Skip to main content

اَفَلَمْ يَرَوْا اِلٰى مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ مِّنَ السَّمَاۤءِ وَالْاَرْضِۗ اِنْ نَّشَأْ نَخْسِفْ بِهِمُ الْاَرْضَ اَوْ نُسْقِطْ عَلَيْهِمْ كِسَفًا مِّنَ السَّمَاۤءِۗ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَةً لِّكُلِّ عَبْدٍ مُّنِيْبٍ ࣖ   ( سبإ: ٩ )

afalam
أَفَلَمْ
Then, do not
তবে কি না
yaraw
يَرَوْا۟
they see
তারা দেখে
ilā
إِلَىٰ
towards
দিকে
مَا
what
(তার) যা
bayna
بَيْنَ
(is) before them
মাঝে
aydīhim
أَيْدِيهِمْ
(is) before them
তাদের হাতের (সামনে রয়েছে)
wamā
وَمَا
and what
এবং যা
khalfahum
خَلْفَهُم
(is) behind them
তাদের পিছনে
mina
مِّنَ
of
হ'তে
l-samāi
ٱلسَّمَآءِ
the heaven
আকাশ
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِۚ
and the earth?
এবং পৃথিবী
in
إِن
If
যদি
nasha
نَّشَأْ
We will
আমরা চাই
nakhsif
نَخْسِفْ
We (could) cause to swallow them
আমরা ধ্বসিয়ে দিবো
bihimu
بِهِمُ
We (could) cause to swallow them
তাদের সহ
l-arḍa
ٱلْأَرْضَ
the earth
পৃথিবীকে
aw
أَوْ
or
অথবা
nus'qiṭ
نُسْقِطْ
cause to fall
আমরা পতিত করবো
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
upon them
তাদের উপর
kisafan
كِسَفًا
fragments
(কিছু) খণ্ড
mina
مِّنَ
from
থেকে
l-samāi
ٱلسَّمَآءِۚ
the sky
আকাশ
inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
فِى
in
মধ্যে (রয়েছে)
dhālika
ذَٰلِكَ
that
এর
laāyatan
لَءَايَةً
surely, is a Sign
অবশ্যই নিদর্শন
likulli
لِّكُلِّ
for every
জন্যে প্রত্যেক
ʿabdin
عَبْدٍ
slave
দাসের
munībin
مُّنِيبٍ
who turns (to Allah)
যে (আল্লাহ) অভিমুখী

Afalam yaraw ilaa maa baina aydeehim wa maa khalfahum minas samaaa'i wal ard; in nashad nakhsif bihimul arda aw nusqit 'alaihim kisafam minas samaaa'; inna fee zaalika la Aayatal likulli 'abdim muneeb (Sabaʾ ৩৪:৯)

English Sahih:

Then, do they not look at what is before them and what is behind them of the heaven and earth? If We should will, We could cause the earth to swallow them or [could] let fall upon them fragments from the sky. Indeed in that is a sign for every servant turning back [to Allah]. (Saba [34] : 9)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা কি আকাশ ও পৃথিবীতে তাদের সামনে ও পেছনে লক্ষ্য করে না? আমি ইচ্ছে করলে তাদেরকেসহ ভূমি ধ্বসিয়ে দেব অথবা আকাশের এক টুকরো তাদের উপর ফেলে দেব। প্রতিটি আল্লাহ অভিমুখী বান্দাহর জন্য এতে নিদর্শন রয়েছে। (সাবা [৩৪] : ৯)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

ওরা কি ওদের সম্মুখে ও পশ্চাতে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা আছে, তার প্রতি লক্ষ্য করে না?[১] আমি ইচ্ছা করলে ওদেরকে সহ ভূমি ধসিয়ে দেব অথবা ওদের ওপর আকাশ হতে (আযাবের) কোন অংশ পতিত করব।[২] আল্লাহ-অভিমুখী প্রতিটি দাসের জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।

[১] অর্থাৎ, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে না? আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ধমক দিয়ে বলেন যে, পরকালকে অস্বীকার আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি রহস্য নিয়ে চিন্তা-ভাবনা না করার ফল। তাছাড়া যে আল্লাহ বর্ণনাতীত উচ্চ ও প্রশস্ত আকাশের মত বস্তু এবং বিশাল লম্বা-চওড়া পৃথিবীর মত বস্তু সৃষ্টি করতে পারেন, সেই আল্লাহর জন্য তাঁরই সৃষ্টি করা বস্তুকে পুনরায় সৃষ্টি করা এবং তা পুনরায় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা কি সম্ভব নয়?

[২] উক্ত আয়াতটি দুটি বিষয়ের বর্ণনা দিয়েছে; প্রথমতঃ আল্লাহর পূর্ণ ক্ষমতার বর্ণনা, যা এক্ষুনি বর্ণিত হল। দ্বিতীয়তঃ কাফেরদের জন্য সতর্কতা ও ধমক এইভাবে যে, যে আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করার ক্ষমতা রাখেন, উভয়ের উপরে ও মাঝে যা কিছু আছে তার সকল কিছুর উপর তাঁর ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ, তিনি যখন ইচ্ছা তাদের উপর আযাব প্রেরণ করে সকলকে ধ্বংস করতে পারেন। মাটি ধসিয়েও তিনি ধ্বংস করতে পারেন, যেমন কারূনকে ধসিয়ে ছিলেন অথবা আকাশ থেকে কিছু নিক্ষেপ করেও ধ্বংস করতে পারেন, যেমন আইকাবাসীকে ধ্বংস করা হয়েছিল।