Skip to main content

طَاعَةٌ وَّقَوْلٌ مَّعْرُوْفٌۗ فَاِذَا عَزَمَ الْاَمْرُۗ فَلَوْ صَدَقُوا اللّٰهَ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْۚ  ( محمد: ٢١ )

ṭāʿatun
طَاعَةٌ
(Is) obedience
(তাদের মুখে তো) আনুগত্য
waqawlun
وَقَوْلٌ
and a word
ও কথা
maʿrūfun
مَّعْرُوفٌۚ
kind
ন্যায়সংগত / ভালো ভালো
fa-idhā
فَإِذَا
And when
কিন্তু যখন
ʿazama
عَزَمَ
(is) determined
চূড়ান্ত হলো
l-amru
ٱلْأَمْرُ
the matter
(জিহাদের) বিষয়টি
falaw
فَلَوْ
then if
তখন যদি
ṣadaqū
صَدَقُوا۟
they had been true
তারা সত্য প্রমাণ করত
l-laha
ٱللَّهَ
(to) Allah
আল্লাহকে( দেওয়া ওয়াদা)
lakāna
لَكَانَ
surely it would have been
অবশই হতো
khayran
خَيْرًا
better
উত্তম
lahum
لَّهُمْ
for them
তাদের জন্যে

Taa'atunw wa qawlum ma'roof; fa izaa 'azamal amru falaw sadaqul laaha lakaana khairal lahum (Muḥammad ৪৭:২১)

English Sahih:

Obedience and good words. And when the matter [of fighting] was determined, if they had been true to Allah, it would have been better for them. (Muhammad [47] : 21)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

(আল্লাহর) আনুগত্য করা ও ন্যায়সঙ্গত কথা বলা। অতঃপর যুদ্ধের সিদ্ধান্ত হলে তারা যদি আল্লাহর নিকট দেয়া অঙ্গীকার পূর্ণ করত, তবে তা তাদের জন্য কল্যাণকর হত। (মুহাম্মদ [৪৭] : ২১)

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আনুগত্য করা ও ন্যায়সঙ্গত কথা বলা।[১] সুতরাং জিহাদের সিদ্ধান্ত হলে[২] যদি তারা আল্লাহকে দেওয়া অঙ্গীকার পূরণ করত, [৩] তাহলে তাদের জন্য এটা মঙ্গলজনক হত। [৪]

[১] অর্থাৎ, জিহাদের নির্দেশ পেয়ে বিচলিত না হয়ে তাদের জন্য এটাই উত্তম ছিল, শুনে আনুগত্য করার মনোভাব প্রদর্শন করা এবং নবী করীম (সাঃ)-এর ব্যাপারে কোন অসভ্য কথা না বলে উত্তম কথা বলা। أوْلَى শব্দের অর্থ এখানে أَجْدَرُ (উত্তম)। আর এই অর্থকেই ইবনে কাসীর (রঃ) গ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ أولى শব্দটিকে হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনমূলক শব্দ অর্থাৎ, বদ্দুআমূলক শব্দ বলে গণ্য করেছেন। مَعْنَاهُ قَارَبَهُ مَا يُهْلِكُهُ (তাদের ধ্বংস অতি নিকটেই) অর্থাৎ, তাদের ভীরুতা ও মুনাফিক্বীই তাদের ধ্বংসের কারণ হবে। এই হিসাবে طَاعَةٌ وَقَوْلٌ مَّعْرُوْفٌ হবে সম্পূর্ণ এক নতুন বাক্য; যার উদ্দেশ্যপদ এটি এবং বিধেয়পদ হবে خَيْرٌ لَكُمْ যা এখানে ঊহ্য আছে। (ফাতহুল ক্বাদীর, আয়সারুত তাফাসীর)

[২] অর্থাৎ, জিহাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এবং তার সময় এসে গেলে।

[৩] অর্থাৎ, এখনও যদি তারা মুনাফিক্বী ত্যাগ করে নিজেদের নিয়তকে আল্লাহর জন্য নিষ্ঠাপূর্ণ করে নিত। অথবা রসূল (সাঃ)-এর সামনে তাঁর সঙ্গী হয়ে জিহাদ করার যে অঙ্গীকার করেছিল, তাতে যদি আল্লাহর নিকট তারা সত্যতার প্রমাণ দিত।

[৪] অর্থাৎ, মুনাফিক্বী ও বিরুদ্ধাচরণের স্থলে তওবা ও আন্তরিকতা প্রদর্শন মঙ্গলজনক হত।