Skip to main content

وَاعْتَصِمُوْا بِحَبْلِ اللّٰهِ جَمِيْعًا وَّلَا تَفَرَّقُوْا ۖوَاذْكُرُوْا نِعْمَتَ اللّٰهِ عَلَيْكُمْ اِذْ كُنْتُمْ اَعْدَاۤءً فَاَلَّفَ بَيْنَ قُلُوْبِكُمْ فَاَصْبَحْتُمْ بِنِعْمَتِهٖٓ اِخْوَانًاۚ وَكُنْتُمْ عَلٰى شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ النَّارِ فَاَنْقَذَكُمْ مِّنْهَا ۗ كَذٰلِكَ يُبَيِّنُ اللّٰهُ لَكُمْ اٰيٰتِهٖ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُوْنَ   ( آل عمران: ١٠٣ )

wa-iʿ'taṣimū
وَٱعْتَصِمُوا۟
And hold firmly
এবং তোমরা শক্ত ভাবে ধর
biḥabli
بِحَبْلِ
to (the) rope
রজ্জুকে
l-lahi
ٱللَّهِ
(of) Allah
আল্লাহর
jamīʿan
جَمِيعًا
all together
সবাই একত্রে
walā
وَلَا
and (do) not
আর না
tafarraqū
تَفَرَّقُوا۟ۚ
be divided
তোমরা বিচ্ছিন্ন হয়ো
wa-udh'kurū
وَٱذْكُرُوا۟
And remember
এবং তোমরা স্মরণ কর
niʿ'mata
نِعْمَتَ
(the) Favor
নিয়ামাতের
l-lahi
ٱللَّهِ
(of) Allah
আল্লাহর
ʿalaykum
عَلَيْكُمْ
on you
তোমাদের উপর
idh
إِذْ
when
যখন
kuntum
كُنتُمْ
you were
তোমরা ছিলে
aʿdāan
أَعْدَآءً
enemies
(পরস্পর) শত্রু
fa-allafa
فَأَلَّفَ
then He made friendship
তখন মিলিয়ে দিলেন
bayna
بَيْنَ
between
মাঝে
qulūbikum
قُلُوبِكُمْ
your hearts
তোমাদের অন্তরের
fa-aṣbaḥtum
فَأَصْبَحْتُم
then you became
তোমরা তাই হয়ে গেলে
biniʿ'matihi
بِنِعْمَتِهِۦٓ
by His Favor
তাঁর অনুগ্রহে
ikh'wānan
إِخْوَٰنًا
brothers
ভাই ভাই
wakuntum
وَكُنتُمْ
And you were
এবং তোমরা ছিলে
ʿalā
عَلَىٰ
on
উপর
shafā
شَفَا
(the) brink
কিনারার
ḥuf'ratin
حُفْرَةٍ
(of) pit
গর্তের
mina
مِّنَ
of
(থেকে)
l-nāri
ٱلنَّارِ
the Fire
আগুনের
fa-anqadhakum
فَأَنقَذَكُم
then He saved you
তোমাদের অতঃপর উদ্ধার করলেন
min'hā
مِّنْهَاۗ
from it
তা হতে
kadhālika
كَذَٰلِكَ
Thus
এভাবে
yubayyinu
يُبَيِّنُ
makes clear
বর্ণনা করেন
l-lahu
ٱللَّهُ
Allah
আল্লাহ
lakum
لَكُمْ
for you
তোমাদের জন্য
āyātihi
ءَايَٰتِهِۦ
His Verses
তাঁর আয়াত সমূহকে
laʿallakum
لَعَلَّكُمْ
so that you may
তোমরা যাতে
tahtadūna
تَهْتَدُونَ
(be) guided
সঠিক পথ পাও

Wa'tasimoo bi Hablil laahi jamee'anw wa laa tafarraqoo; wazkuroo ni'matal laahi alaikum iz kuntum a'daaa'an fa allafa baina quloobikum fa asbah tum bini'matiheee ikhwaananw wa kuntum 'alaa shafaa hufratim minan Naari fa anqazakum minhaa; kazaalika yubaiyinul laahu lakum aayaatihee la'allakum tahtadoon (ʾĀl ʿImrān ৩:১০৩)

English Sahih:

