Skip to main content

اَلنَّبِيُّ اَوْلٰى بِالْمُؤْمِنِيْنَ مِنْ اَنْفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهٗٓ اُمَّهٰتُهُمْ ۗوَاُولُوا الْاَرْحَامِ بَعْضُهُمْ اَوْلٰى بِبَعْضٍ فِيْ كِتٰبِ اللّٰهِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُهٰجِرِيْنَ اِلَّآ اَنْ تَفْعَلُوْٓا اِلٰٓى اَوْلِيَاۤىِٕكُمْ مَّعْرُوْفًا ۗ كَانَ ذٰلِكَ فِى الْكِتٰبِ مَسْطُوْرًا  ( الأحزاب: ٦ )

The Prophet
ٱلنَّبِىُّ
নাবীই
(is) closer
أَوْلَىٰ
অধিক ঘনিষ্ঠ
to the believers
بِٱلْمُؤْمِنِينَ
কাছে মু’মিনদের
than
مِنْ
অপেক্ষা
their own selves
أَنفُسِهِمْۖ
নিজেদের তাদের
and his wives
وَأَزْوَٰجُهُۥٓ
এবং স্ত্রীগণ তার
(are) their mothers
أُمَّهَٰتُهُمْۗ
মা তাদের
And possessors
وَأُو۟لُوا۟
এবং অধিকারীরা
(of) relationships
ٱلْأَرْحَامِ
আত্নীয়তা-সম্পর্কের (নিকট আত্মীয়-স্বজনরা মু’মিন হ'লে)
some of them
بَعْضُهُمْ
পরস্পরে তাদের
(are) closer
أَوْلَىٰ
অধিক ঘনিষ্ঠ
to another
بِبَعْضٍ
সাথে পরস্পরের
in
فِى
অনুসারে
(the) Decree
كِتَٰبِ
বিধান
(of) Allah
ٱللَّهِ
আল্লাহর
than
مِنَ
চেয়ে
the believers
ٱلْمُؤْمِنِينَ
(সাধারণ) মু’মিনদের
and the emigrants
وَٱلْمُهَٰجِرِينَ
ও মুহাজিরদের
except
إِلَّآ
তবে
that
أَن
(এটা) যে
you do
تَفْعَلُوٓا۟
(চাও যদি) তোমরা করতে পারো
to
إِلَىٰٓ
প্রতি
your friends
أَوْلِيَآئِكُم
(এসব)বন্ধুদের তোমাদের
a kindness
مَّعْرُوفًاۚ
ভালো ব্যবহার
That is
كَانَ
আছে
That is
ذَٰلِكَ
এটা
in
فِى
মধ্যে
the Book
ٱلْكِتَٰبِ
কিতাবের
written
مَسْطُورًا
লিখিত

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

নবী (সাঃ) মু’মিনদের নিকট তাদের নিজেদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ, আর তার স্ত্রীগণ তাদের মাতা। আল্লাহর বিধানে মু’মিন ও মুহাজিরদের (দ্বীনী সম্পর্ক) অপেক্ষা আত্মীয়-স্বজনগণ পরস্পর পরস্পরের নিকট ঘনিষ্ঠতর। তবে তোমরা তোমাদের বন্ধু বান্ধবদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্য প্রদর্শন করতে চাইলে, করতে পার। (আল্লাহর) কিতাবে এটাই লিখিত।

English Sahih:

The Prophet is more worthy of the believers than themselves, and his wives are [in the position of] their mothers. And those of [blood] relationship are more entitled [to inheritance] in the decree of Allah than the [other] believers and the emigrants, except that you may do to your close associates a kindness [through bequest]. That was in the Book inscribed.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

নবী, বিশ্বাসীদের নিকট তাদের প্রাণ অপেক্ষাও অধিক প্রিয়[১] এবং তার স্ত্রীগণ তাদের মা-স্বরূপ।[২] আল্লাহর বিধান অনুসারে বিশ্বাসী ও মুহাজিরগণ অপেক্ষা যারা আত্মীয় তারাই পরস্পরের নিকটতর।[৩] তবে তোমরা যদি তোমাদের বন্ধু-বান্ধবদের প্রতি দাক্ষিণ্য প্রদর্শন করতে চাও (তাহলে তা করতে পার)। [৪] এ কথা গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে।[৫]

