Skip to main content

هٰٓاَنْتُمْ هٰٓؤُلَاۤءِ تُدْعَوْنَ لِتُنْفِقُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِۚ فَمِنْكُمْ مَّنْ يَّبْخَلُ ۚوَمَنْ يَّبْخَلْ فَاِنَّمَا يَبْخَلُ عَنْ نَّفْسِهٖ ۗوَاللّٰهُ الْغَنِيُّ وَاَنْتُمُ الْفُقَرَاۤءُ ۗ وَاِنْ تَتَوَلَّوْا يَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْۙ ثُمَّ لَا يَكُوْنُوْٓا اَمْثَالَكُمْ ࣖ   ( محمد: ٣٨ )

Here you are -
هَٰٓأَنتُمْ
তোমরা দেখ
these
هَٰٓؤُلَآءِ
ঐসব লোক (যাদের)
called
تُدْعَوْنَ
আহবান করা হচ্ছে
to spend
لِتُنفِقُوا۟
তোমরা খরচ কর যেন
in
فِى
মধ্যে
(the) way
سَبِيلِ
পথের
(of) Allah -
ٱللَّهِ
আল্লাহ্‌র
but among you
فَمِنكُم
তখন তোমাদের মধ্য হতে
(are some) who
مَّن
কেউ কেউ
withhold
يَبْخَلُۖ
কৃপণতা করে
and whoever
وَمَن
অথচ যে
withholds
يَبْخَلْ
কৃপণতা করে
then only
فَإِنَّمَا
প্রকৃতপক্ষে
he withholds
يَبْخَلُ
সে কৃপণতা করে
from
عَن
প্রতি
himself
نَّفْسِهِۦۚ
তার নিজের
But Allah
وَٱللَّهُ
এবং আলাহ
(is) Free of need
ٱلْغَنِىُّ
অভাবমুক্ত
while you
وَأَنتُمُ
কিন্তু তোমরা
(are) the needy
ٱلْفُقَرَآءُۚ
অভাবগ্রস্ত
And if
وَإِن
আর যদি
you turn away
تَتَوَلَّوْا۟
তোমরা মুখ ফিরাও (তবে)
He will replace you
يَسْتَبْدِلْ
তিনি পরিবর্তন করে আনবেন
(with) a people
قَوْمًا
(অন্য এক) জাতিকে
other than you
غَيْرَكُمْ
তোমাদের ব্যতীত
then
ثُمَّ
এরপর
not
لَا
না
they will be
يَكُونُوٓا۟
তারা হবে
(the) likes of you
أَمْثَٰلَكُم
তোমাদের মতো

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

দেখ, তোমরা তো তারাই, তোমাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার জন্য ডাক দেয়া হচ্ছে, তখন তোমাদের কিছু লোক কৃপণতা করছে। যে কৃপণতা করে, সে কৃপণতা করে কেবল নিজের আত্মার সাথে। আল্লাহ তো অভাবহীন আর তোমরাই অভাবী। তোমরা যদি মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য জাতিকে নিয়ে আসবেন, তখন তারা তোমাদের মত হবে না।

English Sahih:

Here you are – those invited to spend in the cause of Allah – but among you are those who withhold [out of greed]. And whoever withholds only withholds [benefit] from himself; and Allah is the Free of need, while you are the needy. And if you turn away [i.e., refuse], He will replace you with another people; then they will not be the likes of you.

1 Tafsir Ahsanul Bayaan

তোমরাই তো তারা যাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করতে বলা হচ্ছে[১] অথচ তোমাদের অনেকে কৃপণতা করছে; যারা কার্পণ্য করে, তারা তো কার্পণ্য করে নিজেদের প্রতি।[২] আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্ত।[৩] যদি তোমরা বিমুখ হও,[৪] তাহলে তিনি অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলবর্তী করবেন; অতঃপর তারা তোমাদের মত হবে না। [৫]

[১] অর্থাৎ, কিয়দংশ যাকাত হিসেবে এবং কিছু আল্লাহর পথে ব্যয় কর।

[২] অর্থাৎ, নিজেকেই আল্লাহর পথে ব্যয় করার পুণ্য থেকে বঞ্চিত রাখে।

[৩] অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাদেরকে ব্যয় করার উৎসাহ এই কারণে দেন না যে, তিনি তোমাদের ধন-সম্পদের মুখাপেক্ষী। তা আদৌ নয়। তিনি তো ধনী ও অমুখাপেক্ষী। তিনি তোমাদেরই লাভের জন্য তোমাদেরকে এই নির্দেশ দেন। যাতে প্রথমতঃ তোমাদের নাফসের পবিত্রতা সাধন হয়। দ্বিতীয়তঃ তোমাদেরই অভাবী ভাইদের প্রয়োজন পূরণ হয়। আর তৃতীয়তঃ তোমরা শত্রুদের উপর বিজয়ী ও উন্নত থাক। কাজেই আল্লাহর রহমত ও তাঁর সাহায্যের মুখাপেক্ষী তোমরাই। তিনি তোমাদের মুখাপেক্ষী নন।

[৪] অর্থাৎ, ইসলাম থেকে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন কর।

[৫] বরং তোমাদের চেয়েও বেশী আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্যশীল এবং আল্লাহর পথে অনেক ব্যয়কারী হবে। নবী করীম (সাঃ)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সালমান ফারসী (রাঃ)-এর কাঁধে হাত রেখে বললেন, "এ থেকে লক্ষ্য এই (সালমান) এবং তাঁর গোত্রের লোক। শপথ সেই সত্তার, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, যদি ঈমান 'সুরাইয়া' তারকাগুচ্ছের সাথে ঝুলে থাকত, তবুও তা পারস্যের কিছু মানুষ অর্জন করে নিত। (তিরমিযী, আল্লামা আলবানী তাঁর সহীহাতেও উল্লেখ করেছেন।)