And hold firmly to the rope of Allah all together and do not become divided. And remember the favor of Allah upon you – when you were enemies and He brought your hearts together and you became, by His favor, brothers. And you were on the edge of a pit of the Fire, and He saved you from it. Thus does Allah make clear to you His verses that you may be guided. (Ali 'Imran [3] : 103)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আল্লাহর রজ্জুকে সমবেতভাবে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না এবং তোমাদের প্রতি আল্লাহর নি‘মাত স্মরণ কর, যখন তোমরা ছিলে পরস্পর শত্রু, তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতির সঞ্চার করলেন, ফলে তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহে পরস্পর ভাই ভাই হয়ে গেলে। তোমরা অগ্নি-গহ্বরের প্রান্তে ছিলে, অতঃপর আল্লাহ তোমাদেরকে তাত্থেকে রক্ষা করলেন। এভাবে আল্লাহ নিজের নিদর্শনাবলী তোমাদের কাছে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন যাতে তোমরা সঠিক পথ প্রাপ্ত হও। (আল ইমরান [৩] : ১০৩)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তোমরা সকলে আল্লাহর রশি (ধর্ম বা কুরআন)কে শক্ত করে ধর[১] এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।[২] তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহকে স্মরণ কর; তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে, তিনি তোমাদের হৃদয়ে প্রীতির সঞ্চার করলেন। ফলে তোমরা তাঁর অনুগ্রহে পরস্পর ভাই-ভাই হয়ে গেলে। তোমরা অগ্নিকুন্ডের (দোযখের) প্রান্তে ছিলে, অতঃপর তিনি (আল্লাহ) তা হতে তোমাদেরকে উদ্ধার করেছেন। এরূপে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শন স্পষ্টভাবে বিবৃত করেন, যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

[১] আল্লাহকে ভয় করার কথা বলার পর 'তোমরা সকলে আল্লাহর রশিকে শক্ত করে ধর'এর আদেশ দিয়ে এ কথা পরিষ্কার করে দিলেন যে, মুক্তিও রয়েছে এই দুই মূল নীতির মধ্যে এবং ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হতে ও থাকতে পারে এই মূল নীতিরই ভিত্তিতে।

[২] وَلاَ تَفَرَقُّوا "পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না" এর মাধ্যমে দলে দলে বিভক্ত হওয়া থেকে নিষেধ করা হয়েছে। অর্থাৎ, উল্লিখিত দু'টি মূল নীতি থেকে যদি তোমরা বিচ্যুত হয়ে পড়, তাহলে তোমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং ভিন্ন ভিন্ন দলে তোমরা বিভক্ত হয়ে যাবে। বলাই বাহুল্য যে, বর্তমানে দলে দলে বিভক্ত হওয়ার দৃশ্য আমাদের সামনেই রয়েছে। কুরআন ও হাদীস বোঝার এবং তার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ নিয়ে পারস্পরিক কিছু মতপার্থক্য থাকলেও তা কিন্তু দলে দলে বিভক্ত হওয়ার কারণ নয়। এ ধরনের বিরোধ তো সাহাবী ও তাবেঈনদের যুগেও ছিল, কিন্তু তাঁরা ফির্কাবন্দী সৃষ্টি করেননি এবং দলে দলে বিভক্ত হয়েও যাননি। কারণ, তাঁদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও সকলের আনুগত্য ও আকীদার মূল কেন্দ্র ছিল একটাই। আর তা হল, কুরআন এবং হাদীসে রসূল (সাঃ)। কিন্তু যখন ব্যক্তিত্বের নামে চিন্তা ও গবেষণা কেন্দ্রের আবির্ভাব ঘটল, তখন আনুগত্য ও আকীদার মূল কেন্দ্র পরিবর্তন হয়ে গেল। আপন আপন ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের উক্তি ও মন্তব্যসমূহ প্রথম স্থান দখল করল এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের উক্তিসমূহ দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী হল। আর এখান থেকেই মুসলিম উম্মাহর মাঝে পারস্পরিক বিচ্ছিন্নতা শুরু হল; যা দিনে দিনে বাড়তেই লাগল এবং বড় শক্তভাবে বদ্ধমূল হয়ে গেল।