مَنْ عَمِلَ سَيِّئَةً فَلَا يُجْزٰىٓ اِلَّا مِثْلَهَاۚ وَمَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِّنْ ذَكَرٍ اَوْ اُنْثٰى وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَاُولٰۤىِٕكَ يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ يُرْزَقُوْنَ فِيْهَا بِغَيْرِ حِسَابٍ ( غافر: ٤٠ )
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
যে খারাপ কাজ করবে তাকে কাজের অনুপাতেই প্রতিফল দেয়া হবে। পুরুষ হোক আর নারী হোক যে ব্যক্তিই সৎ কাজ করবে (উপরন্তু) সে মু’মিনও, তাহলে তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে, তার মধ্যে তারা বে-হিসাব রিযক প্রাপ্ত হবে।
English Sahih:
Whoever does an evil deed will not be recompensed except by the like thereof; but whoever does righteousness, whether male or female, while he is a believer – those will enter Paradise, being given provision therein without account.
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
কেউ মন্দ কাজ করলে সে কেবল তার কর্মের অনুরূপ শাস্তি পাবে[১] এবং নারী কিংবা পুরুষের মধ্যে যারা বিশ্বাসী হয়ে সৎকাজ করে,[২] তারা প্রবেশ করবে জান্নাতে, সেখানে তাদেরকে অপরিমিত রুযী দান করা হবে।[৩]
[১] অর্থাৎ, যতটা পাপ করেছে, ঠিক ততটাই শাস্তি পাবে, তার বেশী পাবে না। পাপের পরিমাণ অনুযায়ী প্রত্যেকে আযাব ভোগ করবে। আর সুবিচারের পূর্ণ চিত্র ফুটে উঠবে।
[২] অর্থাৎ, যারা ঈমানদারও এবং সৎকর্মসমূহের প্রতি যত্নবানও। এ থেকে এ কথা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, আল্লাহর নিকট নেক আমল ছাড়া ঈমান অথবা ঈমান ছাড়া নেক আমলের কোনই মূল্য হবে না। বরং তাঁর নিকট সফলতা লাভ করার জন্য ঈমানের সাথে নেক আমল থাকা এবং নেক আমলের সাথে ঈমান থাকা অত্যাবশ্যক।
[৩] অর্থাৎ, অনুমান ও হিসাবের বাইরে অসংখ্য সুখসামগ্রী পাবে এবং সেগুলো শেষ হয়ে যাওয়ারও কোন আশঙ্কা থাকবে না।