قُلْ لَّا يَعْلَمُ مَنْ فِى السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ الْغَيْبَ اِلَّا اللّٰهُ ۗوَمَا يَشْعُرُوْنَ اَيَّانَ يُبْعَثُوْنَ ( النمل: ٦٥ )
Qul laa ya'lamu mman fis sammaawaati wal ardil ghaiba illal laah; wa maa yash'uroona aiyaana yub'asoon (an-Naml ২৭:৬৫)
English Sahih:
Say, "None in the heavens and earth knows the unseen except Allah, and they do not perceive when they will be resurrected." (An-Naml [27] : 65)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
বল, আকাশ ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা কেউই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না আল্লাহ ছাড়া, আর তারা জানে না কখন তাদেরকে জীবিত ক’রে উঠানো হবে। (নমল [২৭] : ৬৫)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
বল, ‘আল্লাহ ব্যতীত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে কেউই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না[১] এবং ওরা কখন পুনরুত্থিত হবে (তাও) ওরা জানে না।’
[১] যেমন উক্ত সব বিষয়ে মহান আল্লাহ একক, তাঁর কোন শরীক নেই। অনুরূপ গায়েব জানার ব্যাপারেও তিনি একক। তিনি ছাড়া আর কেউ গায়েব জানে না। নবী ও রসূলের গায়েবের সংবাদ অতটুকুই জানা থাকে যতটুকু মহান আল্লাহ অহী ও ইলহাম দ্বারা জানিয়ে দেন। আর যে জ্ঞান কারো জানানোর ফলে (কোন অসীলার মাধ্যমে) অর্জিত হয় সেই জানাকে গায়েব জানা বলা হয় না এবং এ রকম জাননে-ওয়ালাকে গায়েব জাননে-ওয়ালাও বলা হয় না। গায়েবের জ্ঞানী তো তিনিই যিনি বিনা কোন মাধ্যম ও সাহায্যে স্বয়ং প্রত্যেক বস্তুর জ্ঞান রাখেন, প্রত্যেক বাস্তবিকতার ব্যাপারে অবগত এবং ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জিনিসও তার জ্ঞানের পরিধির বাহিরে নয়। এ গুণ কেবলমাত্র আর একমাত্র মহান আল্লাহর। সেই জন্য একমাত্র তিনিই 'আ-লিমুল গাইব'। তিনি ছাড়া এ বিশ্বে আর কেউ গায়েব জানে না। আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই ধারণা পোষণ করে যে, নবী (সাঃ) ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা জানতেন, সে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে। কারণ, তিনি বলেন, "আল্লাহ ব্যতীত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে কেউই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না।" (বুখারী ৪৮৫৫, মুসলিম ২৮৭, তিরমিযী ৩০৬৮নং) ক্বাতাদাহ (রাঃ) বলেন, মহান আল্লাহ তারকারাজিকে তিনটি উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন। একঃ আকাশের সৌন্দর্য, দুইঃ পথ নির্দেশনা এবং তিনঃ শয়তানকে চাবুক মারা। কিন্তু আল্লাহর আদেশের ব্যাপারে অনভিজ্ঞ মানুষ ওর থেকে গায়েবের খবর জানার জন্য একটি মনগড়া পদ্ধতি (জ্যোতির্বিদ্যা) বের করেছে। যেমন, তারা বলে থাকে অমুক অমুক দিনে বিবাহ করলে এই এই হবে বা অমুক অমুক নক্ষত্রের সময় সফর করলে এ রকম এ রকম হবে বা অমুক অমুক গ্রহের সময় কারো জন্ম হলে এই এই হবে ইত্যাদি। এ সমস্ত কথা ধাপ্পাবাজি। তাদের অনুমান প্রসূত কথার বিপরীতই অধিক ঘটে থাকে। গ্রহ-নক্ষত্র ও পশু-পক্ষী দ্বারা কিভাবে গায়েবের সংবাদ পাওয়া যেতে পারে? অথচ আল্লাহর ফায়সালা ও ঘোষণা এই যে, "আল্লাহ ব্যতীত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে কেউই গায়বের জ্ঞান রাখে না।" (ইবনে কাসীর)