Skip to main content

فَاصْبِرْ كَمَا صَبَرَ اُولُوا الْعَزْمِ مِنَ الرُّسُلِ وَلَا تَسْتَعْجِلْ لَّهُمْ ۗ كَاَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَ مَا يُوْعَدُوْنَۙ لَمْ يَلْبَثُوْٓا اِلَّا سَاعَةً مِّنْ نَّهَارٍ ۗ بَلٰغٌ ۚفَهَلْ يُهْلَكُ اِلَّا الْقَوْمُ الْفٰسِقُوْنَ ࣖ  ( الأحقاف: ٣٥ )

So be patient
فَٱصْبِرْ
অতএব (হে নবী) ধৈর্য ধরো
as
كَمَا
যেমন
had patience
صَبَرَ
ধৈর্য ধরেছে
those of determination
أُو۟لُوا۟
তারা
those of determination
ٱلْعَزْمِ
দৃঢ়সংকল্পসম্পন্ন
of
مِنَ
মধ্য থেকে
the Messengers
ٱلرُّسُلِ
রাসূলগণের
and (do) not
وَلَا
এবং না
seek to hasten
تَسْتَعْجِل
তাড়াহুড়া করো
for them
لَّهُمْۚ
তাদের জন্যে
As if they had
كَأَنَّهُمْ
তারা যেন (ভাববে)
(the) Day
يَوْمَ
যেদিন
they see
يَرَوْنَ
তারা দেখবে
what
مَا
যা (আজ)
they were promised
يُوعَدُونَ
তাদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে
not
لَمْ
নি
remained
يَلْبَثُوٓا۟
তারা অবস্থান করে
except
إِلَّا
এ ব্যতীত
an hour
سَاعَةً
একদণ্ড
of
مِّن
থেকে
a day
نَّهَارٍۭۚ
দিনের
A clear Message
بَلَٰغٌۚ
এ এক ঘোষণা (কথা)
But will
فَهَلْ
অতঃপর কি
(any) be destroyed
يُهْلَكُ
ধ্বংস করা হবে (অন্য কাউকে)
except
إِلَّا
এ ব্যতীত
the people
ٱلْقَوْمُ
(যারা) সম্প্রদায়
the defiantly disobedient?
ٱلْفَٰسِقُونَ
সত্যত্যাগী

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

কাজেই তুমি ধৈর্য ধর যেমনভাবে ধৈর্য ধারণ করেছিল দৃঢ় সংকল্পের অধিকারী রসূলগণ। আর এই লোকেদের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করো না। কারণ যে বিষয়ে তাদেরকে সাবধান করা হয়েছে যেদিন তারা তা দেখবে, সেদিন তারা মনে করবে যে, একদিনের কিছু অংশের অধিক তারা দুনিয়াতে অবস্থান করেনি। (তোমার দায়িত্ব) পৌঁছানো, অতঃপর পাপাচারী সম্প্রদায় ছাড়া আর কে ধ্বংস হবে?

English Sahih:

So be patient, [O Muhammad], as were those of determination among the messengers and do not be impatient for them. It will be – on the Day they see that which they are promised – as though they had not remained [in the world] except an hour of a day. [This is] notification. And will [any] be destroyed except the defiantly disobedient people?

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

অতএব তুমি ধৈর্যধারণ কর, যেমন ধৈর্যধারণ করেছিল দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ রসূলগণ এবং তাদের জন্য (শাস্তি প্রার্থনায়) তাড়াতাড়ি করো না।[১] তাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে, তা যেদিন তারা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন তাদের মনে হবে, তারা যেন দিবসের এক দন্ডের বেশী পৃথিবীতে অবস্থান করেনি।[২] এ হল ঘোষণা।[৩] সত্যত্যাগী সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য কাউকেও ধ্বংস করা হবে না। [৪]

[১] এখানে মক্কার কাফেরদের অশালীন আচরণের কারণে নবী করীম (সাঃ)-কে সান্ত্বনা দেওয়া হচ্ছে এবং তাঁকে ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

[২] কিয়ামতের ভয়াবহ শাস্তি দেখার পর তাদের কাছে পার্থিব জীবনটা এ রকম মনে হবে যে, সেখানে তারা কেবল দিনের একটি মুহূর্ত কাটিয়ে এসেছে।

[৩] بلاغ হল مبتدأ محذوف (ঊহ্য উদ্দেশ্য পদ)এর বিধেয় পদ। অর্থাৎ, أَيْ; هَذَا الَّذِيْ وَعَظْتَهُمْ بِهِ بَلاَغٌ তুমি তাদেরকে যে উপদেশ দিলে, তা হল ঘোষণা।

[৪] এই আয়াতেও ঈমানদারদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ ও উৎসাহবর্ধক বাণী যে, পরকালের ধ্বংস কেবল তাদের ভাগ্যেই আছে, যারা হবে আল্লাহর অবাধ্য ও তাঁর সীমা লঙ্ঘনকারী।