোন প্রয়োজন নেই; যা এখানে বর্ণিত হয়েছে। কেননা, এ ছিল সেই ব্যক্তির পরিচয় যার দ্বারা এই কাজ সম্পাদিত হয়েছে। তাছাড়া বাস্তবে এ শুধু আল্লাহর ইচ্ছার প্রতিফলন, যিনি চোখের পলকে যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। সুলাইমান (আঃ)ও এ ব্যাপারে অবহিত ছিলেন। সেই জন্য তিনি যখন দেখলেন যে, সিংহাসন উপস্থিত, তখন তিনি এ ঘটনাকে প্রভুর অনুগ্রহ ও কৃপা বলেই ব্যক্ত করলেন।