আল-মু'মিন আয়াত ১২

‘এটা এজন্যে যে, যখন একমাত্র আল্লাহ্‌কে ডাকা হত তখন তোমরা কুফরী করতে, আর যখন তাঁর সাথে শির্ক করা হত তখন তোমরা তাতে বিশ্বাস করতে।’ সুতরাং যাবতীয় কর্তৃত্ব সমুচ্চ, মহান আল্লাহরই।

[তাদেরকে বলা হবে] ‘এটা তো এজন্য যে, যখন আল্লাহকে এককভাবে ডাকা হত তখন তোমরা তাঁকে অস্বীকার করতে আর যখন তাঁর সাথে শরীক করা হত তখন তোমরা বিশ্বাস করতে। সুতরাং যাবতীয় কর্তৃত্ব সমুচ্চ, মহান আল্লাহর’।

তোমাদের এ বিপদ এ কারণে যে, যখন এক আল্লাহকে ডাকা হত, তখন তোমরা কাফের হয়ে যেতে যখন তার সাথে শরীককে ডাকা হত তখন তোমরা বিশ্বাস স্থাপন করতে। এখন আদেশ তাই, যা আল্লাহ করবেন, যিনি সর্বোচ্চ, মহান।

''এটিই তোমাদের, কেননা যখন আল্লাহ্‌কে তাঁর একত্ব সন্বন্ধে ঘোষণা করা হতো তখন তোমরা অবিশ্বাস করতে, আর যদি তাঁর সঙ্গে অংশী দাঁড় করানো হতো তাহলে তোমরা বিশ্বাস করতে। বস্তুতঃ হুকুম আল্লাহ্‌র -- মহোচ্চ, মহামহিম।

(উত্তর দেওয়া হবে,) তোমাদের এ অবস্থার কারণ হল, যখন এক আল্লাহকে ডাকা হত, তখন তোমরা তাকে অস্বীকার করতে। আর যদি তার সাথে অন্য কাউকে শরীক করা হত, তোমরা তাতে বিশ্বাস করতে। অতএব এখন ফায়সালা কেবল আল্লাহরই, যিনি সমুচ্চ, সুমহান।

তোমাদের এই পার্থিব শাস্তি এ জন্য যে, যখন এক আল্লাহকে ডাকা হত তখন তোমরা তাঁকে অস্বীকার করতে এবং আল্লাহর শরীক স্থির করা হলে তোমরা তা বিশ্বাস করতে। বস্তুতঃ মহান আল্লাহরই সমস্ত কর্তৃত্ব।

Please check ayah 40:14 for complete tafsir.

(তাদেরকে বলা হবে,) “তোমাদের এই শাস্তি তো এ জন্য যে, যখন এক আল্লাহকে ডাকা হত তখন তোমরা অবিশ্বাস করতে, আর যদি তাঁর সাথে কোন শরীক সাব্যস্ত করা হত তাহলে তোমরা বিশ্বাস করতে। সুতরাং বিচারের ক্ষমতা তো আল্লাহর; যিনি সর্বোচ্চ, মহামহিম।”

১২. এই শাস্তির কারণ হচ্ছে এই যে, যখন এককভাবে আল্লাহকে আহŸান করা হতো এবং তাঁর সাথে অন্যকে শরীক করা হতো না তখন তোমরা তাঁকে অবিশ্বাস করতে ও তাঁর সাথে অন্যকে শরীক করতে। পক্ষান্তরে যখন আল্লাহর ইবাদাতে অন্যকে শরীক করা হতো তখন তোমরা বিশ্বাস করতে। বস্তুতঃ বিধান কেবল আল্লাহরই যিনি স্বীয় সত্তা, ক্ষমতা ও প্রতাপে সমোন্নত। তিনি এত মহান যে, অন্য সব কিছুই তাঁর নিচে।

Please check ayah 40:14 for complete tafsir.