وَمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيْهِ مِنْ شَيْءٍ فَحُكْمُهٗٓ اِلَى اللّٰهِ ۗذٰلِكُمُ اللّٰهُ رَبِّيْ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُۖ وَاِلَيْهِ اُنِيْبُ ( الشورى: ١٠ )
Wa makh-talaftum feehi min shai'in fahukmuhooo ilallaah; zaalikumul laahu Rabbee 'alaihi tawakkaltu wa ilaihi uneeb (aš-Šūrā ৪২:১০)
English Sahih:
And in anything over which you disagree – its ruling is [to be referred] to Allah. [Say], "That is Allah, my Lord; upon Him I have relied, and to Him I turn back." (Ash-Shuraa [42] : 10)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তোমরা যে সব বিষয়ে মতভেদ কর তার মীমাংসা আল্লাহর উপর সোপর্দ. সেই আল্লাহই আমার প্রতিপালক, আমি তাঁর উপরই নির্ভর করি, আর তাঁরই অভিমুখী হই। (আশ-শুরা [৪২] : ১০)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
তোমরা যে বিষয়েই মতভেদ কর না কেন -- ওর মীমাংসা তো আল্লাহরই নিকট।[১] বল, ‘তিনিই আল্লাহ -- আমার প্রতিপালক; আমি ভরসা রাখি তাঁরই ওপর এবং আমি তাঁরই অভিমুখী।’
[১] এখানে 'মতভেদ' বলতে দ্বীনের মতভেদ বুঝানো হয়েছে। যেভাবে ইয়াহুদী, খ্রীষ্টান, ইসলাম ইত্যাদি ধর্মের মধ্যে পরস্পর বহু বিরোধ রয়েছে এবং সকল ধর্মের অনুসারীরা দাবী করে যে, তাদের ধর্মই সত্য। অথচ সমস্ত ধর্ম একই সময়ে সত্য হতে পারে না। সত্য ধর্ম তো কেবল একটা এবং একটাই হতে পারে। দুনিয়াতে সত্য দ্বীন এবং সত্য পথ চেনার জন্য মহান আল্লাহর বাণী কুরআন বিদ্যমান। কিন্তু দুনিয়াতে মানুষ আল্লাহর সেই বাণীকে নিজের বিচারক এবং সালিস মানতে প্রস্তুত নয়। তাই পরিশেষে কিয়ামতের দিনই থেকে যায়, যেদিনে মহান আল্লাহ যাবতীয় মতবিরোধের ফায়সালা করবেন এবং সত্যাশ্রয়ীদেরকে জান্নাতে ও অন্যদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন।