۞ قُلْ اِنِّيْ نُهِيْتُ اَنْ اَعْبُدَ الَّذِيْنَ تَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ لَمَّا جَاۤءَنِيَ الْبَيِّنٰتُ مِنْ رَّبِّيْ وَاُمِرْتُ اَنْ اُسْلِمَ لِرَبِّ الْعٰلَمِيْنَ ( غافر: ٦٦ )
Qul innee nuheetu an a'budal lazeena tad'oona min doonil laahi lammaa jaaa'a niyal biyinaatu mir Rabbee wa umirtu an uslima li Rabbil 'aalameen (Ghāfir ৪০:৬৬)
English Sahih:
Say, [O Muhammad], "Indeed, I have been forbidden to worship those you call upon besides Allah once the clear proofs have come to me from my Lord, and I have been commanded to submit to the Lord of the worlds." (Ghafir [40] : 66)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
বল, আমার প্রতিপালকের কাছ থেকে আমার কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে, এমতাবস্থায় আমাকে তাদের ‘ইবাদাত করতে নিষেধ করা হয়েছে আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে তোমরা আহবান কর। আর আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট আত্মসমর্পণ করার জন্য। (আল-মু'মিন [৪০] : ৬৬)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
বল, ‘আমার প্রতিপালকের নিকট হতে আমার নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী আসার পর তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাকে আহবান কর, তার উপাসনা করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে।[১] আর আমাকে আদেশ করা হয়েছে বিশ্ব-প্রতিপালকের নিকট আত্মসমর্পণ করতে।’[২]
[১] চাহে তা পাথরের মূর্তি হোক, নবী, অলী বা কবরে সমাধিস্থ মৃত হোক। সাহায্যের জন্য কাউকেও ডেকো না। তাদের নামে নযর মেনো না ও নজরানা দিয়ো না। তাদের নামে ওযীফা পড়ো না। তাদেরকে ভয় করো না এবং তাদের কাছে কোন কিছুর আশা করো না। কারণ, এগুলো এক-একটি ইবাদত, যা কেবল আল্লাহরই অধিকার।
[২] এগুলো বিবেকগ্রাহ্য যুক্তি এবং স্পষ্ট উক্তি ভিত্তিক এমন প্রমাণপুঞ্জ যার দ্বারা আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ আল্লাহরই একমাত্র উপাস্য ও প্রতিপালক হওয়ার কথা সাব্যস্ত করে। আর এ কথা কুরআনের বহু স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ করা, আনুগত্য ও অনুসরণের জন্য নত হওয়া। অর্থাৎ, আমাকে আদেশ করা হয়েছে, যাতে আমি আল্লাহর বিধি-বিধানের সামনে নত হয়ে যাই এবং তা থেকে বিমুখ না হই। পরের আয়াতে আরো কিছু তাওহীদের দলীলাদি বর্ণনা করা হচ্ছে।