[১] নবী (সাঃ) নিজ উম্মতের জন্য যত মঙ্গলকামী ও দয়ালু ছিলেন, তা বর্ণনার মুখাপেক্ষী নয়। আল্লাহ তাআলা নবী (সাঃ)-এর দয়া ও হিতাকাঙ্ক্ষা দেখে এই আয়াতে নবী (সাঃ)-কে মু'মিনদের প্রাণ অপেক্ষাও অধিক প্রিয়, নবী (সাঃ)-এর ভালোবাসাকে অন্য সকলের ভালোবাসা অপেক্ষা উচ্চতর এবং নবী (সাঃ)-এর আদেশকে তাদের সকল ইচ্ছা ও এখতিয়ার অপেক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছেন। এই জন্য মু'মিনদের জরুরী কর্তব্য যে, নবী (সাঃ) আল্লাহর জন্য তাদের নিকট যে মাল-ধন চাইবেন তারা তাঁকে তা সত্বর প্রদান করবে; যদিও তাদের ঐ মালের আশু প্রয়োজন থাকে। নিজেদের জীবন থেকেও নবী (সাঃ)-এর মহববত অধিক রাখতে হবে। (যেমন উমার (রাঃ)-এর ঘটনা) নবী (সাঃ)-এর আদেশকে অন্য সবার আদেশের উপর প্রাধান্য দিতে হবে এবং তাঁর আনুগত্যকে অন্য সবার আনুগত্য অপেক্ষা বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত (فلا وربك لا يؤمنون...) (সূরা নিসা ৪;৬৫ আয়াত)এর নির্দেশ মত নিজেকে গড়ে না তুলতে পারবে, ততক্ষণ কোন মুসলিম প্রকৃত মুসলিম হতে পারবে না। অনুরূপ যতক্ষণ তাঁর মহব্বত অন্য সকল মহব্বতের উপর বিজয়ী না হবে, ততক্ষণ (لاََيؤُمِنُ أَحْدُكُمْ حُتىَّ أُكُوْنَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِن وَّالِدِهِ وَوَلَِدِهِ...) এর নির্দেশ অনুযায়ী কেউ প্রকৃত মু'মিন হবে না। ঠিক অনুরূপ রসূল (সাঃ)-এর আনুগত্যে আলস্য, অবজ্ঞা, অবহেলা বা ত্রুটি প্রদর্শন করলেও সঠিক অর্থে মুসলিম হওয়া যায় না।

[২] অর্থাৎ, শ্রদ্ধা ও সম্মানে এবং তাঁদেরকে বিবাহ না করার ব্যাপারে তাঁরা 'উম্মুল মু'মিনীন' বা মু'মিন নারী-পুরুষদের মাতা।

[৩] অর্থাৎ, এখন হিজরত, ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধনের কারণে একে অন্যের ওয়ারেস হবে না; শুধু নিকট আত্মীয়তার কারণেই ওয়ারেস হবে।

[৪] অর্থাৎ, আত্মীয় ছাড়া অন্যদের সাথে সদ্ব্যবহার ও সৌজন্য প্রদর্শন করতে পারো। তাছাড়া তাদের জন্য নিজ সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ অসিয়ত করতে পারো।

[৫] অর্থাৎ, লাওহে মাহফূযে আসল হুকুম এটাই লিপিবদ্ধ আছে; যদিও কারণবশতঃ সাময়িকভাবে অন্যদেরকেও ওয়ারিস করা হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ তাআলার ইলমে ছিল যে, তা তিনি মনসূখ (রহিত) করে দেবেন। সুতরাং তা মনসূখ করে দিয়ে পূর্ব আদেশ চালু রাখা হল।