Skip to main content

طَاعَةٌ وَّقَوْلٌ مَّعْرُوْفٌۗ فَاِذَا عَزَمَ الْاَمْرُۗ فَلَوْ صَدَقُوا اللّٰهَ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْۚ  ( محمد: ٢١ )

(Is) obedience
طَاعَةٌ
(তাদের মুখে তো) আনুগত্য
and a word
وَقَوْلٌ
ও কথা
kind
مَّعْرُوفٌۚ
ন্যায়সংগত / ভালো ভালো
And when
فَإِذَا
কিন্তু যখন
(is) determined
عَزَمَ
চূড়ান্ত হলো
the matter
ٱلْأَمْرُ
(জিহাদের) বিষয়টি
then if
فَلَوْ
তখন যদি
they had been true
صَدَقُوا۟
তারা সত্য প্রমাণ করত
(to) Allah
ٱللَّهَ
আল্লাহকে( দেওয়া ওয়াদা)
surely it would have been
لَكَانَ
অবশই হতো
better
خَيْرًا
উত্তম
for them
لَّهُمْ
তাদের জন্যে

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

(আল্লাহর) আনুগত্য করা ও ন্যায়সঙ্গত কথা বলা। অতঃপর যুদ্ধের সিদ্ধান্ত হলে তারা যদি আল্লাহর নিকট দেয়া অঙ্গীকার পূর্ণ করত, তবে তা তাদের জন্য কল্যাণকর হত।

English Sahih:

Obedience and good words. And when the matter [of fighting] was determined, if they had been true to Allah, it would have been better for them.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

আনুগত্য করা ও ন্যায়সঙ্গত কথা বলা।[১] সুতরাং জিহাদের সিদ্ধান্ত হলে[২] যদি তারা আল্লাহকে দেওয়া অঙ্গীকার পূরণ করত, [৩] তাহলে তাদের জন্য এটা মঙ্গলজনক হত। [৪]

[১] অর্থাৎ, জিহাদের নির্দেশ পেয়ে বিচলিত না হয়ে তাদের জন্য এটাই উত্তম ছিল, শুনে আনুগত্য করার মনোভাব প্রদর্শন করা এবং নবী করীম (সাঃ)-এর ব্যাপারে কোন অসভ্য কথা না বলে উত্তম কথা বলা। أوْلَى শব্দের অর্থ এখানে أَجْدَرُ (উত্তম)। আর এই অর্থকেই ইবনে কাসীর (রঃ) গ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ أولى শব্দটিকে হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনমূলক শব্দ অর্থাৎ, বদ্দুআমূলক শব্দ বলে গণ্য করেছেন। مَعْنَاهُ قَارَبَهُ مَا يُهْلِكُهُ (তাদের ধ্বংস অতি নিকটেই) অর্থাৎ, তাদের ভীরুতা ও মুনাফিক্বীই তাদের ধ্বংসের কারণ হবে। এই হিসাবে طَاعَةٌ وَقَوْلٌ مَّعْرُوْفٌ হবে সম্পূর্ণ এক নতুন বাক্য; যার উদ্দেশ্যপদ এটি এবং বিধেয়পদ হবে خَيْرٌ لَكُمْ যা এখানে ঊহ্য আছে। (ফাতহুল ক্বাদীর, আয়সারুত তাফাসীর)

[২] অর্থাৎ, জিহাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এবং তার সময় এসে গেলে।

[৩] অর্থাৎ, এখনও যদি তারা মুনাফিক্বী ত্যাগ করে নিজেদের নিয়তকে আল্লাহর জন্য নিষ্ঠাপূর্ণ করে নিত। অথবা রসূল (সাঃ)-এর সামনে তাঁর সঙ্গী হয়ে জিহাদ করার যে অঙ্গীকার করেছিল, তাতে যদি আল্লাহর নিকট তারা সত্যতার প্রমাণ দিত।

[৪] অর্থাৎ, মুনাফিক্বী ও বিরুদ্ধাচরণের স্থলে তওবা ও আন্তরিকতা প্রদর্শন মঙ্গলজনক হত।