وَمِنْ اٰيٰتِهٖ خَلْقُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَاخْتِلَافُ اَلْسِنَتِكُمْ وَاَلْوَانِكُمْۗ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّلْعٰلِمِيْنَ ( الروم: ٢٢ )
Wa min Aayaatihee khalqus samaawaati wal aardi wakhtilaafu alsinatikum wa alwaanikum; inna fee zaalika la Aayaatil lil'aalimeen (ar-Rūm ৩০:২২)
English Sahih:
And of His signs is the creation of the heavens and the earth and the diversity of your languages and your colors. Indeed in that are signs for those of knowledge. (Ar-Rum [30] : 22)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তাঁর নিদর্শনের মধ্যে হল, আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বিভিন্নতা। জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই এতে আছে বহু নিদর্শন। (আর-রূম [৩০] : ২২)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি নিদর্শনঃ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বিভিন্নতা।[১] এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।
[১] পৃথিবীতে নানা ভাষা সৃষ্টিও আল্লাহর কুদরতের এক মহানিদর্শন। আরবী, তুর্কী, ইংরেজী, উর্দু, হিন্দী, পশতু, ফারসী, সিন্ধী, বেলুচী, ইত্যাদি বিভিন্ন ভাষা রয়েছে পৃথিবীতে। আবার প্রত্যেক ভাষার ভাব ও উচ্চারণভঙ্গীর (আঞ্চলিক) বিভিন্নতা আছে। সহস্র ও লক্ষ মানুষের মাঝেও একজন মানুষকে তার ভাষা ও উচ্চারণভঙ্গী দ্বারা চিনতে পারা যায় যে, এ ব্যক্তি অমুক দেশের বা অমুক এলাকার। শুধু ভাষাই তার পূর্ণ পরিচয় বলে দেয়। অনুরূপভাবে একই পিতা-মাতা (আদম ও হাওয়া) থেকে জন্মলাভের পরেও রঙ ও বর্ণে এক অপর থেকে পৃথক। কেউ কৃষ্ণকায়, কেউ শ্বেতকায়, কেউ নীলবর্ণের, আবার কেউ শ্যাম ও গৌরবর্ণের। অতঃপর কালো-সাদার মাঝেও এত স্তর রয়েছে যে, অধিকাংশ মানুষ এই দুই রঙে বিভক্ত হয়েও অনেক ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে এবং এক অপর থেকে একেবারেই ভিন্ন ও পৃথক মনে হয়। অতঃপর মানুষের চেহারার আকারও শ্রী, শরীরের গঠন এবং উচ্চতাতেও এমন পার্থক্য রাখা হয়েছে যে, বিভিন্ন দেশের মানুষকে আলাদাভাবে সহজেই চেনা যায়। একজন অপরজনের সাথে কোন মিল নেই; এমনকি সহোদর ভাই আপন ভাই থেকে আলাদা। এ সত্ত্বেও আল্লাহর কুদরতের পরিপূর্ণতা এই যে, কোন এক দেশের বসবাসকারী অন্য দেশের বসবাসকারী থেকে পৃথক হয়।