Skip to main content

وَلَوْ شَاۤءَ اللّٰهُ لَجَعَلَهُمْ اُمَّةً وَّاحِدَةً وَّلٰكِنْ يُّدْخِلُ مَنْ يَّشَاۤءُ فِيْ رَحْمَتِهٖۗ وَالظّٰلِمُوْنَ مَا لَهُمْ مِّنْ وَّلِيٍّ وَّلَا نَصِيْرٍ   ( الشورى: ٨ )

And if
وَلَوْ
এবং যদি
Allah willed
شَآءَ
চাইতেন
Allah willed
ٱللَّهُ
আল্লাহ
He could have made them
لَجَعَلَهُمْ
তাদেরকে অবশ্যই করতেন
a community
أُمَّةً
জাতি
one
وَٰحِدَةً
একই
but
وَلَٰكِن
কিন্তু
He admits
يُدْخِلُ
প্রবেশ করান
whom
مَن
যাকে
He wills
يَشَآءُ
ইচ্ছে করেন (আল্লাহ)
in (to)
فِى
মধ্যে
His Mercy
رَحْمَتِهِۦۚ
তাঁর অনুগ্রহের
And the wrongdoers
وَٱلظَّٰلِمُونَ
এবং সীমালঙ্ঘনকারীদের (অবস্থা হলো)
not
مَا
নেই
for them
لَهُم
তাদের জন্যে
any
مِّن
কোনো
protector
وَلِىٍّ
অভিভাবক
and not
وَلَا
আর নেই
any helper
نَصِيرٍ
কোনো সাহায্যকারী

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আল্লাহ ইচ্ছে করলে তাদেরকে একই উম্মত করতেন, কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছে তাঁর রহমাতের মধ্যে দাখিল করেন, আর যালিমদের জন্য নেই কোন অভিভাবক, নেই কোন সাহায্যকারী।

English Sahih:

And if Allah willed, He could have made them [of] one religion, but He admits whom He wills into His mercy. And the wrongdoers have not any protector or helper.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আল্লাহ ইচ্ছা করলে মানুষকে একই জাতিভুক্ত (একই মতাদর্শের অনুসারী) করতে পারতেন;[১] কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে স্বীয় অনুগ্রহের অধিকারী করে থাকেন। আর সীমালংঘনকারীদের কোন অভিভাবক নেই, কোন সাহায্যকারীও নেই।

[১] এই অবস্থায় কিয়ামতের দিন কেবল একটাই দল হত। অর্থাৎ, ঈমানদার জান্নাতীদের। কিন্তু আল্লাহর সুকৌশল ও ইচ্ছা এই বাধ্যকরণকে পছন্দ করেনি। বরং মানুষদেরকে পরীক্ষা করার জন্য তিনি তাদেরকে (করা না করার) ইচ্ছা ও এখতিয়ারের স্বাধীনতা দান করেছেন। যে এই স্বাধীনতার সঠিক ব্যবহার করে, সে আল্লাহর রহমতের অধিকারী হয়ে যায়। আর যে তার অপব্যবহার করে, সে প্রকৃতপক্ষে অন্যায়ভাবে আল্লাহর দেওয়া স্বাধীনতা ও এখতিয়ারকে আল্লাহরই অবাধ্যতায় ব্যবহার করে। সুতরাং কিয়ামতের দিন এ রকম অন্যায়কারী যালেমদের কোন সাহায্যকারী হবে না।