اِسْتَجِيْبُوْا لِرَبِّكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ يَّأْتِيَ يَوْمٌ لَّا مَرَدَّ لَهٗ مِنَ اللّٰهِ ۗمَا لَكُمْ مِّنْ مَّلْجَاٍ يَّوْمَىِٕذٍ وَّمَا لَكُمْ مِّنْ نَّكِيْرٍ ( الشورى: ٤٧ )
Istajeeboo li Rabbikum min qabli any yaatiya Yawmul laa maradda lahoo minal laah; maa lakum mim malja iny yawma'izinw wa maa lakum min nakeer (aš-Šūrā ৪২:৪৭)
English Sahih:
Respond to your Lord before a Day comes from Allah of which there is no repelling. No refuge will you have that Day, nor for you will there be any denial. (Ash-Shuraa [42] : 47)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কথায় সাড়া দাও সেই দিন আসার পূর্বে আল্লাহ (’র হুকুমে যা সংঘটিত হওয়া) থেকে ফিরিয়ে রাখার কেউ নেই। সেদিন তোমাদের জন্য আশ্রয়স্থল থাকবে না, থাকবে না তোমাদের জন্য কোন প্রতিরোধকারী। (আশ-শুরা [৪২] : ৪৭)
1 Tafsir Ahsanul Bayaan
আল্লাহর নির্ধারিত সেই দিন আসার পূর্বে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের আহবানে সাড়া দাও, যা রদ্দ হবার নয়।[১] সেদিন তোমাদের কোন আশ্রয়স্থল থাকবে না এবং লুকিয়ে নিখোঁজ হওয়ার স্থানও না। [২]
[১] অর্থাৎ, যাকে রোধ করার এবং রদ্দ করার শক্তি কারো নেই।
[২] অর্থাৎ, তোমাদের জন্য কোন এমন স্থান হবে না, যেখানে তোমরা লুকিয়ে নিখোঁজ ও পরিচয়হীন হয়ে যাবে অথবা দৃষ্টিগোচর হবে না। যেমন অন্যত্র বলেন, {يَقُوْلُ الْإِنْسَانُ يَوْمَئِذٍ اَيْنَ الْمَفَرُّ، كَلاَّ لاَ وَزَرَ، إِلَى رَبِّكَ يَوْمَئِذٍ الْمُسْتَقَرّ}ُ অর্থাৎ, সেদিন মানুষ বলবে, পলায়নের জায়গা কোথায়? না, কোন আশ্রয়স্থল নেই। তোমার পালনকর্তার কাছেই সেদিন ঠাঁই হবে। (সূরা ক্বিয়ামাহ ৭৫;১০-১২) অথবা نَكِير অর্থ, ইনকার (অস্বীকার) করা। অর্থাৎ, তোমরা নিজেদের পাপসমূহকে অস্বীকার করতে পারবে না। কারণ, প্রথমতঃ সবকিছুই লিখিত থাকবে। দ্বিতীয়তঃ স্বয়ং মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও সাক্ষ্য দেবে। কিংবা যে আযাব তোমাদেরকে তোমাদের পাপের কারণে দেওয়া হবে, তোমরা সেই আযাবকে অস্বীকার করতে পারবে না। কেননা, পাপ স্বীকার করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।